১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মুসলিম প্রধান একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের নেতা বা শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। আলোচনায় মূল বিষয় হবে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি ও শাসনব্যবস্থা।

 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এর তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প বৈঠকে একটি শান্তি প্রস্তাব ও যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা শাসন কাঠামো নিয়ে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলোচনায় জিম্মি মুক্তি, যুদ্ধের অবসান, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও হামাস-বহির্ভূত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয় গুরুত্ব পাবে।

ওয়াশিংটন চাইছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাক, যাতে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করতে পারে। একইসঙ্গে গাজা পুনর্গঠন ও স্থানান্তরকালীন খরচের জন্য অর্থায়নেও দেশগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে।

ট্রাম্পের এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বহু দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, শান্তির একমাত্র পথ হলো দুই-রাষ্ট্র সমাধান। তবে ইসরায়েল এই স্বীকৃতিকে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’ বলে উল্লেখ করেছে। স্বীকৃতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

কাবা শরীফ চত্বরে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির

গাজা ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মুসলিম প্রধান একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের নেতা বা শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। আলোচনায় মূল বিষয় হবে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি ও শাসনব্যবস্থা।

 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এর তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প বৈঠকে একটি শান্তি প্রস্তাব ও যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা শাসন কাঠামো নিয়ে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলোচনায় জিম্মি মুক্তি, যুদ্ধের অবসান, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও হামাস-বহির্ভূত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয় গুরুত্ব পাবে।

ওয়াশিংটন চাইছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাক, যাতে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করতে পারে। একইসঙ্গে গাজা পুনর্গঠন ও স্থানান্তরকালীন খরচের জন্য অর্থায়নেও দেশগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে।

ট্রাম্পের এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বহু দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, শান্তির একমাত্র পথ হলো দুই-রাষ্ট্র সমাধান। তবে ইসরায়েল এই স্বীকৃতিকে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’ বলে উল্লেখ করেছে। স্বীকৃতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

এমআর/সবা