০৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ

নাছিমার স্মরণীয় ত্রি-মুকট

  • রুমেল খান
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • 81

স্মরণীয় ট্রিপল ক্রাউন জেতার পর তিন আঙ্গুল দেখাচ্ছেন উচ্ছ্বসিত নাছিমা। ছবি : বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

পাবনার মেয়ে তিনি। খেলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে। আছেন সৈনিক পদে। পড়েন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে। নাছিমা খাতুনের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন জাতীয় শাটলার। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ৩৯তম আসরে স্মরণীয় এক অধ্যায় রচনা করেলেন। সেটা একে একে তিনটি শিরোপা জিতে (একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত)। ২০১৯ সাল থেকে ব্যাডমিন্টন ক্যারিয়ার শুরু করা নাছিমা সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে ন্যাশনালে অংশ নিচ্ছি। তখন থেকেই এককে রানারআপ। এবার চতুর্থবারের চেষ্টায় এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। দ্বৈতের শিরোপা ধরে রেখেছি এবার। আর মিশ্র দ্বৈতে এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলাম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে। এই টুর্নামেন্টের জন্য গত এক মাস ধরে অনুশীলন করেছি।’

খন্দকার আবদুস সোয়াদ এবার পুরুষ এককে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। পাশে ত্রি-মুকুটজয়ী নাছিমা।

এবারের এককের শিরোপাটা বেশি স্মরণীয় নাছিমার কাছে। ফাইনালে ঊর্মি আক্তার হ্যাটট্রিক শিরোপা জিততে পারেননি তারই কারণে। নাছিমা জেতেন ১২-২১, ২১-১৭, ২১-১৭ গেমে। ‘শিরোপা জিততে কষ্ট হলেও আত্মবিশ্বাস ছিল পারব।’ নাছিমার পরবর্তী লক্ষ্য এসএ গেমসে ভাল ফলাফল করা, ‘আমি এখন সেরা শাটলার ঠিক আছে। কিন্তু অন্য দেশের মতো আমরা তো সেরকম প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিস পাই না। আমাদের ক্যাম্পিংও সেভাবে হয় না। শুনেছি বাইরে থেকে কোচ এনে আমাদের ক্যাম্পিং করাবে। সেটা হলে ইনশাল্লাহ আশা করি রেজাল্ট ভাল হবে।’

এবারের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট নাছিমা, ‘এবারের আয়োজনটা অনেক ভালো ছিল। ফাইনালের দিন শুধু ফাইনাল খেলেছি। আগের আসরগুলোতে ফাইনালের দিন সেমিফাইনালও খেলতে হতো। ফলে ক্লান্ত থাকতাম। শরীরে শক্তি থাকতো না। এবার তেমনটা হয়নি। আগে অনেক টাকা খরচ করে প্রস্তুতি নিতাম, কিন্তু সেভাবে প্রাইজমানি পেতাম না। এবার প্রাইজমানির অঙ্কটা বেশ বড়, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই আশাব্যঞ্জক ব্যাপার। এটা আমাদের আরও ভালো খেলতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
ফেডারেশনের প্রতি নাছিমার চাওয়া একটাই, ‘আমাদের জন্য যেন তারা আরও বেশি করে টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন।’

এবার ছেলেদের এককে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছেন বাংলাদেশ আনসারের খন্দকার আবদুস সোয়াদ। ফাইনালে তিনি আল আমিন জুমারকে ২১-১৪, ২১-৪ গেমে হারান। হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোয়াদ বলেন, ‘চোটের জন্য এক মাস প্র্যাকটিস করতে পারিনি। ফিরে এসে নিজেকে প্রমাণের চাপ ছিল। আয়মান ভাই এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, অন্যরাও ভালো খেলেছেন। এই প্রতিযোগিতা সহজ ছিল না। অন্যবারের চেয়ে কঠিনই ছিল।’

একফ্রেমে সব বিজয়ী শাটলাররা

এক নজরে : পুরুষ একক চ্যাম্পিয়ন খন্দকার আব্দুস সোয়াদ, রানারআপ আল আমিন জুমার। নারী একক চ্যাম্পিয়ন নাছিমা খাতুন, রানারআপ উর্মি আক্তার, পুরুষ দ্বৈত চ্যাম্পিয়ন রাহাতুন নাঈম ও মিজানুর রহমান জুটি, রানার্সআপ মোয়াজ্জেম হোসেন অহিদুল ও রাফিউল লেইস রাইদ জুটি। নারী দ্বৈত চ্যাম্পিয়ন নাছিমা খাতুন ও বৃষ্টি আক্তার জুটি। রানার্সআপ উর্মি আক্তার ও রেশমা আক্তার জুটি। মিক্সড ডাবল চ্যাম্পিয়ন সিফাত উল্লাহ গালিব ও নাছিমা খাতুন জুটি। রানার্সআপ আল আমিন জুমার ও উর্মি আক্তার জুটি।

