০৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ানমারে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি সীমান্ত শহর টেকনাফে আতঙ্ক

সীমান্ত শহর টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় শনিবার ভোর রাত থেকে শুরু হয় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দ। কয়েক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলা এই শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সীমান্ত এলাকার মানুষের। অনেকেই ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করেন, কেউ আবার আতঙ্কে ঘরের ভেতরেই আশ্রয় নেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে থেমে থেমে একটানা ৪ ঘণ্টা টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মিয়ানমার সীমান্তের ভেতর থেকে মর্টারশেল নিক্ষেপ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। একপর্যায়ে নাফ নদীতে মর্টারশেল পড়ার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। সীমান্তবর্তী ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণের শব্দে।
হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দে সীমান্তবর্তী বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতর থেকে এসব মর্টারশেল নিক্ষেপ ও গুলি চালানো হচ্ছে। এসময় হোয়াইক্যং বাজার সংলগ্ন মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস ও বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়ে। এছাড়া উত্তর পাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়লে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।
মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার বলেন, শনিবার ভোর থেকে হোয়াইক্যংয়ের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে, সেইসঙ্গে মর্টারশেল ফায়ারের শব্দ ভেসে আসছে। ঠিক এমন মুহূর্তে আমার ঘরের টিনে পর পর দুটি গুলি এসে পড়লে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ এপারে ভেসে আসছে। যখন ফায়ার হয় বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে।
সরওয়ার আলম বলেন, প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শুরু হলে সন্তানদের নিয়ে আমি বাড়ির ভেতরে একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। গুলির বিকট শব্দে আমরা ভয়ে কাঁপছিলাম। গুলি ও ফায়ারের সময় বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠছিল। এমন অবস্থায় হঠাৎ একটি গুলি টিনের ছাউনি ছিদ্র করে বাড়ির ভেতরে পড়ে যায় এবং গুলিটি ঘুরতে থাকে। পরে গুলিটি হাতে ধরলে তা গরম অনুভূত হয়।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রুদ্র জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচুর গোলাগুলির শব্দ মিয়ানমার সীমান্ত থেকে এপারে ভেসে আসে। কয়েকটি বাড়িতে গুলি পড়েছে বলে শোনা গেছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ানমারে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি সীমান্ত শহর টেকনাফে আতঙ্ক

আপডেট সময় : ০৫:২০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সীমান্ত শহর টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় শনিবার ভোর রাত থেকে শুরু হয় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দ। কয়েক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলা এই শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সীমান্ত এলাকার মানুষের। অনেকেই ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করেন, কেউ আবার আতঙ্কে ঘরের ভেতরেই আশ্রয় নেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে থেমে থেমে একটানা ৪ ঘণ্টা টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মিয়ানমার সীমান্তের ভেতর থেকে মর্টারশেল নিক্ষেপ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। একপর্যায়ে নাফ নদীতে মর্টারশেল পড়ার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। সীমান্তবর্তী ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণের শব্দে।
হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা হোয়াইক্যং ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো সীমান্ত এলাকায় মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দে সীমান্তবর্তী বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতর থেকে এসব মর্টারশেল নিক্ষেপ ও গুলি চালানো হচ্ছে। এসময় হোয়াইক্যং বাজার সংলগ্ন মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস ও বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়ে। এছাড়া উত্তর পাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়লে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।
মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার বলেন, শনিবার ভোর থেকে হোয়াইক্যংয়ের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে, সেইসঙ্গে মর্টারশেল ফায়ারের শব্দ ভেসে আসছে। ঠিক এমন মুহূর্তে আমার ঘরের টিনে পর পর দুটি গুলি এসে পড়লে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ এপারে ভেসে আসছে। যখন ফায়ার হয় বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে।
সরওয়ার আলম বলেন, প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শুরু হলে সন্তানদের নিয়ে আমি বাড়ির ভেতরে একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। গুলির বিকট শব্দে আমরা ভয়ে কাঁপছিলাম। গুলি ও ফায়ারের সময় বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠছিল। এমন অবস্থায় হঠাৎ একটি গুলি টিনের ছাউনি ছিদ্র করে বাড়ির ভেতরে পড়ে যায় এবং গুলিটি ঘুরতে থাকে। পরে গুলিটি হাতে ধরলে তা গরম অনুভূত হয়।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রুদ্র জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচুর গোলাগুলির শব্দ মিয়ানমার সীমান্ত থেকে এপারে ভেসে আসে। কয়েকটি বাড়িতে গুলি পড়েছে বলে শোনা গেছে।

এমআর/সবা