১২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা ওড়ে শ্যামনগরে

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 293

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে খুলনা বিভাগে প্রথম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর থানা। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার যেমন পৃথিবীব্যাপী খ্যাত একটি সাহসী জীব হিসেবে, তেমনি শ্যামনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বীর বিক্রমে লড়াইয়ের করে হানাদার বাহিনী পরাজিত করে শ্যমনগরকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। উড্ডীন হয় সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
১৯৭১ সালের এ দিনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রথম শত্রুমুক্ত হয় দেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা শ্যামনগর।
এ শ্যামনগরকে মুক্ত করতে বৃহত্তর খুলনার বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করে হানাদার বাহিনীর সাথে প্রাণপণ লড়াই করেন।
উল্লেখ্য এই শ্যামনগরে ৭১’র ৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রথম হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধ ৩ ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী হয়। যা ‘ শ্যামনগর-গোপালপুর’ যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সুবেদার ইলিয়াস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল কালাম আযাদ ও ২ জনের নাম অজ্ঞাত। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে নিহত হন আলী মন্ডল, ফকির আহম্মদ,নিতাই দাস প্রমূখ।

আহত হয় পৌর দাস, সুবল মৃধাসহ মোট ১২ জন। লেঃ মাহফুজ বেগের নেতৃত্বে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন শ্যামনগর সদর নকিপুর ও চন্ডিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আবুল হোসেন, সরদার মিজনুর রহমান (স্থানীয় কমান্ডার), আরো একজন স্থানীয় কমান্ডার ডি,এম ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল বারেক গাজী, হাশেম আলী, ইন্তাজ, নিরাপদ মন্ডল, রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, হাবিল, ফজলু, আব্দুল লতিফ, মজিদ, সাত্তার ,কেয়া তলার জি,এম আব্দুল মজিদ, গোপালপুরের আব্দুল মজিদ, হায়বাতপুরের এস কে মাহফুজ, বাদঘাটার শাহাদাৎ হোসেন, নওশের, মুজিবর, কলবাড়ীর নিরাপদসহ আরো অনেকে। আটুলিয়ার আমজাদ হোসেন, কাশিমাড়ীর শামছুর রহমান আরো অনেকে ।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা ওড়ে শ্যামনগরে

আপডেট সময় : ১১:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে খুলনা বিভাগে প্রথম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর থানা। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার যেমন পৃথিবীব্যাপী খ্যাত একটি সাহসী জীব হিসেবে, তেমনি শ্যামনগরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বীর বিক্রমে লড়াইয়ের করে হানাদার বাহিনী পরাজিত করে শ্যমনগরকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। উড্ডীন হয় সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
১৯৭১ সালের এ দিনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রথম শত্রুমুক্ত হয় দেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা শ্যামনগর।
এ শ্যামনগরকে মুক্ত করতে বৃহত্তর খুলনার বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করে হানাদার বাহিনীর সাথে প্রাণপণ লড়াই করেন।
উল্লেখ্য এই শ্যামনগরে ৭১’র ৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রথম হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধ ৩ ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী হয়। যা ‘ শ্যামনগর-গোপালপুর’ যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সুবেদার ইলিয়াস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল কালাম আযাদ ও ২ জনের নাম অজ্ঞাত। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে নিহত হন আলী মন্ডল, ফকির আহম্মদ,নিতাই দাস প্রমূখ।

আহত হয় পৌর দাস, সুবল মৃধাসহ মোট ১২ জন। লেঃ মাহফুজ বেগের নেতৃত্বে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন শ্যামনগর সদর নকিপুর ও চন্ডিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আবুল হোসেন, সরদার মিজনুর রহমান (স্থানীয় কমান্ডার), আরো একজন স্থানীয় কমান্ডার ডি,এম ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল বারেক গাজী, হাশেম আলী, ইন্তাজ, নিরাপদ মন্ডল, রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, হাবিল, ফজলু, আব্দুল লতিফ, মজিদ, সাত্তার ,কেয়া তলার জি,এম আব্দুল মজিদ, গোপালপুরের আব্দুল মজিদ, হায়বাতপুরের এস কে মাহফুজ, বাদঘাটার শাহাদাৎ হোসেন, নওশের, মুজিবর, কলবাড়ীর নিরাপদসহ আরো অনেকে। আটুলিয়ার আমজাদ হোসেন, কাশিমাড়ীর শামছুর রহমান আরো অনেকে ।