আরকে/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ

নাছিমার স্মরণীয় ত্রি-মুকট

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

পাবনার মেয়ে তিনি। খেলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে। আছেন সৈনিক পদে। পড়েন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে। নাছিমা খাতুনের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন জাতীয় শাটলার। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ৩৯তম আসরে স্মরণীয় এক অধ্যায় রচনা করেলেন। সেটা একে একে তিনটি শিরোপা জিতে (একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত)। ২০১৯ সাল থেকে ব্যাডমিন্টন ক্যারিয়ার শুরু করা নাছিমা সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে ন্যাশনালে অংশ নিচ্ছি। তখন থেকেই এককে রানারআপ। এবার চতুর্থবারের চেষ্টায় এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। দ্বৈতের শিরোপা ধরে রেখেছি এবার। আর মিশ্র দ্বৈতে এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলাম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে। এই টুর্নামেন্টের জন্য গত এক মাস ধরে অনুশীলন করেছি।’

খন্দকার আবদুস সোয়াদ এবার পুরুষ এককে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। পাশে ত্রি-মুকুটজয়ী নাছিমা।

এবারের এককের শিরোপাটা বেশি স্মরণীয় নাছিমার কাছে। ফাইনালে ঊর্মি আক্তার হ্যাটট্রিক শিরোপা জিততে পারেননি তারই কারণে। নাছিমা জেতেন ১২-২১, ২১-১৭, ২১-১৭ গেমে। ‘শিরোপা জিততে কষ্ট হলেও আত্মবিশ্বাস ছিল পারব।’ নাছিমার পরবর্তী লক্ষ্য এসএ গেমসে ভাল ফলাফল করা, ‘আমি এখন সেরা শাটলার ঠিক আছে। কিন্তু অন্য দেশের মতো আমরা তো সেরকম প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিস পাই না। আমাদের ক্যাম্পিংও সেভাবে হয় না। শুনেছি বাইরে থেকে কোচ এনে আমাদের ক্যাম্পিং করাবে। সেটা হলে ইনশাল্লাহ আশা করি রেজাল্ট ভাল হবে।’

এবারের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট নাছিমা, ‘এবারের আয়োজনটা অনেক ভালো ছিল। ফাইনালের দিন শুধু ফাইনাল খেলেছি। আগের আসরগুলোতে ফাইনালের দিন সেমিফাইনালও খেলতে হতো। ফলে ক্লান্ত থাকতাম। শরীরে শক্তি থাকতো না। এবার তেমনটা হয়নি। আগে অনেক টাকা খরচ করে প্রস্তুতি নিতাম, কিন্তু সেভাবে প্রাইজমানি পেতাম না। এবার প্রাইজমানির অঙ্কটা বেশ বড়, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই আশাব্যঞ্জক ব্যাপার। এটা আমাদের আরও ভালো খেলতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
ফেডারেশনের প্রতি নাছিমার চাওয়া একটাই, ‘আমাদের জন্য যেন তারা আরও বেশি করে টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন।’

এবার ছেলেদের এককে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছেন বাংলাদেশ আনসারের খন্দকার আবদুস সোয়াদ। ফাইনালে তিনি আল আমিন জুমারকে ২১-১৪, ২১-৪ গেমে হারান। হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোয়াদ বলেন, ‘চোটের জন্য এক মাস প্র্যাকটিস করতে পারিনি। ফিরে এসে নিজেকে প্রমাণের চাপ ছিল। আয়মান ভাই এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, অন্যরাও ভালো খেলেছেন। এই প্রতিযোগিতা সহজ ছিল না। অন্যবারের চেয়ে কঠিনই ছিল।’

একফ্রেমে সব বিজয়ী শাটলাররা

এক নজরে : পুরুষ একক চ্যাম্পিয়ন খন্দকার আব্দুস সোয়াদ, রানারআপ আল আমিন জুমার। নারী একক চ্যাম্পিয়ন নাছিমা খাতুন, রানারআপ উর্মি আক্তার, পুরুষ দ্বৈত চ্যাম্পিয়ন রাহাতুন নাঈম ও মিজানুর রহমান জুটি, রানার্সআপ মোয়াজ্জেম হোসেন অহিদুল ও রাফিউল লেইস রাইদ জুটি। নারী দ্বৈত চ্যাম্পিয়ন নাছিমা খাতুন ও বৃষ্টি আক্তার জুটি। রানার্সআপ উর্মি আক্তার ও রেশমা আক্তার জুটি। মিক্সড ডাবল চ্যাম্পিয়ন সিফাত উল্লাহ গালিব ও নাছিমা খাতুন জুটি। রানার্সআপ আল আমিন জুমার ও উর্মি আক্তার জুটি।

আরকে/সবা