০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নগর ভবন সচলের উদ্যোগ সরকারের

 

  • বিএনপির হাই কামান্ডের সঙ্গে একাধিক উপদেষ্টার আলোচনা
  • রাজনৈতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখায় গুরুত্ব সরকারের
  • সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গুঞ্জন নিয়ে উত্তাপ

‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে একটু সমস্যা চলছে। আমরা এ বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্থানীয় সরকার, পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা

‘ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই।’- আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন সচল করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য কাজ করছেন। বিএনপির হাই কামান্ডের সঙ্গে এরইমধ্যে আলোচনাও করেছেন তারা। রাজনৈতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই এই কাজ করতে চাচ্ছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। এদিকে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ইশরাক ইস্যু বিএনপিকে একটি বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা ইশরাক হোসেন স্বেচ্ছায় সরে না গেলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার- সভায় বিএনপিকে এই বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এমন বার্তার কথা আলোচনায় আসার পর বিএনপি নেতাদের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সিনিয়র নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই।
জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ইশরাক ইস্যুতে আলোচনার এমন ঘটনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে পূর্ব ঘোষিত সভা করেননি ইশরাক হোসেন। এর আগের তিন দিন স্বাস্থ্য বিভাগ, ওয়ার্ড সচিব এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সভা করেছিলেন ইশরাক হোসেন। এসব সভায় নগর ভবনের অডিটরিয়াম ব্যবহার করা হয়। একইসঙ্গে ইশরাক হোসেনের নামের আগে ‘মাননীয় মেয়র’ এবং ‘নির্বাচিত মেয়র’ ব্যবহার করা হয়। শপথ পড়ানোর দাবিতে চলামান আন্দোলন ৩৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে ডেঙ্গু ও করোনার বিস্তার শুরু হয়েছে। জন্ম-মৃত্যু সনদ, রাজস্ব, ট্রেড লাইসেন্সসহ বেশিরভাগ সেবা প্রায় বন্ধ রয়েছে। যে কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দক্ষিণের নাগরিকরা।
এদিকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ইশরাক ইস্যু বিএনপিকে একটি বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা ইশরাক হোসেন স্বেচ্ছায় সরে না গেলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার- সভায় বিএনপিকে এই বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে ৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন। সভায় নগর ভবন অচল করায় উপদেষ্টারা ইশরাকের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন। একাধিক উপদেষ্টা সরকার প্রধানকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন। একাধিক উপদেষ্টা জানান, শপথ না নিয়েই মেয়রের ‘দায়িত্ব’ পালন করায় ইশরাকের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। কারণ নাগরিকদের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে বলেছেন। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই বিরক্তি প্রকাশ করেন।
এদিকে স্থানীয় সরকার, পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে একটু সমস্যা চলছে। আমরা এ বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ সিটির বিষয়ে সরকার অবগত আছে। এটি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। এ সরকার গুড কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। একই সঙ্গে আমরা যখন রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলি, সেটা রক্ষা করতে গেলে প্রত্যেকের কাছ থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করার চেষ্টা করছি।
এদিকে, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সম্বনয়ক ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেছেন, আগামী দিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়-সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। তবে কোনো ‘শিশু উপদেষ্টার’ কথায় আমরা কর্ণপাত করব না। সরকার নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়াতে চাচ্ছে, আর আমরা সেই ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করব।
এদিকে, ‘ইশরাক হোসেন না থামলে সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে’ বিএনপিকে সরকারের দেওয়া এমন বার্তা নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপিকে সরকারের দেওয়া এই বার্তার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো চিন্তা নেই। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই। ইশরাক ইস্যুতে সরকারের বার্তা নিয়ে বিএনপি অবশ্যই তার বক্তব্য স্পষ্ট করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগাছা সাব-রেজিস্টার অফিসে নির্ধারিত সময়ের বাইরে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ

নগর ভবন সচলের উদ্যোগ সরকারের

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

 

  • বিএনপির হাই কামান্ডের সঙ্গে একাধিক উপদেষ্টার আলোচনা
  • রাজনৈতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখায় গুরুত্ব সরকারের
  • সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গুঞ্জন নিয়ে উত্তাপ

‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে একটু সমস্যা চলছে। আমরা এ বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্থানীয় সরকার, পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা

‘ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই।’- আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন সচল করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য কাজ করছেন। বিএনপির হাই কামান্ডের সঙ্গে এরইমধ্যে আলোচনাও করেছেন তারা। রাজনৈতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই এই কাজ করতে চাচ্ছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। এদিকে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ইশরাক ইস্যু বিএনপিকে একটি বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা ইশরাক হোসেন স্বেচ্ছায় সরে না গেলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার- সভায় বিএনপিকে এই বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এমন বার্তার কথা আলোচনায় আসার পর বিএনপি নেতাদের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সিনিয়র নেতারা বলছেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই।
জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ইশরাক ইস্যুতে আলোচনার এমন ঘটনার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে পূর্ব ঘোষিত সভা করেননি ইশরাক হোসেন। এর আগের তিন দিন স্বাস্থ্য বিভাগ, ওয়ার্ড সচিব এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সভা করেছিলেন ইশরাক হোসেন। এসব সভায় নগর ভবনের অডিটরিয়াম ব্যবহার করা হয়। একইসঙ্গে ইশরাক হোসেনের নামের আগে ‘মাননীয় মেয়র’ এবং ‘নির্বাচিত মেয়র’ ব্যবহার করা হয়। শপথ পড়ানোর দাবিতে চলামান আন্দোলন ৩৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে ডেঙ্গু ও করোনার বিস্তার শুরু হয়েছে। জন্ম-মৃত্যু সনদ, রাজস্ব, ট্রেড লাইসেন্সসহ বেশিরভাগ সেবা প্রায় বন্ধ রয়েছে। যে কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দক্ষিণের নাগরিকরা।
এদিকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ইশরাক ইস্যু বিএনপিকে একটি বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা ইশরাক হোসেন স্বেচ্ছায় সরে না গেলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার- সভায় বিএনপিকে এই বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে ৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন। সভায় নগর ভবন অচল করায় উপদেষ্টারা ইশরাকের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন। একাধিক উপদেষ্টা সরকার প্রধানকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন। একাধিক উপদেষ্টা জানান, শপথ না নিয়েই মেয়রের ‘দায়িত্ব’ পালন করায় ইশরাকের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামী রোববার এ বিষয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। কারণ নাগরিকদের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে বলেছেন। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই বিরক্তি প্রকাশ করেন।
এদিকে স্থানীয় সরকার, পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে একটু সমস্যা চলছে। আমরা এ বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ সিটির বিষয়ে সরকার অবগত আছে। এটি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। এ সরকার গুড কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। একই সঙ্গে আমরা যখন রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলি, সেটা রক্ষা করতে গেলে প্রত্যেকের কাছ থেকেই দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করার চেষ্টা করছি।
এদিকে, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সম্বনয়ক ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেছেন, আগামী দিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়-সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। তবে কোনো ‘শিশু উপদেষ্টার’ কথায় আমরা কর্ণপাত করব না। সরকার নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়াতে চাচ্ছে, আর আমরা সেই ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করব।
এদিকে, ‘ইশরাক হোসেন না থামলে সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে’ বিএনপিকে সরকারের দেওয়া এমন বার্তা নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপিকে সরকারের দেওয়া এই বার্তার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো চিন্তা নেই। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচনের সুযোগ নেই। ইশরাক ইস্যুতে সরকারের বার্তা নিয়ে বিএনপি অবশ্যই তার বক্তব্য স্পষ্ট করবে।