০৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইমেলার কাজ ৭৫শতাংশ সম্পন্ন, জোরেশোরে চলছে প্রস্তুতি 

দরজায় কড়া নাড়ছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী। প্রতিবছরের মত এবারও ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এ মেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন।

ফেব্রুয়ারি আসলেই নতুন বই কেনার আমেজ ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। পাঠক এবং লেখকবৃন্ধ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন অমর একুশে বইমেলার জন্য।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর অধিবর্ষ হওয়ায় মেলা হবে ২৯ দিনের। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা করার অনুমতি পাওয়া গেছে। শর্ত অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠ ব্যবহার করা যাবে। ১ মার্চ মাঠ হস্তান্তর করতে হবে। ইতোমধ্যে মেলার ৭৫ শতাংশ কাজ

সম্পন্ন হয়েছে।

তারা আরও জানায়, ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যেগে মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনাসহ মেলা পরিচালনা করেছেন। পরে মেলার পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে সব কাঠামোসহ অন্যান্য অংশ সম্পন্ন করা হতো। তবে তাদের অসহযোগিতা ও সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পুরো মেলার দায়িত্ব বাংলা একাডেমিই সম্পন্ন করছে।

ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টার পরামর্শের ভিত্তিতে নীতিমালা নবায়ন করেছে কর্তৃপক্ষ। পূর্বের আয়োজনের সদৃশ এবারও কাঠামো তৈরির কাজ গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।

বাংলা একাডেমি স্টল, বাংলা একাডেমি প্যাভিলিয়ন, তথ্যকেন্দ্র, মোড়ক উন্মোচন ও লেখক বলছি মঞ্চের অভ্যন্তরীণ কাজ সম্পন্নের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে ওটিএম এবং আরএফকিউ পদ্ধতিতে।

এবার নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়েসহ সোহরাওয়ার্দী অংশে পুরো মেলার নিরাপত্তার স্বার্থে টিনের নিরাপত্তা বেষ্টনির কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে  জানায় কর্তৃপক্ষ। মেলার প্রবেশ ও বাহির গেটের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন, মন্দির কমিটি ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনর্গঠনের কাজ চলছে।

সরেজমিন প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, স্টল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অবকাঠামো নির্মাণসহ প্যান্ডেলের কাজও প্রায় সম্পন্ন। মেলায় সুষ্ঠুভাবে আলোক বিন্যাসের জন্য ই-টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, বিগত বছর এবং নতুন প্রাপ্ত প্রকাশকদের মধ্যে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে স্টল রবাদ্দের লটারি ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাংলা একাডেমি অংশের রবীন্দ্র চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মেলা উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি প্রদান করেছেন। মঞ্চ ও প্যান্ডেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

বই মেলার সার্বিক দায়িত্বে থাকা বাংলা একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম সবুজ বাংলাকে বলেন, এবার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলা একাডেমি সম্পূর্ণ বই মেলার আয়োজন করছে। এতে করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ঝামেলা থাকবে না।

এবারের বই মেলার ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বই মেলা থেকে আয়ের প্রতিটি টাকার হিসাব কড়ায় গন্ডায় সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রতিটি টাকার যাতে সুষ্ঠু ব্যয় হয়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আয়োজনটাকে আরও বেশি গোছালো  করতে নানা বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। মেলা আয়োজনের কোনো চ্যালেঞ্জ নেই মর্মে তিনি বলেন, যথাসময়ে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বইমেলার কাজ ৭৫শতাংশ সম্পন্ন, জোরেশোরে চলছে প্রস্তুতি 

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

দরজায় কড়া নাড়ছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী। প্রতিবছরের মত এবারও ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এ মেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন।

ফেব্রুয়ারি আসলেই নতুন বই কেনার আমেজ ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। পাঠক এবং লেখকবৃন্ধ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন অমর একুশে বইমেলার জন্য।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর অধিবর্ষ হওয়ায় মেলা হবে ২৯ দিনের। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা করার অনুমতি পাওয়া গেছে। শর্ত অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠ ব্যবহার করা যাবে। ১ মার্চ মাঠ হস্তান্তর করতে হবে। ইতোমধ্যে মেলার ৭৫ শতাংশ কাজ

সম্পন্ন হয়েছে।

তারা আরও জানায়, ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যেগে মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনাসহ মেলা পরিচালনা করেছেন। পরে মেলার পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে সব কাঠামোসহ অন্যান্য অংশ সম্পন্ন করা হতো। তবে তাদের অসহযোগিতা ও সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পুরো মেলার দায়িত্ব বাংলা একাডেমিই সম্পন্ন করছে।

ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টার পরামর্শের ভিত্তিতে নীতিমালা নবায়ন করেছে কর্তৃপক্ষ। পূর্বের আয়োজনের সদৃশ এবারও কাঠামো তৈরির কাজ গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।

বাংলা একাডেমি স্টল, বাংলা একাডেমি প্যাভিলিয়ন, তথ্যকেন্দ্র, মোড়ক উন্মোচন ও লেখক বলছি মঞ্চের অভ্যন্তরীণ কাজ সম্পন্নের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে ওটিএম এবং আরএফকিউ পদ্ধতিতে।

এবার নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়েসহ সোহরাওয়ার্দী অংশে পুরো মেলার নিরাপত্তার স্বার্থে টিনের নিরাপত্তা বেষ্টনির কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে  জানায় কর্তৃপক্ষ। মেলার প্রবেশ ও বাহির গেটের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন, মন্দির কমিটি ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনর্গঠনের কাজ চলছে।

সরেজমিন প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, স্টল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অবকাঠামো নির্মাণসহ প্যান্ডেলের কাজও প্রায় সম্পন্ন। মেলায় সুষ্ঠুভাবে আলোক বিন্যাসের জন্য ই-টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, বিগত বছর এবং নতুন প্রাপ্ত প্রকাশকদের মধ্যে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে স্টল রবাদ্দের লটারি ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাংলা একাডেমি অংশের রবীন্দ্র চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মেলা উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি প্রদান করেছেন। মঞ্চ ও প্যান্ডেলের অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

বই মেলার সার্বিক দায়িত্বে থাকা বাংলা একাডেমির প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম সবুজ বাংলাকে বলেন, এবার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলা একাডেমি সম্পূর্ণ বই মেলার আয়োজন করছে। এতে করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ঝামেলা থাকবে না।

এবারের বই মেলার ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বই মেলা থেকে আয়ের প্রতিটি টাকার হিসাব কড়ায় গন্ডায় সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রতিটি টাকার যাতে সুষ্ঠু ব্যয় হয়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আয়োজনটাকে আরও বেশি গোছালো  করতে নানা বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। মেলা আয়োজনের কোনো চ্যালেঞ্জ নেই মর্মে তিনি বলেন, যথাসময়ে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।