দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমার কোনো লক্ষণ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় মরণব্যাধি এ রোগে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৬৬৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে—
বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৮ জন
চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৬ জন
ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৬ জন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৯৪ জন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৩ জন
খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪১ জন
ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০ জন
রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৫ জন
রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭৭১ জন রোগী চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার ৬৩৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের পরিসংখ্যান
২০২৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এ রোগে ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আগের দুই বছরের চিত্র
২০২৪ সালে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন, আর মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫৭৫।
২০২৩ সালে পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়াবহ—সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন এক হাজার ৭০৫ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও মৃত্যু কমেনি। তাই জনসচেতনতা, মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করা এবং সময়মতো রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তারা।
এমআর/সবা






















