০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম কাস্টমস খেজুরের দর উঠেছে কেজি ৩০০ টাকা

১ কোটি ৯০ লাখ টাকার খেজুর ৭৫ লাখে বিক্রি

চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রকাশ্য নিলামে প্রতি কেজি ৭৬০ টাকা দরের খেজুরের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩০০ টাকা। আফ্রিকার আলজেরিয়া থেকে আসা ২৫ টন খেজুর মোট ৭৫ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিনে নেয় নগরীর বন্দর পুরাতন পোর্ট মার্কেটের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেহা এন্টারপ্রাইজ। অবশ্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসব পণ্য একবার প্রকাশ্য নিলামে তোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সে সময় পণ্যের দাম ওঠে ১ কোটি ১ লাখ টাকা। তবে সর্বোচ্চ দরদাতা যথাসময়ে পণ্য খালাস না নেয়ায় প্রতিষ্ঠানের দেয়া পে অর্ডার বাজেয়াপ্ত হয়। পরবর্তীতে আবার এসব খেজুর নিলামের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার লক্ষ্যে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস ও অখালাসকৃত পণ্য দ্রুত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াই চলমান রয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব পচনশীল পণ্যের মান ভালো আছে, সেগুলো দ্রুত নিলামে তোলা হচ্ছে। এছাড়া যেসব পণ্য পচে নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় প্রতি মাসে নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করছি। একইসাথে বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে নষ্ট পণ্য ধ্বংসও করছি। এই দুটোই কাজই আমাদের রুটিন কাজের অংশ।
জানা গেছে, পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম আয়োজনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থায়ী আদেশ জারি করে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বিগত সময়ে অনেক খাদ্যপণ্য পচে যাওয়ায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পাওয়া দূরে থাক, উল্টো পণ্য ধ্বংসে অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম কাস্টমস খেজুরের দর উঠেছে কেজি ৩০০ টাকা

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রকাশ্য নিলামে প্রতি কেজি ৭৬০ টাকা দরের খেজুরের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩০০ টাকা। আফ্রিকার আলজেরিয়া থেকে আসা ২৫ টন খেজুর মোট ৭৫ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিনে নেয় নগরীর বন্দর পুরাতন পোর্ট মার্কেটের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেহা এন্টারপ্রাইজ। অবশ্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসব পণ্য একবার প্রকাশ্য নিলামে তোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সে সময় পণ্যের দাম ওঠে ১ কোটি ১ লাখ টাকা। তবে সর্বোচ্চ দরদাতা যথাসময়ে পণ্য খালাস না নেয়ায় প্রতিষ্ঠানের দেয়া পে অর্ডার বাজেয়াপ্ত হয়। পরবর্তীতে আবার এসব খেজুর নিলামের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার লক্ষ্যে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস ও অখালাসকৃত পণ্য দ্রুত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াই চলমান রয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব পচনশীল পণ্যের মান ভালো আছে, সেগুলো দ্রুত নিলামে তোলা হচ্ছে। এছাড়া যেসব পণ্য পচে নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় প্রতি মাসে নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করছি। একইসাথে বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে নষ্ট পণ্য ধ্বংসও করছি। এই দুটোই কাজই আমাদের রুটিন কাজের অংশ।
জানা গেছে, পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম আয়োজনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থায়ী আদেশ জারি করে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বিগত সময়ে অনেক খাদ্যপণ্য পচে যাওয়ায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পাওয়া দূরে থাক, উল্টো পণ্য ধ্বংসে অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।