০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেঘনায় বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি সাংবাদিক সহ আহত-১০

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় সাংবাদিক সহ দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল সহ ঢাকায় চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারে দাবী জানিয়ে গতকাল মেঘনা উপজেলায় সকাল ১০টায় মানবন্ধন করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একাংশের নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে একই দাবী জানাতে উপজেলা চত্ত্বরে বিএনপির সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপির আরেক গ্রুপ মানববন্ধন করতে আসে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় উপজেলা ও আশেপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী সহ মানবকণ্ঠের মেঘনা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান আহত হন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুঠোফোনে রমিজ উদ্দিন (লন্ডনী) জানান, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ফরমায়েশি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয় মেঘনা বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া সাহেব একই তারিখে একই জায়গায় আলাদাভাবে কর্মসূচী ডাক দেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা তারিখ পরিবর্তন করে আজ (গতকাল) নির্ধারণ করি। কিন্তুসেলিম ভূঁইয়া আজও (গতকাল) আবারও তার লোকজন নিয়ে সকাল ১০টায় কর্মসূচি আহবান করে। তার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর বেলা ১১ টায় আমরা মানববন্ধনে দাঁড়াতে গেলে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে তার লোকজন মেঘনা বিএনপির নেকাকর্মীদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথাও কোথাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া সহ তার লোকজন মেঘনা থেকে পালিয়ে যায়। আর এই মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম মাত্র।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কেটে দেয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ আ. জলিল জানান বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

মেঘনায় বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি সাংবাদিক সহ আহত-১০

আপডেট সময় : ১১:০১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় সাংবাদিক সহ দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল সহ ঢাকায় চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারে দাবী জানিয়ে গতকাল মেঘনা উপজেলায় সকাল ১০টায় মানবন্ধন করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একাংশের নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার দিকে একই দাবী জানাতে উপজেলা চত্ত্বরে বিএনপির সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপির আরেক গ্রুপ মানববন্ধন করতে আসে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় উপজেলা ও আশেপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মী সহ মানবকণ্ঠের মেঘনা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান আহত হন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুঠোফোনে রমিজ উদ্দিন (লন্ডনী) জানান, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ফরমায়েশি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয় মেঘনা বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া সাহেব একই তারিখে একই জায়গায় আলাদাভাবে কর্মসূচী ডাক দেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা তারিখ পরিবর্তন করে আজ (গতকাল) নির্ধারণ করি। কিন্তুসেলিম ভূঁইয়া আজও (গতকাল) আবারও তার লোকজন নিয়ে সকাল ১০টায় কর্মসূচি আহবান করে। তার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর বেলা ১১ টায় আমরা মানববন্ধনে দাঁড়াতে গেলে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে তার লোকজন মেঘনা বিএনপির নেকাকর্মীদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথাও কোথাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া সহ তার লোকজন মেঘনা থেকে পালিয়ে যায়। আর এই মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম মাত্র।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কেটে দেয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ আ. জলিল জানান বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।