১২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির নজর ইসলামি দলগুলোয়

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
  • বিএনপির ধারণা, ইস্যু সৃষ্টি করে দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা
  • ভোটের জন্য প্রস্তুত এনসিপি, জোটের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে তরুণ নেতৃত্বের দল
    জাতীয়

দুর্গাপূজার নিরাপত্তা, সতর্ক নজরদারি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- রুহুল কবির রিজভী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি দেশের পরিস্থিতি সর্বোচ্চ ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলটি জানিয়েছে, কিছু ইসলামি দল নানা দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে, যা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে বিএনপির ধারণা, ইস্যু সৃষ্টি করে দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

অন্তবর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখনো প্রায় ৫ মাস। কিন্তু এখনও নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি গণঅভুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। দলটির শাপলা প্রতীকের দাবিও অমিমাংসিত। প্রতীকের প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শাপলা প্রতীকের ব্যাপারেই ভাবছি। এখন পর্যন্ত বিকল্প অন্য কোনও প্রতীক নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। শতাধিক আইনজীবী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক প্রদানে আইনগত কোনও বাধার জায়গা নেই। তবে নিবন্ধন কিংবা প্রতীকের চেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এনসিপির বড় শর্ত গণহত্যার বিচার ও সংস্কার বাস্তবায়ন। এছাড়া, নির্বাচন চায় না দলটি।
আখতার হোসেন বললেন, নির্বাচনের যে আলোচনা সেটা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন, সেটা পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত দেয়। সেটা বাংলাদেশে আমরা হতে দেবো না। বাংলাদেশে অবশ্যই নতুন ব্যবস্থার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোর বাইরে যেতে পারবেন না। এইটা পাকাপোক্ত করেই ক্ষমতা অর্পণ করার দিকে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এনসিপি প্রস্তুত এবং এনসিপি মনে করে গণপরিষদই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের মূল সমাধান। আমাদের মূল আপত্তির জায়গা বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক যে কাঠামো সে কাঠামো পরিবর্তন, এখানে যাতে পূর্বের ফ্যাসিবাদ কোনোভাবে ফিরে না আসে। এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিলেও জোট করবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে জোটের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হবে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দলকে। আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ভোটের ক্ষেত্রে জোটের বিষয়ে এনসিপি এখনও কোনও ধরনের চিন্তা-সমঝোতা করেনি। বরং এনসিপি মনে করে তরুণদের যে প্রজন্ম, আগামীতে তাদেরকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ আসতে পারে। দলটির শীর্ষ নেতারা এ-ও বলছেন, এনসিপি নির্বাচনের বিপক্ষে না। তবে বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচনের সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত দলটি। আখতার হোসেনের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন যেভাবে ফাংশন করছে তাতে করে তারা নির্বাচন আয়োজনের মতো প্রস্তুত হয়েছে বলে আমাদের কাছে এখনও মনে হয় না। নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যতটুকু নিরপেক্ষ-জনবান্ধব হওয়া দরকার, সে রকম পরিস্থিতি নেই। ফলে এটির আমূল সংস্কার দরকার।
দলের নীতি অনুযায়ী, দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নেতাকর্মীরা সর্বদা সতর্ক থাকবেন। বিএনপি এই মুহূর্তে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত করবে এমন কোনো উত্তাপ পরিস্থিতি চায় না। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নির্বাচন উৎসবমুখর ও ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হিসেবে দেখতে চায় দলটি। বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদে চূড়ান্ত মতামত প্রদান করবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ পৃষ্ঠার মতামত তৈরি হয়েছে। বিএনপি মতে, জুলাই সনদের যে ধারা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন, তা সংসদ নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য না হলে তা সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখছে দলটি। দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায়ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিটি পূজামণ্ডপে রাতদিন পাহারা দেবে। দলের চিঠিতে ৬ দফা নির্দেশনা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারবে, সেজন্য পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করতে হবে। জেলার জেলা ও মহানগরের অধীনে প্রত্যেক উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, দুর্গাপূজার নিরাপত্তা, সতর্ক নজরদারি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিএনপি জানিয়েছে, রোববার ও সোমবার পৃথক সংবাদ সম্মেলনে চারটি ইসলামি দল অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলের একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন, তাদের দাবির মধ্যে ভোটে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (পিআর) রয়েছে, যা দেশের মানুষ পুরোপুরি জানে না। বিএনপি এ বিষয়ে আন্তরিক এবং ঐকমত্য কমিশনের বেশিরভাগ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। বিএনপি দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ধৈর্য প্রদর্শন করবে, কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবে না। দেশের নির্বাচনের মাধ্যমে এটি আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাস্তবায়িত হবে। রাজধানীতে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে রাজপথে কোনো কর্মসূচি দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি জানান, বিএনপি দেশের উন্নয়ন, উৎপাদন ও নাগরিক ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির নজর ইসলামি দলগুলোয়

