মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ’র ভাইস-চেয়ার লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে চারজন এমপিসহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাক্ষাৎ করেন। যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের অন্য সদস্যরা হলেনÑ কনজারভেটিভ পার্টির এমপি এবং সাবেক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতি মন্ত্রী পল স্কালি, লেবার পার্টির এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির সদস্য নিল কোয়েল, বিরোধীদলীয় (লেবার পার্টি) হুইপ লেবার পার্টির এন্ড্রু ওয়েস্টার্ন। একই সঙ্গে হাউস অব কমন্সের সিনিয়র পার্লামেন্টারি এসিস্ট্যান্ট ডোমিনিক মোফিট, কুইনস কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান কানেক্ট চেয়ারম্যান জিল্লুর হুসেইন ও কানেক্টের প্রধান নির্বাহী ড. ইভলিনা বানায়ালিভা এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুমন চৌধুরী বৈঠকে যোগ দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করার জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন। আমাদের দেশে আরও ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানোর জন্য তাদের আমি অনুরোধ করেছি। বিশেষ করে আইসিটি ও অ্যাগ্রিকালচার সেক্টরে ইনভেস্টমেন্টের যে সম্ভাবনা আছে, সেটির কথা বলেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, সেটি হঠাৎ করে হয়নি। এটি আরো কয়েকদিন আগে থেকে হয়েছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সেখানে সতর্ক রয়েছে। সেখানে কিছুদিন পরপরই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যদি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
গাজা ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইসিজে যে রায় দিয়েছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। সাউথ আফ্রিকার আপিলে আমরা এর আগে সমর্থন জানিয়েছি। ভবিষ্যতে সাউথ আফ্রিকাকে যদি আরো সমর্থন দিতে হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে। ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে, সেটিও আইসিজের রায়ে বলা হয়েছে। সেখানে গণহত্যা হচ্ছে এবং সেটি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এই রায় ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, মানবতার কারণে রোহিঙ্গাদের তখন স্থান দিয়েছিলাম। যেসব রোহিঙ্গা নাগরিক আমাদের দেশে এসেছে তাদের কারণে আমাদের নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে আমরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দলের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের এখানে নিরাপত্তা ও পরিবেশগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদের সদস্য রিক্রুট করার চেষ্টা করে। তারা আমাদের জন্য নানা সমস্যা। আমাদের দেশ জনবহুল, রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে নতুন রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
শিরোনাম
রাখাইনে উত্তেজনা সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
নিজস্ব প্রতিবেদক - আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
- ।
- 77
জনপ্রিয় সংবাদ























