ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহনকারী একটি কোস্টার বাসের সাথে কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়কে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭-৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে কুষ্টিয়া শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সকাল ১০ টার ট্রিপ আনার সময় ১১ মাইল এর কাছে রূপসা বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, শিক্ষকবাহী কোস্টার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাসটি ১১ মাইলের কাছাকাছি পৌছালে বিপরীত দিক থেকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়া গামী যাত্রীবাহী রূপসা বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যাত্রীবাহী বাসটি একটি অটো ভ্যানকে ওভারটেক করতে যেয়ে ডান দিক থেকে আসা শিক্ষকবাহী কোস্টারের সাথে সংঘর্ষে পতিত হয়। দূর্ঘটনার পরপরই রূপসা বাসের চালক পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে শিক্ষকদের বাসের পেছনে থাকা শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস গুলো দূর্ঘটনাস্থলে এলে শিক্ষার্থীরা দ্রুত আহতদের চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। দূর্ঘটনায় কোস্টারে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম হাতে, পায়ে আঘাত পেয়েছেন এবং কোস্টারের চালক নজরুল ইসলামের একটি হাত ভেঙে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরই আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাই। শিক্ষক যারা আহত হয়েছিলেন তারা আপাতত বাড়িতে আছেন এবং আমাদের যে কোস্টার চালক আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন তার চিকিৎসা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন বলেন, দূর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সহকর্মীরা কাজ শুরু করেছে। দূর্ঘটনা কবলিত বাসদুটো উদ্ধার করে যাত্রীবাহী বাসটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টারটি গ্যারেজে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে মামলাও করতে পারবেন, মীমাংসাও করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।
এমআর/সবা


























