- আগুনে পুড়েছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম
- গার্মেন্টস পণ্য, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল এবং আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের শিপমেন্ট ভস্মীভূত
- মারাত্মক ক্ষতির মুখে অসংখ্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান
- ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য খাতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে
- আগামী তিন দিন নন-শিডিউলড ফ্লাইটের সব চার্জ মওকুফ: উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার গার্মেন্টস পণ্য, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল এবং আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের শিপমেন্ট পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন অসংখ্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তাঁদের আশঙ্কা, ভয়াবহ এই আগুনে ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে হাজার কোটি টাকা।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল, রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা পোশাক ও গুরুত্বপূর্ণ নমুনা পণ্য (স্যাম্পল) ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান। গতকাল রোববার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিএমইএর এ নেতা বলেন, শনিবার বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ ঘটনায় আমরা বিজিএমইএ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য আজ আমরা এখানে এসেছি। সাধারণত হাই ভ্যালুড পণ্য ও জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথে জাহাজীকরণ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা পোশাক, পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অনেক স্যাম্পল ছিল। এই স্যাম্পলগুলো সরাসরি নতুন ব্যবসার পথ উন্মোচন করে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য। এই স্যাম্পলগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিএমইএর সদস্যদের কাছে নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টালও খোলা হয়েছে। বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বলেন, আমাদের সদস্যরা প্রায় সবাই এয়ারপোর্টে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। সেই হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। বিজিএমইএ দ্রুত সমস্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করবে। আমরা ভেতরে গেলাম, ভেতরে গিয়ে আমরা বিধ্বস্ত অবস্থা দেখলাম, ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। আমদানির সেকশনটা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এটা কতটা ভয়াবহ ভেতরে গিয়ে আমরা বুঝতে পারলাম। ভীষণ একটা খারাপ অবস্থা ভেতরে। আমাদের কতদিন লাগবে আমরা ঠিক জানি না, ১৫ দিন থেকে ১ মাস লাগবে এটাকে আবার ব্যাক (পুনরায় সচল) করার জন্য। বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, এখানে বাণিজ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে। আমরা মিটিং করেছি এখানেই দাঁড়িয়েই। পুরো জায়গার অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। উনি ইমিডিয়েটলি বলেছেন যে, এখন তো জায়গা নেই আমদানি আসার। এটাকে সুবিধাজনক করার জন্য টার্মিনাল ৩-এ নতুন জায়গা দেওয়া হবে। বিজিএমইএর যারা আমাদের মেম্বার, যারা আমদানি করছে, এখন মালামাল প্রতিদিন আসবে, সেটা যেন খুব দ্রুত ৩৬ ঘণ্টার ভেতরে ক্লিয়ার করা হয় (আগে যেটা ছিল ৭২ ঘণ্টা)। সেটার জন্য উনি আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা আমাদের মেম্বারদের জানাব একই কথা। কাস্টমসের সাথেও আমরা একটা ওয়ার্কিং কমিটি করে খুব দ্রুত সুবিধাজনক করে মালগুলো যেন বের করা যায়, যেন জমে না যায়, সেটার স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলাপ হয়েছে ভেতরে।
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুনে শুধু তাদের আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্ডারেরও (ক্রয়াদেশ) ক্ষতি হবে। এতে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় পর্যন্ত প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ায় দেশের স্বাস্থ্য খাতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। কারণ এই কাঁচামাল দিয়েই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জীবন রক্ষাকারী ও ক্যানসারের ওষুধ তৈরি হয়। গতকাল ৮ নম্বর গেটের সামনে কার্গো ভিলেজে কর্মরত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এম আর লজিস্টিকসের কর্মচারী মো. এনায়েত হোসেন বলেন, শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি কার্গো ভিলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি, ৮ নম্বর ফটকে আটকে দেওয়া হয়। তাদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না বলে জানানো হয়। ফলে প্রায় ২০-২৫ মিনিট সময় নষ্ট হয়। এর মধ্যেই আগুন সারা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। কার্গো ভিলেজের কিউইপি-এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী মো. সাইদ হোসেন বলেন, দুপুর সোয়া ২টায় কেমিক্যাল গোডাউন থেকে আগুন দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিস আসে। কিন্তু তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। তবে শনিবার রাতে এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা গেটে যে গাড়ি দেখেছেন সেটি হয়তো অন্য কোনো সংস্থার ছিল। আমাদের ফায়ারের ইউনিট যখন ঘটনাস্থালে পৌঁছায় তখন আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবনজুড়ে এখনো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ধ্বংসস্তূপ দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। উত্তরার গার্মেন্টস ইনপুট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফার্স্ট অ্যান্ড সেফ’-এর মালিক মো. বেনজির বলেন, ‘হংকং ও চায়না থেকে দু’টি শিপমেন্ট এসেছিল রেডিমেড গার্মেন্টসের। স্যাম্পল প্রোডাক্টসহ সবই পুড়ে গেছে। আমরা ছোট ব্যবসায়ী—লাখ পাঁচেক টাকার মাল পুড়লেও সেটা আমাদের জন্য বিশাল ক্ষতি। আজ মালামাল খালাসের কথা ছিল, কিন্তু আগুনে সব শেষ!’ শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় আমদানি কার্গো ভিলেজ থেকে মালামাল খালাস বন্ধ ছিল। ভেতরে প্রচুর রাসায়নিক, গার্মেন্টস পণ্য ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল ছিল—সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মো. বেনজির আরও জানান, এখানে ৬৮টি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস অফিস রয়েছে। তবে ২০-২২টি নিয়মিত কার্যক্রম চালায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার কোটি টাকার মালামাল আসত। এখন প্রায় সবই পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান এমএস জি এস কোম্পানি জানায়, তাঁদের প্রায় ১ লাখ মার্কিন ডলারের কাঁচামাল আগুনে পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দেশের নামিদামি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর জন্য চীন, ভারত ও জার্মানি থেকে কাঁচামাল আনি। ভেতরে আমাদের ২০টি শিপমেন্ট ছিল, সবই পুড়ে গেছে। এসব কাঁচামাল দিয়ে ক্যানসারসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হতো। এতে ওষুধ উৎপাদনে বড় ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়বে। গার্মেন্টস শিল্পেও বড় ধাক্কা লেগেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিটি গ্রুপের এজিএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ১০টি শিপমেন্ট ছিল—সবই গার্মেন্টসের কাঁচামাল। ফেব্রিকস, সুতা, ডাইং মেশিনের স্পেয়ার পার্টস সব পুড়ে গেছে। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৯- ১০ কোটি টাকা। আমাদের সব শিপমেন্টে ইন্স্যুরেন্স ছিল, ক্ষতিপূরণ দাবি করব। কিন্তু শিল্পে যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে, সেটা আর পুষিয়ে ওঠা সহজ নয়। কাঁচামাল ছাড়া পোশাক উৎপাদন সম্ভব নয়।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৮ টন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এসব সরঞ্জাম গতকাল রোববার কার্গো ভিলেজ থেকে খালাস হওয়ার কথা ছিল। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬ দিন আগে রাশিয়া থেকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আনা হয়। মমতা ট্রেডিং কোম্পানি নামে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মমতা ট্রেডিংয়ের বিপ্লব হোসাইন জানান, ছয় দিন আগে রাশিয়া থেকে সাতটি শিপমেন্টের মাধ্যমে প্রায় ১৮ টনের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এসেছিল। এসব পণ্য খালাসের জন্য পরমাণু শক্তি কমিশন থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) নিতে হয়। সেই এনওসি নিতে দেরি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পণ্য খালাস করা যায়নি। আজ খালাস হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তার মধ্যেই এসব পণ্য আগুনে পুড়ে গেছে। বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকার আগামী তিন দিন নন-শিডিউলড ফ্লাইটের সব ধরনের চার্জ মওকুফ করেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, আগুনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আগামী তিন দিন যেসব নন-শিডিউলড ফ্লাইট আসবে, সেগুলোর সব ধরনের মাশুল ও চার্জ মওকুফ করার বিষয়ে অর্ডার জারি করা হয়েছে। গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব ধরনের বিষয়কে মাথায় রেখে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’ এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আগে ও পরে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার কারণ—এসব বিষয়ে কারও কোনো দায় বা ব্যত্যয় আছে কি না, সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান করে করা হবে বলে জানান তিনি। আগুন লাগার পর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করতে অনেক সময় নিয়েছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন অথরিটির নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা আগুন লাগার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই অ্যাপ্রোচ করেছে। যত ধরনের অভিযোগ এসেছে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় তা বিশ্লেষণ করে যথাযথ অনুসন্ধান ও ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপশি সব বিষয়কে আমলে নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সব বিষয়কে মাথায় রেখে অনুসন্ধান চালানো হবে। গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ বিষয়টি অনুসন্ধান চালানো হবে।’ এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা জানান, আগুন লাগার ১৫ মিনিটের মধ্যেই তা পুরো টার্মিনালে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৪০০ ফিট পর্যন্ত উপরে উঠে যাওয়ায় মালামাল সরানো সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সম্মিলিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। আগুন নেভার পর রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর পুরোপুরি চালু হয়।























