০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এগিয়ে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা সরকার গঠন নিয়ে ধোঁয়াশা

কোয়ালিশন ছাড়াই সরকার গঠনের আশা ইমরানের দল পিটিআইয়ের

২৫১ আসনের ফলে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০৬টিতে জয়ী

 

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টায় প্রকাশ হয়েছে অর্ধেকের মতো আসনের ফল। এতে অনেক প্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, অভিযোগ করছেন কারচুপির। কারাবন্দি ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ অনিয়মের আশ্রয় নিতেই ফল প্রকাশে দেরি করা হচ্ছে। সবশেষ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ঘোষিত ফলে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০৬টি আসনে জয় পেয়েছে। নওয়াজের শরিফের পাকিস্তান মুসলীম লীগ জয় পেয়েছে ৬৭ আসনে। ৫৭ আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। অন্যন্য পেয়েছে ১৮টি। এখনো ফল ঘোষণা হয়নি ৪৮ আসনে। স্থগিত আছে এক আসনে।
নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শুরু হলেও স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৬ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া
প্রথম দিকে যেসব প্রার্থী অনেক বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এখন শেষ দিকে দেখা যাচ্ছে তারা হেরে যাচ্ছেন। নির্বাচনের ফলাফল ম্যানুপুলেটিং বা কারসাজি করা হচ্ছে কি না তা নিয়েও সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
যদি তাই হয় তবে সেটি হবে পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বড় তামাশা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তানের গণতন্ত্র, নষ্ট হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। ব্যাপক ধরপাকড়, অত্যাচার ও নিপীড়নের পরেও সবশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ২৬৫টি। কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪ আসন।
তাই প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। অপেক্ষা করতে হবে জোট গঠন পর্যন্ত। কিন্তু জোটের বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান গতকাল শুক্রবার জিও নিউজকে জানান, ইমরান খানের দল পিটিআই আশা করছে, দেশটির জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৫০ আসনে জিতবে, এবং কোনো জোট ছাড়াই দলটি সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, ‘পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা সরকার গঠনের অবস্থানে আছে।
আমরা পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে এবং পাঞ্জাবে সরকার গঠন করব। খাইবার পাখতুনখোয়ায় পিটিআই স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছে এবং সেখানেও সরকার গঠন করবে। পিটিআই সংসদে থাকবে এবং যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’ পিটিআই নেতা গওহর বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পিটিআইয়ের সদস্য এবং তারা দলীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন না।’
এর আগে নওয়াজের দল পিএমএল-এনের সিনিয়র নেতা ইসহাক দাবি করেন, জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তার দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পিটিআই প্রধান ইমরান খানের পাশাপাশি, সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না তার দলের প্রার্থীরাও। তাদের প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ বরাদ্দ দেয়নি দেশটির নির্বাচন কমিশন। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন পিটিআই প্রার্থীরা।

 

 

 

স/ম

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

এগিয়ে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা সরকার গঠন নিয়ে ধোঁয়াশা

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কোয়ালিশন ছাড়াই সরকার গঠনের আশা ইমরানের দল পিটিআইয়ের

২৫১ আসনের ফলে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০৬টিতে জয়ী

 

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টায় প্রকাশ হয়েছে অর্ধেকের মতো আসনের ফল। এতে অনেক প্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, অভিযোগ করছেন কারচুপির। কারাবন্দি ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ অনিয়মের আশ্রয় নিতেই ফল প্রকাশে দেরি করা হচ্ছে। সবশেষ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ঘোষিত ফলে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০৬টি আসনে জয় পেয়েছে। নওয়াজের শরিফের পাকিস্তান মুসলীম লীগ জয় পেয়েছে ৬৭ আসনে। ৫৭ আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। অন্যন্য পেয়েছে ১৮টি। এখনো ফল ঘোষণা হয়নি ৪৮ আসনে। স্থগিত আছে এক আসনে।
নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শুরু হলেও স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৬ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া
প্রথম দিকে যেসব প্রার্থী অনেক বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এখন শেষ দিকে দেখা যাচ্ছে তারা হেরে যাচ্ছেন। নির্বাচনের ফলাফল ম্যানুপুলেটিং বা কারসাজি করা হচ্ছে কি না তা নিয়েও সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
যদি তাই হয় তবে সেটি হবে পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বড় তামাশা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তানের গণতন্ত্র, নষ্ট হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। ব্যাপক ধরপাকড়, অত্যাচার ও নিপীড়নের পরেও সবশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ২৬৫টি। কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪ আসন।
তাই প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। অপেক্ষা করতে হবে জোট গঠন পর্যন্ত। কিন্তু জোটের বিষয়টি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান গতকাল শুক্রবার জিও নিউজকে জানান, ইমরান খানের দল পিটিআই আশা করছে, দেশটির জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৫০ আসনে জিতবে, এবং কোনো জোট ছাড়াই দলটি সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, ‘পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা সরকার গঠনের অবস্থানে আছে।
আমরা পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সঙ্গে যোগাযোগ করছি না। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে এবং পাঞ্জাবে সরকার গঠন করব। খাইবার পাখতুনখোয়ায় পিটিআই স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছে এবং সেখানেও সরকার গঠন করবে। পিটিআই সংসদে থাকবে এবং যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’ পিটিআই নেতা গওহর বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পিটিআইয়ের সদস্য এবং তারা দলীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন না।’
এর আগে নওয়াজের দল পিএমএল-এনের সিনিয়র নেতা ইসহাক দাবি করেন, জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তার দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পিটিআই প্রধান ইমরান খানের পাশাপাশি, সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না তার দলের প্রার্থীরাও। তাদের প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ বরাদ্দ দেয়নি দেশটির নির্বাচন কমিশন। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন পিটিআই প্রার্থীরা।

 

 

 

স/ম