আপডেট সময় : ০৭:১৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বিএনপির ধারণা, ইস্যু সৃষ্টি করে দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা
  • ভোটের জন্য প্রস্তুত এনসিপি, জোটের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে তরুণ নেতৃত্বের দল
    জাতীয়

দুর্গাপূজার নিরাপত্তা, সতর্ক নজরদারি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- রুহুল কবির রিজভী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি দেশের পরিস্থিতি সর্বোচ্চ ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলটি জানিয়েছে, কিছু ইসলামি দল নানা দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে, যা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে বিএনপির ধারণা, ইস্যু সৃষ্টি করে দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

অন্তবর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখনো প্রায় ৫ মাস। কিন্তু এখনও নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি গণঅভুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। দলটির শাপলা প্রতীকের দাবিও অমিমাংসিত। প্রতীকের প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শাপলা প্রতীকের ব্যাপারেই ভাবছি। এখন পর্যন্ত বিকল্প অন্য কোনও প্রতীক নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। শতাধিক আইনজীবী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক প্রদানে আইনগত কোনও বাধার জায়গা নেই। তবে নিবন্ধন কিংবা প্রতীকের চেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এনসিপির বড় শর্ত গণহত্যার বিচার ও সংস্কার বাস্তবায়ন। এছাড়া, নির্বাচন চায় না দলটি।
আখতার হোসেন বললেন, নির্বাচনের যে আলোচনা সেটা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন, সেটা পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত দেয়। সেটা বাংলাদেশে আমরা হতে দেবো না। বাংলাদেশে অবশ্যই নতুন ব্যবস্থার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোর বাইরে যেতে পারবেন না। এইটা পাকাপোক্ত করেই ক্ষমতা অর্পণ করার দিকে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এনসিপি প্রস্তুত এবং এনসিপি মনে করে গণপরিষদই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের মূল সমাধান। আমাদের মূল আপত্তির জায়গা বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক যে কাঠামো সে কাঠামো পরিবর্তন, এখানে যাতে পূর্বের ফ্যাসিবাদ কোনোভাবে ফিরে না আসে। এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিলেও জোট করবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে জোটের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হবে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দলকে। আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ভোটের ক্ষেত্রে জোটের বিষয়ে এনসিপি এখনও কোনও ধরনের চিন্তা-সমঝোতা করেনি। বরং এনসিপি মনে করে তরুণদের যে প্রজন্ম, আগামীতে তাদেরকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ আসতে পারে। দলটির শীর্ষ নেতারা এ-ও বলছেন, এনসিপি নির্বাচনের বিপক্ষে না। তবে বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচনের সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত দলটি। আখতার হোসেনের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন যেভাবে ফাংশন করছে তাতে করে তারা নির্বাচন আয়োজনের মতো প্রস্তুত হয়েছে বলে আমাদের কাছে এখনও মনে হয় না। নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যতটুকু নিরপেক্ষ-জনবান্ধব হওয়া দরকার, সে রকম পরিস্থিতি নেই। ফলে এটির আমূল সংস্কার দরকার।
দলের নীতি অনুযায়ী, দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নেতাকর্মীরা সর্বদা সতর্ক থাকবেন। বিএনপি এই মুহূর্তে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত করবে এমন কোনো উত্তাপ পরিস্থিতি চায় না। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নির্বাচন উৎসবমুখর ও ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হিসেবে দেখতে চায় দলটি। বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদে চূড়ান্ত মতামত প্রদান করবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ পৃষ্ঠার মতামত তৈরি হয়েছে। বিএনপি মতে, জুলাই সনদের যে ধারা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন, তা সংসদ নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য না হলে তা সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখছে দলটি। দুর্গাপূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায়ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিটি পূজামণ্ডপে রাতদিন পাহারা দেবে। দলের চিঠিতে ৬ দফা নির্দেশনা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারবে, সেজন্য পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করতে হবে। জেলার জেলা ও মহানগরের অধীনে প্রত্যেক উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, দুর্গাপূজার নিরাপত্তা, সতর্ক নজরদারি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিএনপি জানিয়েছে, রোববার ও সোমবার পৃথক সংবাদ সম্মেলনে চারটি ইসলামি দল অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলের একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন, তাদের দাবির মধ্যে ভোটে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (পিআর) রয়েছে, যা দেশের মানুষ পুরোপুরি জানে না। বিএনপি এ বিষয়ে আন্তরিক এবং ঐকমত্য কমিশনের বেশিরভাগ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। বিএনপি দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ধৈর্য প্রদর্শন করবে, কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবে না। দেশের নির্বাচনের মাধ্যমে এটি আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাস্তবায়িত হবে। রাজধানীতে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে রাজপথে কোনো কর্মসূচি দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি জানান, বিএনপি দেশের উন্নয়ন, উৎপাদন ও নাগরিক ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।