যশোর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করে সনদপত্র দিচ্ছেন ইন্টার্নরা। এদিকে, রোগীর ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্রিপশন) চিকিৎসকরা নামের সিল মারছেন না। প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম লিখছেন অস্পষ্ট অক্ষরে। অথচ এসব অনিয়ম না করতে অতীতে সভা করে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব নিয়ম এখন আর মানা হচ্ছে না।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল ডা. আবুল কালাম আজাদ তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করার পর চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আলোচনায় বসেন। তিনি নির্দেশনা দেন ইন্টার্নরা কারো মৃত্যু সনদ ও রোগীর ছাড়পত্র দিতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কনসালটেন্ট বা সহকারী রেজিস্ট্রারকে এই দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
এ ছাড়া কোন রোগীর ব্যবস্থাপত্রে অস্পষ্ট স্বাক্ষর না, চিকিৎসকের নাম সম্বলিত সিল মেরে তারপর পরিস্কার অক্ষরে নাম লিখতে বলা হয়। যাতে করে রোগী নিশ্চিত হতে পারেন তিনি কোন চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করলেন। ফলো আপ চিকিৎসার জন্য ওই চিকিৎসকের কাছে যাতে যেতে পারেন তার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সেসব নির্দেশ মানা হচ্ছে না।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইর্ন্টানরা মৃত্যু সনদ দিচ্ছেন। রোগীদের অন্যত্র রেফার করছেন। রোগীর প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের নামের সাথে সিল ব্যবহার করা হচ্ছে না।
জাহানারা বেগম ও নজরুল ইসলাম নামে দুই রোগী বহিঃবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বের হলে তাদের টিকিট দেখে বোঝার গেল না তিনি কোন ডাক্তারের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিলেন। টিকিটে নাম সম্বলিত সিল স্বাক্ষর। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের লেখা নাম অস্পষ্ট। অনেক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এটি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া স্পষ্ট অক্ষরে পাঠ উপযোগী প্রেসক্রিপশন (চিকিৎসাপত্র) না করে চিকিৎসকরা হাইকোর্টের নির্দেশনাও অমান্য করছেন। মণিরামপুর উপজেলার তালেব খানের (৭২) মৃত ঘোষণা করে সনদপত্র দেন এক ইন্টার্ন। এছাড়া আন্না বিশ্বাস ও রুবাইয়া খাতুনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, এসব অনিয়মের বিষয়ে কোন রোগী বা স্বজন তাকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। তবে খোঁজ নিয়ে যথায়থ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


























