❖ নিয়ন্ত্রণহীন ডেঙ্গু, বাড়াচ্ছে ঝুঁকি-বিপদ
❖ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরবাড়িতেচলছেচিরুনিঅভিযান
❖ গত ৪৮ ঘণ্টায়আক্রান্ত ২৫ জনেরমধ্যে ২০ জনইঢাকাবিভাগে
⮞ ডেঙ্গু প্রতিরোধেনিজএলাকারকমিউনিটি সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়াতেহবে : ডা. সামন্তলাল সেন
⮞ ঢাকারবাইরের ডেঙ্গু নিয়েএখনঝুঁকি বেশি : ডা. বে-নজীরআহমেদ
⮞ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরাবছরেরপ্রথমদিনথেকে কাজশুরুকরেছি: ডা. ফজলেশামসুলকবির
⮞ সোসাইটির লোকজননিয়েআলোচনাকরছি : মো. আফছারউদ্দিনখান
সারা দেশে গত ৪৮ ঘণ্টায় মোট ৩৫জন রোগী ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্তহয়েছে। এরমধ্যে ঢাকাবিভাগেইআক্রান্তহয়েছে ২০ জন। এই অবস্থার পরিবর্তনে গত শুক্রবারের ১৩০ মিলিমিটারবৃষ্টিসুযোগহিসেবে দেখাদিতেপারেবলেমনেকরছেনসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, যদি দুইসিটিকর্পোরেশনজমে থাকাপানিগুলো দ্রুতঅপসারণকরেতাহলেএডিসমশারলার্ভানিয়ন্ত্রণকরা সম্ভব। সূত্রমতে, ডেঙ্গু একটিমশাবাহিত রোগ। শুধুমাত্র এই রোগেরজীবাণুবহনকারিএডিসমশা থেকে নিজেকেরক্ষাকরতেপারলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গত ৪৮ ঘণ্টায়চট্টগ্রামবিভাগে ৩ জন, ঢাকাবিভাগেসাতজন, ঢাকা দক্ষিণসিটিকর্পোরেশনে ৩ জন, ঢাকাউত্তরসিটিকর্পোরেশনেসাতজন, ময়মনসিংহবিভাগে ১ জন ও রাজশাহীবিভাগে ১ জনআক্রান্তহয়েছেন। আক্রান্তদের ৮০ শতাংশপুরুষ, ২০ শতাংশনারী।
০-৫ বছরবয়সিদের মধ্যে আক্রান্ত ৪ জন, ৬-১০ বছরবয়সি ১ জন, ১১-১৫ বছরবয়সি ১ জন, ১৬-২০ বছরবয়সি ৪ জন, ২১-২৫ বছরবয়সি ৬ জন, ২৬-৩০ বছরবয়সি ৫ জন, ৩১-২৫ বছরবয়সি ৩ জন, ৭১-৭৫ বছরবয়সি ১ জনআক্রান্তহয়েছেন।
বাংলাদেশে গত ২৩ বছরেযত ডেঙ্গু রোগীচিকিৎসানিয়েছে গত ২০২৩ সালে এক বছরেইতার থেকে বেশি রোগীআক্রান্তহয়েছে। অর্থাৎ গত ২৩ বছরে দেশে মোট ডেঙ্গু রোগীছিলপ্রায়আড়াইলাখ। কিন্তু গত ২০২৩ সালেমাত্র এক বছরেই রোগীআক্রান্তহয়প্রায় ৩ লাখ। এই সংখ্যাশুধুহাসপাতালেভর্তিকৃতদের। এরবাইরেওআরও রোগীছিল। গত ১ জানুয়ারি থেকে আক্রান্তহয়েছে৩৯৭৪ জন।
ঢাকা দক্ষিণসিটিকর্পোরেশনেরপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফজলেশামসুলকবির দৈনিকসবুজবাংলাকেবলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতিনিয়ন্ত্রণে আমরাবর্ষারজন্য অপেক্ষাকরিনিআমরাএকদমবছরেরপ্রথমদিন থেকে কাজশুরুকরেছি। আপনিজানেন, এডিসমশাটাজন্মায়মানুষেরঘরেঘরে। সিটিকর্পোরেশনেরপক্ষেপ্রত্যেকটামানুষেরঘরে ঢোকা সম্ভব না। এজন্য আমরা ব্যক্তি পর্যায়েএবংপ্রাতিষ্ঠানিকপর্যায়েসবাইকেসচেতনকরেছি যে, কারোবাড়িতেযাতেপানিজমতেনাপারেএবংসবাইযাতেনিয়মিতপানিটাপরিষ্কার রাখেএবংএডিসমশা থেকে আমরাযাতে মুক্ত থাকতেপারি। এজন্য আমাদের মেয়রঢাকাশহরের সবসরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিতপ্রাইভেটপ্রতিষ্ঠানকেনিয়েসমন্বয়সভাকরেছেন। সবাইকেনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরাএরইমধ্যেবিশেষক্যাশ প্রোগ্রামকরেঢাকার সব স্কুল, ঢাকার সব থানা, পুলিশফাঁড়ি, ঢাকার সব হাসপাতাল প্রাঙ্গণআমরাপরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাএবংমশকনিধনক্যাশ প্রোগ্রামকরেছি। এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক রোগীরতালিকায়আমাদের যেসব রোগীপাওয়াযাচ্ছে, আমরা সেসব রোগীরবাড়িএবংবাড়িসংলগ্নএলাকায়প্রতিদিনচিরুনিঅভিযানচালাচ্ছি। আগামী ১৬ তারিখ থেকে আমাদের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুমশুরুহতেযাচ্ছে। যেটারমাধ্যমে আমরাসারাশহরেরকর্মকাণ্ডসবকিছুলাইভমনিটরিংয়েরআওতায়নিয়েআসব। সবমিলিয়েআমাদের কর্মকাণ্ডপুরোদমে চলছেএবং গত বছরেরতুলনায় এই বছর ডেঙ্গু রোগীঢাকা দক্ষিণেঅনেকঅনেক কম এবংআমরাআশাকরি, আমরা এই অবস্থাটাবহালরাখতেপারব।
