০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যু: প্রশাসনের লিখিত আশ্বাসে অবরোধ ছাড়লেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে দাবি করে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে উত্তাল ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রশাসনের লিখিত আশ্বাসের পর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের গেট থেকে সরে আসে।

সকাল ১১টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নানা স্লোগান দিয়ে প্রশাসনের গাফিলতির প্রতিবাদ করেন। তাদের অভিযোগ, সাজিদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, কারণ সে খুব ভালো সাঁতার জানতো এবং লাশ পাওয়ার পর এম্বুলেন্স ও প্রশাসন দেরিতে ঘটনাস্থলে আসে। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নীরবতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেন।

শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল ‘সাজিদ সাজিদ’, ‘ইবির পুকুরে ভাসছে লাশ, তদন্ত চাই’, ‘টাকা লাগলে টাকা নে, নিরাপত্তা দে’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড। তারা দাবি করেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ, সাজিদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ মোট ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লিখিত সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এদিন সাজিদের স্মরণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলেও অংশ নেয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী জানান, তদন্ত কমিটি গঠন ও সিসিটিভি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সাজিদকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না, তবে তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’: প্রধান উপদেষ্টা

সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যু: প্রশাসনের লিখিত আশ্বাসে অবরোধ ছাড়লেন ইবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৬:১৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে দাবি করে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে উত্তাল ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রশাসনের লিখিত আশ্বাসের পর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের গেট থেকে সরে আসে।

সকাল ১১টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নানা স্লোগান দিয়ে প্রশাসনের গাফিলতির প্রতিবাদ করেন। তাদের অভিযোগ, সাজিদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, কারণ সে খুব ভালো সাঁতার জানতো এবং লাশ পাওয়ার পর এম্বুলেন্স ও প্রশাসন দেরিতে ঘটনাস্থলে আসে। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নীরবতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেন।

শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল ‘সাজিদ সাজিদ’, ‘ইবির পুকুরে ভাসছে লাশ, তদন্ত চাই’, ‘টাকা লাগলে টাকা নে, নিরাপত্তা দে’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড। তারা দাবি করেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ, সাজিদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ মোট ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লিখিত সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এদিন সাজিদের স্মরণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলেও অংশ নেয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী জানান, তদন্ত কমিটি গঠন ও সিসিটিভি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সাজিদকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না, তবে তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

এমআর/সবা