১২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজ কর্মসূচি ঘোষণা

খালেদার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ৪ ককটেল বিস্ফোরণ

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আজ বুধবার এ-সংক্রান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান। সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে আন্দোলনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্ত জানাতে গতকাল এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে স্থায়ী কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি জানান, হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানোর পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ আছে। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকাল পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, তিনি এখন পর্যন্ত স্টেবল আছেন।

গত রোববার বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। এর পর গতকাল তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে (যেখানে সিসিইউর সব সুবিধা আছে) স্থানান্তর করা হয়। ৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে দেশনেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর কারণে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তাকে (খালেদা জিয়া) বাইরে পাঠানোর জন্য সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল প্রায়, তার পরিবার আবেদন করে। ফাইনালি যখন এটা (আবেদন) প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছে, প্রধানমন্ত্রী এটা রিজেক্ট করেছেন। মির্জা ফখরুল যোগ করেন, শুধু এটা নয়, আমরা বিভিন্ন মিশনের কাছেও চিঠি দিয়েছিলাম। তারা চেষ্টা করেছেন, তারা বারবার চেষ্টা করেছেন- ফেরত এসেছেন। তারা বলেছেন যে, সরি ভাই, উনি শুনলেন না। এর উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, রাজনীতি থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা।

পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ : রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে কে বা কারা পরপর চারটি ককটেল ছুড়ে মেরেছে। এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন পথচারী আহত হন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে যুক্ত থাকা দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বলেন, হঠাৎ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে কেন ককটেল ফোটানো হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। কারা এই কাজ করেছে, তা খবর নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

আজ কর্মসূচি ঘোষণা

খালেদার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

আপডেট সময় : ১০:০৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আজ বুধবার এ-সংক্রান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান। সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে আন্দোলনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্ত জানাতে গতকাল এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে স্থায়ী কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি জানান, হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানোর পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ আছে। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকাল পর্যন্ত আমি যতটুকু জানি, তিনি এখন পর্যন্ত স্টেবল আছেন।

গত রোববার বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। এর পর গতকাল তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে (যেখানে সিসিইউর সব সুবিধা আছে) স্থানান্তর করা হয়। ৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে দেশনেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর কারণে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তাকে (খালেদা জিয়া) বাইরে পাঠানোর জন্য সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল প্রায়, তার পরিবার আবেদন করে। ফাইনালি যখন এটা (আবেদন) প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছে, প্রধানমন্ত্রী এটা রিজেক্ট করেছেন। মির্জা ফখরুল যোগ করেন, শুধু এটা নয়, আমরা বিভিন্ন মিশনের কাছেও চিঠি দিয়েছিলাম। তারা চেষ্টা করেছেন, তারা বারবার চেষ্টা করেছেন- ফেরত এসেছেন। তারা বলেছেন যে, সরি ভাই, উনি শুনলেন না। এর উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, রাজনীতি থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা।

পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ : রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে কে বা কারা পরপর চারটি ককটেল ছুড়ে মেরেছে। এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন পথচারী আহত হন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে যুক্ত থাকা দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বলেন, হঠাৎ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে কেন ককটেল ফোটানো হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। কারা এই কাজ করেছে, তা খবর নেওয়ার চেষ্টা চলছে।