ঢাকাউত্তরসিটিকর্পোরেশনের ১ নংওয়ার্ডেরকাউন্সিলর মো. আফছারউদ্দিনখান দৈনিকসবুজবাংলাকেবলেন, আমরামশারঔষধদিচ্ছি। বাড়িবাড়িযাচ্ছি। এডিসমশাটা স্বচ্ছ পানিতেজন্মায়। এজন্য লোকজনদের নিয়ে সব বাড়িতেযাচ্ছি। মাননীয় মেয়রএকটাকমিটিকরে দিয়েছেপ্রতিওয়ার্ডে, মন্ত্রণালয়েরকর্মীসহ। তাদের নিয়েযাচ্ছিএবংআমরাবিভিন্নসময়মিটিংকরতেছি, সব সামাজিক লোকজন স্কুল, কলেজেরশিক্ষকরাএবংমাদ্রাসা-মসজিদের ইমামদের নিয়ে সোসাইটির লোকজনদের নিয়েআলোচনাকরছি। আরমশকের লোকজন তোকাজকরতেছে।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রসঙ্গে স^াস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীডা. সামন্তলাল সেনবলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এক দিকে যেমনমশামারতেহবে, অন্যদিকে প্রাদুর্ভাবকমাতেআমাদেরকেআগে থেকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতেহবে। সবারআগেআমাদের নিজনিজএলাকারকমিউনিটি সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়াতেহবে।
মন্ত্রীবলেন, মশামারারজন্য ওষুধ যেমনমানসম্পন্নকিনতেহবে তেমনিআমাদেরকেভালোট্রিটমেন্টব্যবস্থাওরাখতেহবে।
গত শুক্রবারেররাজধানীয়ঢাকায় ১৩০ মিলিমিটারবৃষ্টি ডেঙ্গু প্রতিরোধেআশীর্বাদওহতেপারেউল্লেখকরে স্বাস্থ্য অধিদফতরেরসাবেকপরিচালক ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. বে-নজীরআহমেদ দৈনিকসবুজবাংলাকেবলেন, অতিবৃষ্টিরকারণে ডেঙ্গুর লার্ভাধুয়েমুছে ড্রেন, নর্দমাদিয়েনদীতেচলেযাবে। সুতরাং ডেঙ্গু কিছুটাকমাবে। আবারএরফলেকিছুকিছুনতুনঝুঁকি তৈরিহবে। কোন কোনযায়গায়পানিজমে থাকবে। যেমনআজকেআমারবাসারপিছনেএকটিরাস্তায়সুয়ারেজলাইনঠিককরেহাউজবানাচ্ছে। সেখানেপানিজমেআছে। একটাহালকাআবরণপড়ছে। মনেহচ্ছে সেখানেডিম পেড়েছে। এরপরঅনেকঝুঁকি তৈরিহয়। অনেকবৃষ্টিহলেকিছুঝুঁকিকমেযায়, আবারকিছুঝুঁকি তৈরিহয়। এটাআমাদের জন্য অপরচ্যুনিটি। যেমনধরেন, আগামীকাল থেকে যদি সিটিকর্পোরেশন যেসব স্থানেপানিজমেআছে সেগুলোপানি ফেলে দেয়, তাহলে যেহেতুআগেরলার্ভাগুলোনদীতেধুয়েচলে গেছে। সেহেতুএটানতুনসুযোগআগামীদিনগুলোতে যে ডিমপাড়বে সেগুলো দূর করা। এটাকরতেপারলেজুলাইমাসেআমরাএরপ্রকোপকমিয়েরাখতেপারব। আমাদের এই ঝুঁকিগুলোবুঝতেহবে। মশারডিমপাড়ারযায়গাগুলোতেআমাদের আঘাতকরতেহবে। এটাযদি আমরাবারবারকরিতাহলেমশা যে জিওমেট্রিকহারেবাড়েএবংভাইরাসের যে জিওমেট্রিক প্রোপাগেশনহয় সেটাকমে গেলে ডেঙ্গু সবসময় কন্ট্রোলরাখাযাবে। একদমপুরোপুরিনিয়ন্ত্রণকরাযাবেনাকিন্তু কন্ট্রোলকরতেপারব। এটাঢাকাসিটিরজন্য কিন্তু ঢাকাসিটিরবাইরেকিহবেএটাবলামুশকিল।
তিনিবলেন, এবারএবংসামনেরদিনগুলোতেবাধাহীনভাবেএডিসমশারপ্রজননএবং ডেঙ্গুর যে প্রকোপ দুটোইবাধাহীনভাবেচলতে থাকবে। হয়তবাআগামী ১৫-২০ বছরবাংলাদেশেরগ্রামাঞ্চলে। এটাআমাদের এখনবড়চিন্তা। ঢাকায় কোনকিছুহলেআমাদের মিডিয়া তোলপাড়করে ফেলে। সুতরাংঢাকায়সবসময়আমাদের নজরে থাকে। কিন্তু ঢাকারবাইরেএটাআমাদের দৃষ্টিরবাইরে। ওখানেগরীবমানুষ বেশিবাসকরে। ওখানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা অপ্রতুল। সব মিলিয়েএকজনজনস্বাস্থ্যের লোকহিসেবেআমারকাছেএখনএটা বেশিকনসার্ন, ঢাকাসিটির চেয়ে।




















