০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্য ও রেজিস্টারের পদত্যাগ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সহ ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও অন্যন্যদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো কামরুল আলম খান ও রেজিস্টার সৈয়দ ফারুক হোসেন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া পদত্যাগের ৪৮ ঘন্টার  আলটিমেটামের সময় শেষ হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় বিকেল ৫ টার পর ঝটিকা মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে তাদের নাম ফলক সড়িয়ে দেয় এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনাটির পর পরই  উপাচার্য ড. মো কামরুল আলম খান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপ্রতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস. এম. ইউসুফ আলী।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এস. এম. ইউসুফ আলী, মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট পার্থ সারথি দাস, সহকারী প্রক্টর সুমিত কুমার পাল, পরিবহন কমিটির সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ আপেল ও কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি পদত্যাগ করেছেন।
ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অনন্যরা পদত্যাগ না করা ও কিছু দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
তারা আরো বলেন, এখন বাংলাদেশ সংষ্কার চলছে। আমরা মনে করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বাংলাদেশ। এখন সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানোর তাই সেটিই করছি।

জানা যায়, ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রবিবারই ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন সৈয়দ ফারুক হোসেন।

বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্য ও রেজিস্টারের পদত্যাগ

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সহ ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও অন্যন্যদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো কামরুল আলম খান ও রেজিস্টার সৈয়দ ফারুক হোসেন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া পদত্যাগের ৪৮ ঘন্টার  আলটিমেটামের সময় শেষ হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় বিকেল ৫ টার পর ঝটিকা মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে তাদের নাম ফলক সড়িয়ে দেয় এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনাটির পর পরই  উপাচার্য ড. মো কামরুল আলম খান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপ্রতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস. এম. ইউসুফ আলী।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এস. এম. ইউসুফ আলী, মির্জা আজম হলের প্রভোস্ট পার্থ সারথি দাস, সহকারী প্রক্টর সুমিত কুমার পাল, পরিবহন কমিটির সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ আপেল ও কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি পদত্যাগ করেছেন।
ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অনন্যরা পদত্যাগ না করা ও কিছু দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
তারা আরো বলেন, এখন বাংলাদেশ সংষ্কার চলছে। আমরা মনে করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বাংলাদেশ। এখন সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানোর তাই সেটিই করছি।

জানা যায়, ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রবিবারই ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন সৈয়দ ফারুক হোসেন।