ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৫ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। আমদানির এ বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের খরচ পড়বে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। নেপালকে দিতে হবে প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার দুপুরে এ জলবিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে পণ্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। জানা গেছে, বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী নেপালের ত্রিশুলি প্রকল্প থেকে ২৪ মেগাওয়াট এবং অন্য একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। ভারত হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে এ বিদ্যুৎ আসবে। ভারত হয়ে এ বিদ্যুৎ আসায় দেশটিকে ট্রেডিং মার্জিন দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতকে ইউনিটপ্রতি .০৫৯ রুপি দিতে হবে। ভারতকে ট্রান্সমিশন খরচও দিতে হবে তবে খরচ নির্ধারিত হয়নি।
নেপালের এ বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসে ‘বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন ও আমদানি’ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওই কমিটির প্রধান ছিলেন। বৈঠকে আ হ ম মুস্তাফা কামাল নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ট্যারিফ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, নেপাল থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম দেশে কয়লাভিত্তিক উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের তুলনায় কম পড়বে।
ওই বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে, নেপাল শীতকালে বাংলাদেশ কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিতে আগ্রহী। শীতে নেপালে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে, অন্যদিকে বাংলাদেশে চাহিদা কম থাকে। এই বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৫ বছরের জন্য ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।




















