- ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে তোলার বড় ভূমিকায় ছিল গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রতিষ্ঠান
- পটপরিবর্তনে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার
- ৫ ফেব্রুয়ারি শতাধিক সুপারিশের প্রতিবেদন দিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
- ১৫ জানুয়ারি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ১৪টি সুপারিশের প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশে ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকায় ছিল জনপ্রশাসন ও পুলিশের। তারা জনগণের সেবক না হয়ে শাসক হয়ে উঠেছিল সরকারের এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সরকারি চাকরির শর্ত ভঙ্গ করে অনেক আমলা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য আবির্ভূত হয়েছিলেন রাজনৈতিক কর্মীর ভূমিকায়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জনসেবামূলক এ দুটি প্রতিষ্ঠানে আমূল সংস্কার হবে। সংস্কারের মধ্য দিয়ে লালফিতার দৌরাত্ম্য কিংবা পুলিশি রাষ্ট্র থেকে বের হয়ে আসবে বাংলাদেশ। কিন্তু অভ্যুত্থানের এক বছর হতে চললেও গণমানুষের সে প্রত্যাশা অর্জিত হয়নি। উল্টো গত এক বছরে সচিবালয়কেন্দ্রিক ক্ষমতার বলয় আরও শক্তিশালী হয়েছে। বহাল রয়েছে ‘সিনিয়র সচিব’ পদমর্যাদার মতো ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দিয়ে যাওয়া উপঢৌকনও। জনগণের চাহিদার বিষয়টি মাতায় রেখেই অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে কমিশনও গঠন করে। তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুকে রয়েছে জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার। গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ১৪টি সুপারিশ জানিয়ে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। এছাড়া ১৫ ফেব্রুয়ারি শতাধিক সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এসব প্রতিবেদন দাখিলের পরও সরকারের উদ্যোগ থাকলেও অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়নে কোনো গতি নেই।
আমলাতন্ত্রের ঘেরাটোপে আটকে পড়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার ও পুলিশ সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগও। এখনও জনগণের সেবক না হয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এখনো রাজনীতির বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন। জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী সংস্কারে গঠিত কমিটির কোনো মৌলিক সুপারিশ এখনও কার্যকর হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন ও সংস্কারের নানা ডামাডোলে এ দুটি প্রতিষ্ঠান সংস্কারের মৌলিক দাবি চাপা পড়ে যাচ্ছে। তারা বলছেন, সংস্কার কার্যক্রম যত বিলম্বিত হবে, জনপ্রশাসন ও পুলিশের ঘুরে দাঁড়ানো বা জনবান্ধব হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াও ততটা পিছিয়ে পড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে গত বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী ঘরোনার রাজনীতিকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। এমন বাস্তবতায় সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজানোর দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। তার একটি ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন’। অপরটি দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতামূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’। ২০০১ সালে লতিফুর রহমান নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক আমলা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন’ কমিটি গঠন করা হয়। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিটি ১০০টিরও বেশি সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটির সংস্কার প্রস্তাবগুলোর লক্ষ্য ছিল জনপ্রশাসনকে জনমুখী, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা। যদিও এ প্রতিবেদন জমা পড়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো মৌলিক কোনো সুপারিশেরই বাস্তবায়ন হয়নি।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে মোটাদাগে পুরনো চারটি বিভাগের সীমানাকে চার প্রদেশে বিভক্ত করে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু, কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে নতুন দুটি বিভাগ, ‘নয়াদিল্লির মতো’ কেন্দ্রশাসিত ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠন করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যাসের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছিল। একই সঙ্গে একটির বদলে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন এবং উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা ৭৫ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে আনার প্রস্তাবও দেয়া হয়। কিন্তু অন্তর্র্বর্তী সরকার কঠিন এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে এগোয়নি। বরং গত ১৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে মহাসড়কের পেট্রোল পাম্পগুলোয় স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ডায়নামিক করা, কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন, কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনার মতো প্রস্তাব রয়েছে। অবশ্য জনপ্রশাসন সংস্কারে গঠিত কমিটির কার্যক্রম ও সুপারিশ নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
অনেকেরই ধারণা, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব মোটেও জনগণ তথা সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এ জন্যই হয়তো এর কোনো অগ্রগতি নেই।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল প্রতিবেদন তৈরি ও তা জমা দেয়া। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। বাকিটা সরকারের বিষয়।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান কিংবা বিরোধী মতের মানুষকে দমন-পীড়নে বড় ভূমিকায় ছিল পুলিশ বাহিনী। গত বছরের গণ-আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশেই পুলিশ সদস্যরা এবং তাদের স্থাপনাগুলো ব্যাপক মাত্রায় জনরোষের শিকার হয়। সে সময় দায়িত্বরত অবস্থায় প্রাণ হারান ৪৪ পুলিশ সদস্য।
অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর পুলিশকে জনবান্ধব করার লক্ষ্যে নয় সদস্যের পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৫ জানুয়ারি সংস্কার প্রস্তাব, সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়। সুপারিশে পুলিশের নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহি বাড়াতে জোর দিয়ে পৃথক পুলিশ কমিশন গঠনসহ বলপ্রয়োগ, আটক, গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদে আমূল পরিবর্তন আনার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন এবং র্যাবের প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করা হয় পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে। সে সময় ৩৫২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ১৪টি সুপারিশ করে কমিশন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পুলিশ ও জনগণের সম্পর্কে সৃষ্ট গভীর ক্ষত নিরাময়ের লক্ষ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি এসব সুপারিশ তুলে ধরে। এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে এ কমিশন নীতিগতভাবে ঐকমত্য পোষণ করে। তবে বিবেচ্য কমিশনের গঠন-কাঠামো, কার্যাবলি ও পরিধি কেমন হবে, তা আরো বৃহত্তর পরিসরে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা সমীচীন হবে।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ জমা দেয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কার্যকর কোনো সংস্কার হয়নি। বরং এখনও পুলিশের মনোবল ভেঙে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। যা পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করেন সমাজ, অপরাধ ও মানবাধিকার বিশ্লেষকরা।
সরকারের কাছে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দাখিলের পর পুলিশে কতটা সংস্কার হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেন বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি পুলিশ সংস্কারের প্রস্তাবসহ প্রতিবেদনটি অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছি। এটুকুই আমার দায়িত্ব ছিল। পরবর্তী বিষয়টি ওনারা বিবেচনা করবেন। এর বাইরে আমার বলার কিছু নেই।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যরা মনে করেন, সংস্কারের মাধ্যমে আইনের সঠিক প্রয়োগ ও জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার পথ সুগম হবে। পাশাপাশি জনপ্রশাসন ও পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতেও সংস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এ সংস্কার কার্যক্রমে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। পুলিশ সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমর্থন অপরিহার্য। পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণেও সংস্কার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এসবের চেয়েও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এ সংস্কার কার্যক্রমের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও অঙ্গীকারের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা গেলে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হবে। মানবাধিকার সুরক্ষা, বলপ্রয়োগ নীতি, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর সংস্কার, অযাচিত হয়রানির (আটক বা গ্রেফতার, তল¬াশি ও জিজ্ঞাসাবাদকেন্দ্রিক) অবসান, বিদ্যমান বিভিন্ন সেবার মানোন্নয়ন, দুর্নীতি প্রতিরোধ, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, পুলিশের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, জনসম্পৃক্ত পুলিশিংয়ের প্রসারসহ ১৫টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।
এদিকে পুলিশ সদস্যরা জানান, বিগত সময়ে পুলিশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘাটতি ছিল জবাবদিহির। আর এ কারণেই হেফাজতে নির্যাতন, হত্যা ও গুমের মতো অপরাধগুলোর সঙ্গে বাহিনীর সদস্যরা জড়িয়ে পড়েছিলেন। পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের প্রাণঘাতী অস্ত্রগুলোও বেপরোয়া করে তুলেছিল পুলিশকে। তারা ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নজিরও স্থাপন করেছিল। এছাড়া স্বচ্ছতার ঘাটতিও পুলিশ সদস্যদের নির্বাচন কারচুপির মতো অপরাধে সম্পৃক্ত করে তুলেছিল। সব মিলিয়ে পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম তাদের এক প্রকার জনবিচ্ছিন্ন করে তুলেছিল। আর সেখান থেকেই পুলিশের ওপর সাধারণ জনগণের তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়, যার বহিঃপ্রকাশ গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে প্রকাশ্যে আসে। বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো পুলিশকে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে। ফলে পুলিশ জনগণের বন্ধু না হয়ে চরম শত্রুতে পরিণত হয়। সেই জায়গা থেকে এখনো বের হয়ে আসতে পারেনি পুলিশ। সংস্কার কার্যক্রম দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সৃষ্ট দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রাক্তন সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, এ মুহূর্তে জনপ্রশাসন কিংবা পুলিশের সংস্কারের বিষয়টি অন্তর্র্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায়ই নেই বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার সাধারণত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করে। যেসব বিষয় সরকারের অগ্রাধিকারে রয়েছে, সেগুলোতেই নজর দেয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যে কাজ, এ মুহূর্তে সেটিই সরকারের অগ্রাধিকার। বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কার, বিচার বিভাগের সংস্কার, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার, এগুলোই হয়তো সরকারের প্রায়োরিটি। এগুলো শেষ করার পরেই হয়তো সরকার জনপ্রশাসন কিংবা পুলিশ সংস্কারে নজর দেবে।
মানবাধিকার কর্মী ও গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, যে প্রস্তাবগুলো পুলিশ সংস্কার কমিশন থেকে এসেছে সেগুলো কার্যকর করা খুবই দরকার ছিল। এ সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর যত বিলম্বিত হবে, পুলিশের ঘুরে দাঁড়ানোও ততটাই বিলম্বিত হবে। এতে জনবান্ধব পুলিশিং বা কাক্সিক্ষত পুলিশি সেবা প্রাপ্তি থেকে জনগণ বঞ্চিত হবে। আশা করি অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো কার্যকরে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
























