চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ভারত ও মিয়ানমারের ১৯৩ জন নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরমধ্যে ৬ জন ভারতীয় ও ১৮৭ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন। আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সীমান্তবর্তীসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সবুজ বাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জব্দকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৬ কেজি ৬২০ গ্রাম স্বর্ণ, এক লাখ ৮৪ হাজার ৪৪টি কসমেটিকস সামগ্রী, সাত হাজার ৮৭৪টি ইমিটেশন গয়না, ১৩ হাজার ৪৮৯টি শাড়ি, ১২ হাজার ৩২টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, চার হাজার ৮৮২ ঘনফুট কাঠ, দুই হাজার ১৫০ কেজি চা পাতা, ২৭ হাজার ১৫০ কেজি কয়লা, দুটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৪টি ট্রাক, একটি বাস, সাতটি পিকআপ, তিনটি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৯টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৫৯টি মোটরসাইকেল। এর পাশাপাশি বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করেছে বিজিবি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নয়টি পিস্তল, পাঁচটি বিভিন্ন প্রকার বন্দুক, আটটি ম্যাগাজিন, দুই দশমিক ৪৫ কেজি গান পাউডার এবং ৩৩ রাউন্ড গুলি।
মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, এছাড়া গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১০ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৯টি ইয়াবা ট্যাবলেট, আট কেজি ৩১২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩৯ দশমিক ৩৭৪ কেজি হেরোইন, ১১ হাজার ৯৭৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৯ হাজার ৭২৪ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ২৯৬ লিটার বাংলা মদ, এক লাখ এক হাজার ৭৬০টি মদ তৈরির ট্যাবলেট, এক হাজার ৩৮ ক্যান বিয়ার, ৬৫৪ কেজি গাঁজা, এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৪৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, দুই হাজার ৪৮২ বোতল সিরাপ, চার দশমিক ৮৪৫ কেজি কোকেন, ১১ হাজার ৯৭৬ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৩০৮টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১৬৭ প্যাকেট কিটনাশক এবং এক হাজার ১৬৪টি অন্যান্য ট্যাবলেট। অন্যদিকে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৫ জন চোরাচালানিকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
















