০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেরোবিতে দুই উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা করেছে। নকশা পরিবর্তন, অর্থ আত্মসাৎ এবং ঠিকাদারকে অবৈধভাবে অগ্রিম বিল প্রদানসহ নানা অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) দুদকের মহাপাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার আ. সালাম বাচ্চু এবং ঠিকাদার এম এম হাবিবুর রহমান।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন, ৩০ কোটি টাকা মূল্যের অধিক চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই সম্পাদন, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর (Fixed Deposit Receipt) হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেই এফডিআরকে লিয়েনে রেখে ঠিকাদারকে ঋণ প্রদানের জন্য “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ। এছাড়াও ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো সংস্থান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতার অজুহাতে ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে অগ্রিম বিল প্রদান এবং সেই বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ড্রইং/ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধিবহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮-এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন সম্পন্ন না করার অভিযোগও দুদক এনেছে।
এই সকল অভিযোগ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে দুদক।
এমআর/সব

বেরোবিতে দুই উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০৬:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক দুই উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা করেছে। নকশা পরিবর্তন, অর্থ আত্মসাৎ এবং ঠিকাদারকে অবৈধভাবে অগ্রিম বিল প্রদানসহ নানা অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) দুদকের মহাপাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার আ. সালাম বাচ্চু এবং ঠিকাদার এম এম হাবিবুর রহমান।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন, ৩০ কোটি টাকা মূল্যের অধিক চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই সম্পাদন, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর (Fixed Deposit Receipt) হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেই এফডিআরকে লিয়েনে রেখে ঠিকাদারকে ঋণ প্রদানের জন্য “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ। এছাড়াও ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো সংস্থান না থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে আর্থিক সহযোগিতার অজুহাতে ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে অগ্রিম বিল প্রদান এবং সেই বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ড্রইং/ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধিবহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮-এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন সম্পন্ন না করার অভিযোগও দুদক এনেছে।
এই সকল অভিযোগ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে দুদক।
এমআর/সব