১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে সম্মত ইউরোপের ৪ দেশ

 

⏺ পশ্চিম তীরে ৮০০ হেক্টর জমি দখলের ঘোষণা ইসরায়েলের
⏺ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ‘পুরোনো ভণ্ডামি’ : রাশিয়া
⏺ ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়াল
⏺ আল-শিফা হাসপাতালে নিহত ১৭০, গ্রেপ্তার ৮০০

 

 

ফিলিস্তিন আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের চার দেশ। দেশগুলো হলো স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকের পর চার দেশের সম্মতির কথা জানিয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সাংবাদিকদের বলেন, কাউন্সিলের সমাবেশের ফাঁকে আইরিশ, মাল্টিজ এবং স্লোভেনিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই চুক্তি হয়েছে। তিন দেশের সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে স্পেন।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে আয়ারল্যান্ড বলেছে, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করা। তবেই শান্তি ও নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারবে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা।

এর আগে নভেম্বরে স্পেনে এক বৈঠকে একমত হয়ে আরব রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত বন্ধ করার উপায় হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর জর্ডান উপত্যকার আপাভ বসতি নির্মাণের জন্য ৮০০ হেক্টর এলাকাকে রাষ্ট্রীয় জমি হিসেবে দখলের ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমি দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এমন এক সময়ে এই ঘোষণা দিলেন যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফর করছেন। ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রীর নতুন ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি পর্যবেক্ষণ সংগঠন হলো পিস নাউ জানিয়েছে, ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পর এবার সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমি দখলর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। বছর হিসেবে ২০২৪ জমি দখলের চূড়ায় আরোহণ করেছে। পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি নাম জুডিয়া ও সামারিয়া অঞ্চল।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। বৈশ্বিক বিরোধিতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দশকে পশ্চিম তীরে কয়েক ডজন অবৈধ বসতি নির্মাণ করেছে ইসরায়েল। এসব বসতিতে প্রায় পাঁচ লাখ ইসরায়েলি বাস করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেছেন, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার পরিমাণ নাটকীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর আগে, গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের আনা প্রস্তাবকে পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। মূলত নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ভোটাভুটিতে রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি পাস হয়নি। ইতিপূর্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে অন্য দেশগুলোর আনা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। উত্থাপিত প্রস্তাবকে অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে রাশিয়ার দূত বলেন, এই প্রস্তাব ইসরায়েলের দায়মুক্তি নিশ্চিত করবে। এমনকি প্রস্তাবে ইসরায়েলের অপরাধের কোনো ধারণাই দেওয়া হয়নি। যেখানে গাজায় প্রথমদিকে ইসরাইলকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। সেখানে তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যখন ‘গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখেছি।

এদিকে গত শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে ৮২ জন নিহত এবং ১১০ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ২৯৮ জন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছে। উদ্ধারকারীরা এখনো তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় এই ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। এ অঞ্চলের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে ৬০ শতাংশ। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে আছে জনগণ। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের আশপাশে হামলা চালিয়ে সেনারা প্রায় ১৭০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৮০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। আর হাসপাতালের রোগী ও মেডিক্যাল সরঞ্জামের সুরক্ষার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী সোমবার থেকে আল-শিফা হাসপাতালের আশেপাশে অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার রোগী এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে সম্মত ইউরোপের ৪ দেশ

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

 

⏺ পশ্চিম তীরে ৮০০ হেক্টর জমি দখলের ঘোষণা ইসরায়েলের
⏺ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ‘পুরোনো ভণ্ডামি’ : রাশিয়া
⏺ ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়াল
⏺ আল-শিফা হাসপাতালে নিহত ১৭০, গ্রেপ্তার ৮০০

 

 

ফিলিস্তিন আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের চার দেশ। দেশগুলো হলো স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকের পর চার দেশের সম্মতির কথা জানিয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সাংবাদিকদের বলেন, কাউন্সিলের সমাবেশের ফাঁকে আইরিশ, মাল্টিজ এবং স্লোভেনিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই চুক্তি হয়েছে। তিন দেশের সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে স্পেন।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে আয়ারল্যান্ড বলেছে, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করা। তবেই শান্তি ও নিরাপত্তায় বসবাস করতে পারবে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা।

এর আগে নভেম্বরে স্পেনে এক বৈঠকে একমত হয়ে আরব রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত বন্ধ করার উপায় হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর জর্ডান উপত্যকার আপাভ বসতি নির্মাণের জন্য ৮০০ হেক্টর এলাকাকে রাষ্ট্রীয় জমি হিসেবে দখলের ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমি দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এমন এক সময়ে এই ঘোষণা দিলেন যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফর করছেন। ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রীর নতুন ঘোষণার পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি পর্যবেক্ষণ সংগঠন হলো পিস নাউ জানিয়েছে, ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পর এবার সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমি দখলর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। বছর হিসেবে ২০২৪ জমি দখলের চূড়ায় আরোহণ করেছে। পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি নাম জুডিয়া ও সামারিয়া অঞ্চল।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। বৈশ্বিক বিরোধিতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দশকে পশ্চিম তীরে কয়েক ডজন অবৈধ বসতি নির্মাণ করেছে ইসরায়েল। এসব বসতিতে প্রায় পাঁচ লাখ ইসরায়েলি বাস করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেছেন, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার পরিমাণ নাটকীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর আগে, গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের আনা প্রস্তাবকে পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। মূলত নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ভোটাভুটিতে রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি পাস হয়নি। ইতিপূর্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে অন্য দেশগুলোর আনা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। উত্থাপিত প্রস্তাবকে অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে রাশিয়ার দূত বলেন, এই প্রস্তাব ইসরায়েলের দায়মুক্তি নিশ্চিত করবে। এমনকি প্রস্তাবে ইসরায়েলের অপরাধের কোনো ধারণাই দেওয়া হয়নি। যেখানে গাজায় প্রথমদিকে ইসরাইলকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু করেনি। সেখানে তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলছে যখন ‘গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখেছি।

এদিকে গত শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে ৮২ জন নিহত এবং ১১০ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ২৯৮ জন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছে। উদ্ধারকারীরা এখনো তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় এই ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। এ অঞ্চলের অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে ৬০ শতাংশ। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে আছে জনগণ। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের আশপাশে হামলা চালিয়ে সেনারা প্রায় ১৭০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৮০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। আর হাসপাতালের রোগী ও মেডিক্যাল সরঞ্জামের সুরক্ষার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী সোমবার থেকে আল-শিফা হাসপাতালের আশেপাশে অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার রোগী এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।