০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ ১০৭ জন জিপিএ ৫ পেয়ে উপজেলার শীর্ষে

শাহ আলম জাহাঙ্গীর,মুরাদনগর প্রতিনিধি 

কুমিল্লার মুরাদনগরের ঐতিহ্যবাহী অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ থেকে এবার ১০৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ -৫ পেয়ে উপজেলায় শীর্ষে অবস্থান করছে। পাসের হার ৯১.৭৩%। ৬৫৩ জন পরীক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে মোট ৫৯৯ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে ৮৬ জন, ব্যবসায় শিক্ষা -৭ জন ও মানবিক বিভাগে ১৪ জন জিপিএ -৫
পেয়েছে।  ৬৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩০৩ জন, ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১১৫ জন ও মানবিক বিভাগে ১৮১ জন পরীক্ষার্থী পাস করে।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সার্বিক
ফলাফলে  উপজেলার ১২টি কলেজের মধ্যে
এ  কলেজের জিপিএ – ৫ সংখ্যা
প্রায় দ্বিগুন। কলেজটি ১৯৯৫ সালে  প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুমিল্লা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায়
১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। এ ধারা অব্যাহত থাকে পর পর বেশ কয়েক বছর। ২০০০ সালে  সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২৪ জন স্থান করে সারা দেশে ৯ম স্থান অর্জন করে।
ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দুবার ফেল করা শিক্ষার্থী বর্তমানে ফেসবুকে, ইউটিউবে ভার্চুয়াল জগতে ভাইরাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটর ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ  এই কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বাণিজ্য বিভাগে ১ম স্থান অর্জন করেন।
কলেজের বটতলায় ছাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ২০২৩ সালে কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী  ফলাফলে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কলেজ প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আবদুল মজিদ ও  সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ  করে বলেন, কলেজের অতীত ঐতিহ্য আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। উপজেলা সরকারি কলেজসহ অন্যসব কলেজের শীর্ষে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ। উপজেলার  অন্য সব কলেজে জিপিএ – ৫
যা পেয়েছে  আমরা তার প্রায় দ্বিগুন পেয়েছি।
এবার অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ফলাফলে আনরা সন্তুষ্ট।

কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন, ভালো ফলাফল করতে পরিশ্রম করতে হবে।তার প্রমাণ কলেজের অতীত ঐতিহ্য।  ।  একজন সাধারণ শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান কিংবা পর পর দুবার  ফেল করা শিক্ষার্থী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের মেধা কাজে লাগিয়ে কুমিল্লা বোর্ডে বাণিজ্য বিভাগে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেেছ।সুতরাং পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় ও ছাত্রদের আপ্রাণ চেষ্টায় আবারো কলেজের অতীত গৌরব ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য ২০২২ সালে এ কলেজ থেকে ৪১২ জন জিপিএ- ৫ পেয়ে বোর্ডের অন্যতম সেরা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অকৃত্রিম ভালোবাসায় আপসহীন নেত্রীকে চিরবিদায় জানাল বাংলাদেশ

অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ ১০৭ জন জিপিএ ৫ পেয়ে উপজেলার শীর্ষে

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

শাহ আলম জাহাঙ্গীর,মুরাদনগর প্রতিনিধি 

কুমিল্লার মুরাদনগরের ঐতিহ্যবাহী অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ থেকে এবার ১০৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ -৫ পেয়ে উপজেলায় শীর্ষে অবস্থান করছে। পাসের হার ৯১.৭৩%। ৬৫৩ জন পরীক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে মোট ৫৯৯ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে ৮৬ জন, ব্যবসায় শিক্ষা -৭ জন ও মানবিক বিভাগে ১৪ জন জিপিএ -৫
পেয়েছে।  ৬৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৩০৩ জন, ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১১৫ জন ও মানবিক বিভাগে ১৮১ জন পরীক্ষার্থী পাস করে।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সার্বিক
ফলাফলে  উপজেলার ১২টি কলেজের মধ্যে
এ  কলেজের জিপিএ – ৫ সংখ্যা
প্রায় দ্বিগুন। কলেজটি ১৯৯৫ সালে  প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুমিল্লা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায়
১ম, ২য়, ৩য় স্থান অর্জন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। এ ধারা অব্যাহত থাকে পর পর বেশ কয়েক বছর। ২০০০ সালে  সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২৪ জন স্থান করে সারা দেশে ৯ম স্থান অর্জন করে।
ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দুবার ফেল করা শিক্ষার্থী বর্তমানে ফেসবুকে, ইউটিউবে ভার্চুয়াল জগতে ভাইরাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটর ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ  এই কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বাণিজ্য বিভাগে ১ম স্থান অর্জন করেন।
কলেজের বটতলায় ছাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ২০২৩ সালে কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস আহমদ চৌধুরী  ফলাফলে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কলেজ প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আবদুল মজিদ ও  সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ  করে বলেন, কলেজের অতীত ঐতিহ্য আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। উপজেলা সরকারি কলেজসহ অন্যসব কলেজের শীর্ষে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ। উপজেলার  অন্য সব কলেজে জিপিএ – ৫
যা পেয়েছে  আমরা তার প্রায় দ্বিগুন পেয়েছি।
এবার অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ফলাফলে আনরা সন্তুষ্ট।

কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বলেন, ভালো ফলাফল করতে পরিশ্রম করতে হবে।তার প্রমাণ কলেজের অতীত ঐতিহ্য।  ।  একজন সাধারণ শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান কিংবা পর পর দুবার  ফেল করা শিক্ষার্থী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের মেধা কাজে লাগিয়ে কুমিল্লা বোর্ডে বাণিজ্য বিভাগে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেেছ।সুতরাং পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতায় ও ছাত্রদের আপ্রাণ চেষ্টায় আবারো কলেজের অতীত গৌরব ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য ২০২২ সালে এ কলেজ থেকে ৪১২ জন জিপিএ- ৫ পেয়ে বোর্ডের অন্যতম সেরা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।