০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জার্মানিতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবরের সন্ধান

জার্মানির নুরেমবার্গে বিশাল এক গণকবরের সন্ধান মিলেছে। তাতে পাওয়া গেছে কমপক্ষে এক হাজার মৃতদেহাবশেষ। প্রত্নতত্ত্ববিদরা সেখানে খনন করে এই গণকবরের সন্ধান পান। একে বলা হচ্ছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবর।

বিবিসিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়ে অনলাইন জিও নিউজে বলা হয়েছে, ওই শহরে নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের আগে মাটি খনন করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তাদের জরিপ ও খননকাজে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। আটটি গর্তে পাওয়া যায় এসব মৃতদেহ। ধারণা করা হয়, ওইসব গর্তে ১৫০০ পর্যন্ত মৃতদেহ রাখা হয়েছিল। এসব মৃতদেহকে সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়নি। নুরেমবার্গে প্লেগের মতো এপিডেমিক আঘাত করার আগেই এই মানুষগুলোকে সমাহিত করা হয়।

এমন তথ্য দিয়ে নুরেমবার্গ ডিপার্টমেন্ট অব হেরিটেজ প্রিজারভেশনের মেলানি ল্যাংবেইন জানান, চতুর্দশ শতাব্দীর পর প্রতিটি দশকে নুরেমবার্গে দেখা দেয় প্লেগ। ফলে মৃত ব্যক্তিদের সমাহিত করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছিল। রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর মধ্যে একটি গণকবরের সময়কাল হতে পারে ১৪০০-এর দশক ও ১৬০০-এর দশকের শুরুর দিকে। যেসব আর্টিফ্যাক্ট ও ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে ১৬৩৪ সালের প্লেগের সময়কালের তাতে দেখা যায়, এসব প্রাচীন জিনিসপত্র ১৬৩২ থেকে ১৬৩৩ সময়কালের এপিডেমিকের সময়কার। জুলিয়ান ডেকার নামের প্রত্নতত্ত্ববিদ অস্বাভাবিকভাবে এই গণকবর আবিষ্কার করেন। তিনি এর পুরোটা দেখাশোনা করছেন। এই গণকবরে সমাহিত করা মানুষের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে এটি হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবর।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বামীর সমাধির পাশেই অন্তিম শয্যায় আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া

জার্মানিতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবরের সন্ধান

আপডেট সময় : ০৭:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

জার্মানির নুরেমবার্গে বিশাল এক গণকবরের সন্ধান মিলেছে। তাতে পাওয়া গেছে কমপক্ষে এক হাজার মৃতদেহাবশেষ। প্রত্নতত্ত্ববিদরা সেখানে খনন করে এই গণকবরের সন্ধান পান। একে বলা হচ্ছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবর।

বিবিসিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়ে অনলাইন জিও নিউজে বলা হয়েছে, ওই শহরে নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের আগে মাটি খনন করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তাদের জরিপ ও খননকাজে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। আটটি গর্তে পাওয়া যায় এসব মৃতদেহ। ধারণা করা হয়, ওইসব গর্তে ১৫০০ পর্যন্ত মৃতদেহ রাখা হয়েছিল। এসব মৃতদেহকে সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়নি। নুরেমবার্গে প্লেগের মতো এপিডেমিক আঘাত করার আগেই এই মানুষগুলোকে সমাহিত করা হয়।

এমন তথ্য দিয়ে নুরেমবার্গ ডিপার্টমেন্ট অব হেরিটেজ প্রিজারভেশনের মেলানি ল্যাংবেইন জানান, চতুর্দশ শতাব্দীর পর প্রতিটি দশকে নুরেমবার্গে দেখা দেয় প্লেগ। ফলে মৃত ব্যক্তিদের সমাহিত করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছিল। রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর মধ্যে একটি গণকবরের সময়কাল হতে পারে ১৪০০-এর দশক ও ১৬০০-এর দশকের শুরুর দিকে। যেসব আর্টিফ্যাক্ট ও ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে ১৬৩৪ সালের প্লেগের সময়কালের তাতে দেখা যায়, এসব প্রাচীন জিনিসপত্র ১৬৩২ থেকে ১৬৩৩ সময়কালের এপিডেমিকের সময়কার। জুলিয়ান ডেকার নামের প্রত্নতত্ত্ববিদ অস্বাভাবিকভাবে এই গণকবর আবিষ্কার করেন। তিনি এর পুরোটা দেখাশোনা করছেন। এই গণকবরে সমাহিত করা মানুষের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে এটি হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবর।