ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডিকে কারণ দর্শাও নোটিশ অনুসন্ধান কমিটির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সংসদীয় আসন-৭৭, কুষ্টিয়া-৩ অঞ্চলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার জন্য সকল ইমামদের ডেকে নির্দেশ প্রদান এবং নৌকা প্রতিকের সমর্থকদের দ্বারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক দুইজন নারীর উপর হামলা নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দুইজনকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্ত হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক মো. হেলালুজ্জামান এবং সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়া-৩ অঞ্চলের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব দেয়ার জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর রবিবার নোটিশপ্রাপ্ত ব্যক্তিদ্বয় স্ব-শরীরে এজলাসে হাজির হয়ে অভিযোগের লিখিত বক্তব্য প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়ার ডিডি মো. হেলালুজ্জামান শিক্ষক ও ইমামদের ডেকে নিয়ে তার কনফারেন্স রুমে মিটিং করে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার ও প্রচারনা করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশনা সরকারী চাকুরী ও আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বিষয়ে মো. হেলালুজ্জামানকে নোটিশে নির্দেশিত সময়ে লিখিত বক্তব্যসহ হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. হেলালুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, ‘আমার পরিবারের একজনের মৃত্যুজনিত কারণে এমুহুর্তে আমি কর্মস্থলে নেই। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির শো-কজ নোটিশ প্রেরণের কথা আমি শুনেছি। আগামী রবিবার আমি আমার লিখিত বক্তব্য নিয়ে হাজির হবো কমিটির সামনে’।
অপর ঘটনার অভিযোগ হলো- গত ২০ ডিসেম্বর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারনায় যাওয়ার সময় সুরভী ও ফাহিমা নামের দুইজন নারী কর্মী বিত্তিপাড়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে নোটিশপ্রাপ্ত আবু বক্কর সিদ্দিকের তিন ছেলে নৌকা প্রতিকের সমর্থক যথাক্রমে সিদ্দিক, সৌরভ ও সোহাগ ওই দুই নারী কর্মীকে বহনকারী ব্যাটারী চালিত অটোটি টেনে হিচড়ে রাস্তা থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে অটো যাত্রী সুরভী ও ফাহিমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে নোটিশ প্রাপ্ত আবু বক্কর সিদ্দিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
















