নেত্রকোণা প্রতিনিধি
বিভিন্ন আসক্তিতে নতুন প্রজন্ম দিশেহারা। মোবাইল আসক্তির পাশাপাশি মোবাইলে জুয়া আর পণ্যগ্রাফিতে তাদের লক্ষবস্তু থেকে ছিটকে পড়ে জীবনের ছন্দপতন ঘটাচ্ছে বহু তরুণ প্রজন্ম। এছাড়াও বিড়ি, সিগারেট, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হিরোইন ইত্যাদি আসক্তির কারণে নিজেদের জীবনকে যেমন অনিশ্চিত করে ফেলছে তেমনি সমাজে বিভিন্ন অনৈতিক অপরাধে জড়িয়েও পড়ছে। চুরি, রাহাজানি, ছিনতাই ও ইভটিজিং হয়ে উঠেছে তাদের নিত্য দিনের অকাজ। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় আর ছুটির সময় বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ইভটিজিং লক্ষণীয়। ওরা পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রেরও হয়ে উঠেছে অভিশাপ। আসক্তির কারণে ধ্বংসের পরিণয়ে লাখো লাখো যুবক। প্রেমে ব্যর্থতা কিংবা বেকারত্বের অভিশাপ কিংবা ডিপ্রেশন হতে পারে আসক্তির কারণ। সঙ্গী দোষে নেশার প্রতি অতি আগ্রহ হতে পারে আসক্তির অন্যতম কারণ। তবে যাই হোক না কেন, সন্তানের প্রতি দায়িত্বহীনতা ও স্নেহ-মমতার অভাবও বিপথগামীর কারণ হতে পারে। কোন নির্জন এলাকায় কিংবা পরিত্যক্ত ভবনে জমে উঠে নেশার আড্ডা। সাধারণ মানুষ ওদের সাংগঠনিক নেশার আড্ডাকে প্রতিহত করতে ভয় পায়। অসংগঠিত দায়িত্বহীন সামাজিক মানুষ গুলো আইনের সহযোগিতা নিতেও কার্পণ্য করে। পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দিনেও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা এখন উদ্বিগ্নতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে নেত্রবাসীর। অনিয়ন্ত্রিত নেশাকারীদের কাছে পরিবারের অভিভাবকগণ জিম্মি ও আর্থিক চাপে শিকার। এমনাবস্থায় আইন প্রয়োগের মাধ্যমেই এদের সংশোধন বলে প্রত্যেক অভিভাবকগণের দীর্ঘশ্বাস রয়েছে। পুলিশি তৎপরতার মাধ্যমে বিভিন্ন নেশার আড্ডা গুলোকে ভেঙে ফেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ উচিত বলে সুধীজন ধারণা পোষণ করেন।
















