জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২১-শরীয়তপুর-১, ২২২-শরীয়তপুর-২ ও ২২৩-
শরীয়তপুর-৩ নিয়ে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি খ্যাত শরীয়তপুর জেলা। দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের ৩টি আসনে আওয়ামী লীগ
জাতীয় পার্টি ও তৃণমূল বিএনপি সহ ১৩টি রাজনৈতিক দল ও
স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দিতা করলেও নৌকা’র
প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা ও পোস্টার
চোখে পড়ার মতো নয়। তবে শরীয়তপুর-২ এ ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রয়াত
কর্ণেল (অব.) শওকত আলী’র ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম
সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে
প্রতিদ্বন্দিতার আভাস দিচ্ছেন।
১৮ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের মধ্যে
প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়ার পর শরীয়তপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ইকবাল
হোসেন অপু, শরীয়তপুর-২ আসনে এনামুল হক শামীম ও শরীয়তপুর-৩
আসনে নাহিম রাজ্জাক ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত করতে মাঠ চষে
বেড়াচ্ছেন। শরীয়তপুর-১ ও শরীয়তপুর-৩ আসনে নৌকা’র প্রচার
প্রচারণাই কেবল চোখে পড়ার মতো। তবে শরীয়তপুর-২ আসনে
নৌকার প্রার্থী উপমন্ত্রী শামীমের সাথে পাল্লা দিয়ে ঈগল
প্রতীকের প্রার্থী ডা. খালেদ শওকত আলীও কম যাচ্ছেন না। প্রচারণার
এই পর্যায়ে মাঠে-ঘাটে, হাটে-বাজারে ও চায়ের দোকানে চায়ের
চুমুকে চলছে ভোটারদের হিসাব নিকাশ।
শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান
সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল
হোসেন অপু আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য। এ আসনে অন্যান্য
প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের অ্যাডভোকেট
মাসুদুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের আবুল
বাসার মাদবর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের মো.
আব্দুস সামাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মো. গোলাম
মোস্তফা। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৪৯ জন।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান
সংস সদস্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পানি সম্পদ
উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ আসনে অন্যান্য প্রার্থীরা
হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের ডা. খালেদ শওকত আলীম জাতীয়
পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মো. ওহিদুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক
দল-জাসদের মশাল প্রতীকের ফিরোজ মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত
আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের মাহমুদুল হাসান, মুক্তিজোটের ছড়ি
প্রতীকের মো. মনির হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের
সৌমিত্র দত্ত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের মো. আবুল
হাসান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের কুলা প্রতীকের আমিনুল ইসলাম ও
গণফ্রন্টের মাছ প্রতীকের কাজী জাকির হোসেন। এ আসনে মোট
ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৬৬ জন।
শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট) আসনের নৌকার
প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। এ আসনে অন্যান্য
প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের মো. আব্দুল মান্নান,
তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকের মো. সিরাজ চৌকিদার,
ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের মো. মাহদী হাসান। এ
আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৩ জন।
শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের নৌকার প্রার্থী ইকবাল
হোসেন অপু বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দেশের
উন্নয়ন ধারাকে গতিশীল করতে পালং-জাজিরার মানুষ পূর্বের ন্যায়
এবারও নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে। আমরা ভোটারদের
কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্রকে তুলে ধরে পালং-জাজিরার
প্রতিটি ভোটারদের কাছে ভোট চাইছি। ইনশাআল্লাহ আগামী ৭
জানুয়ারি ভোটারদের উৎসবমুখর উপস্থিতি ও ভোটে আবারও বিজয়ী
হবো।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসেনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. খালেদ
শওকত আলীর সাথে বার বার মোবাইলে যোগাযোগ চেষ্টা করেও তার
সাথে কথা বলা যায়নি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সমর্থক
নড়িয়া পৌরসভার উজ্জল বন্দুকসি বলেন, প্রয়াত কর্ণেল (অব.) শওকত
আলীর ছেলে ডা. খালেদ শওকত আলী নড়িয়া-সখিপুরের সাধারণ মানুষের
কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন। ভোটাররা আগামী ৭ জানুয়ারি যদি
নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তবে ঈগল প্রতীক বিজয়ী হবে।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী এনামুল হক
শামীম বলেন, উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গন
রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন
বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন সহ
দুর্যোগ সংকটে যে ভাবে সব সময় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি
আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দুর্গ নড়িয়া-সখিপুরের
মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে তা প্রমাণ করবে। ভোটারদে কেন্দ্রে ব্যাপক
উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলালীগ
সহ অংগ ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা এবং
উপজেলা নেতা-কর্মীরা প্রতিটি ভোটারের কাছে আওয়ামী লীগের
উন্নয়নের বার্তা পৌছে দিয়ে ভোট প্রর্থনা করছেন। যে ভাবে
আমরা উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌছে
দিয়েছি ইনশাআল্লাহ আবারও বিজয়ী হয়ে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ
শেষ করে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা’র স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরিত
করতে অগ্রনী ভুমিকা রাখব।




















