এই দেশকে নতুন করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আমাদের ছাত্র জনতা। তাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে আমরা ম্লান হতে দেবোনা। স্বৈরাচারীনি শেখ হাসিনা এদের মানুষের প্রতি যে জুলুম অত্যাচার করেছে আমি তার স্বাক্ষী। আমাকে আয়না ঘরে নিয়ে গিয়ে অত্যারচার করেছে, নির্যাতন করেছে। আমি এই দেশে ফিরে আসবো আশা করিনি।
২৮ আগস্ট, বুধবার বিকেলে চকরিয়া বাসটার্মিনাল মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ীকমিটির সদস্য, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদকে দেয়া বিশাল গণ সংবর্ধনায় তিনি এ কথা জানান।
এর আগে তিনি দুপুর ১২টায় ইউএস বাংলা বিমানযোগে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল,জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্নাসহ জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এবং এসময় নেতাকর্মীদের ঢল জনস্রোতে পরিণত হয় পুরো কক্সবাজার শহর জুড়ে। কক্সবাজার থেকে চকরিয়া যাওয়া পযন্ত রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী সালাউদ্দিন আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শতশত গাড়িবহরে রংবেরঙের ফেস্টুন ব্যানার, গানে গানে স্লোগানে বাদ্যবাজনা নিয়ে এক অনন্য ইতিহাস রচনা করলেন নেতাকর্মীরা।
গত ২০১৫ সালের ১০ মে রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি ভবন থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুম’ হন তিনি। দুই মাস একদিন পর ‘গুম রাজ্য’ থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ কোর্স ময়দানে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারলেও ফিরতে পারেননি নিজের মাতৃভূমিতে। কক্সবাজার থেকে ফিরে গিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে। এবার ফিরে এসেছেন বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য হয়ে।
এই সফরে সালাহউদ্দিন আহমদ সপ্তাহখানেক কক্সবাজারে অবস্থান ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত, তাদের কবর জিয়ারত এবং বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে নিষ্পেষিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপি।
























