১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আটকে গেল আমীর খসরুর মুক্তি 

রাজধানীর রমনা থানায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এর ফলে আটকে গেল তার মুক্তি।

 

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে পল্টন ও রমনা থানার দুই মামলায় জামিন চেয়ে শুনানি করেন আমীর খসরুর আইনজীবীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম হিমেল।

 

এর মধ্যে ২৮ অক্টোবরে বিএনপি মহাসমাবেশে সংঘর্ষের সময় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পল্টন মডেল থানার মামলায় আমীর খসরুর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করা হয়।

জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে হওয়া ১০ মামলার মধ্যে নয়টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বুধবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলাটিতে জামিন পেলেই আমীর খসরু মুক্তি পেতেন বলে উল্লেখ করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হামলা করেননি। তিনি এ সময় মহাসমাবেশের মঞ্চে ছিলেন। আর এই হামলার ঘটনা সরকার ষড়যন্ত্র করে ঘটিয়েছে। এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আমরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করবো।

 

অন্যদিকে আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুরে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মানে হলো বিচারব্যবস্থার ওপর হামলা। এ মামলাটি তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন আসামি জামিন পেলে মামলার তদন্ত ও ন্যায়বিচার চরমভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

 

গত ১৮ জানুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আমীর খসরুকে চার মামলায়, ২১ জানুয়ারি দুই মামলায় ও বুধবার (২৪ জানুয়ারি) আরও এক মামলায় জামিন প্রদান করেন। এছাড়াও ১৭ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক আমীর খসরুকে দুই মামলায় জামিন দেন। সবমিলিয়ে ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় হওয়া ১০ মামলার মধ্যে নয়টিতে জামিনে আছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।

স/মিফা
জনপ্রিয় সংবাদ

কাবা শরীফ চত্বরে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির

আটকে গেল আমীর খসরুর মুক্তি 

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর রমনা থানায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এর ফলে আটকে গেল তার মুক্তি।

 

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে পল্টন ও রমনা থানার দুই মামলায় জামিন চেয়ে শুনানি করেন আমীর খসরুর আইনজীবীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম হিমেল।

 

এর মধ্যে ২৮ অক্টোবরে বিএনপি মহাসমাবেশে সংঘর্ষের সময় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পল্টন মডেল থানার মামলায় আমীর খসরুর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করা হয়।

জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে হওয়া ১০ মামলার মধ্যে নয়টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বুধবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলাটিতে জামিন পেলেই আমীর খসরু মুক্তি পেতেন বলে উল্লেখ করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হামলা করেননি। তিনি এ সময় মহাসমাবেশের মঞ্চে ছিলেন। আর এই হামলার ঘটনা সরকার ষড়যন্ত্র করে ঘটিয়েছে। এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আমরা ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করবো।

 

অন্যদিকে আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুরে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মানে হলো বিচারব্যবস্থার ওপর হামলা। এ মামলাটি তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন আসামি জামিন পেলে মামলার তদন্ত ও ন্যায়বিচার চরমভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

 

গত ১৮ জানুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আমীর খসরুকে চার মামলায়, ২১ জানুয়ারি দুই মামলায় ও বুধবার (২৪ জানুয়ারি) আরও এক মামলায় জামিন প্রদান করেন। এছাড়াও ১৭ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক আমীর খসরুকে দুই মামলায় জামিন দেন। সবমিলিয়ে ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় হওয়া ১০ মামলার মধ্যে নয়টিতে জামিনে আছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এরপর পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।

স/মিফা