বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডুতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উপর ভয়াবহ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় শত শত মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে শিশুসহ গর্ভবতী নারীও ছিলেন।
চারজন প্রত্যক্ষদর্শী, অ্যাক্টিভিস্ট এবং একজন কূটনীতিকের বরাতে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, ড্রোন হামলাটি মিয়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর ওপর আঘাত হানে। হামলাটিকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাখাইন রাজ্যে বেসামরিকদের উপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে এ হামলার জন্য আরাকান আর্মিদেরকে দায়ী করেছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি। অন্যদিকে দেশটিতে সংঘঠিত সব হামলার জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।
ড্রোন হামলায় বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে তিনজন জানিয়েছেন, অন্তত ২০০ জনেরও বেশি মারা গেছে এবং আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন যে তিনি কমপক্ষে ৭০টি মৃতদেহ দেখেছেন।
তবে এই হামলায় কতজন মারা গেছে তা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ৩৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইলিয়াস রয়টার্সকে জানান, তার গর্ভবতী স্ত্রী এবং ২ বছর বয়সী মেয়ে হামলায় আহত হয় এবং পরবর্তীতে মারা যায়। তিনি জানান, যখন ড্রোন আশ্রয় প্রার্থীদের ভিড়ের উপর আক্রমণ শুরু করে, তখন তিনি তার পরিবারের সাথে উপকূলে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
চিকিৎসকদের সংগঠন ডাক্তারস উইদাউট বর্ডার্স সোমবার জানায়, মর্টার শেল ও বন্দুকের গুলিতে আহতসহ সহিংসতাজনিত আঘাতের জন্য শনিবার থেকে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারী ৩৯ জনের চিকিৎসা করেছে সাহায্য সংস্থা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রোগীরা নদী পার হওয়ার জন্য নৌকা খুঁজে বের করার চেষ্টা করার সময় তাদের ওপর বোমা ফেলা হয়।
















