০৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে বাসচাপায় হেফাজত নেতা নিহত, দুই মহাসড়কে অবরোধ

চট্টগ্রামের রাউজানে বাসচাপায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা সোহেল চৌধুরী (৫০) নিহত হওয়ার ঘটনায় হাটহাজারীতে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সকাল ৭টা থেকে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড, হাটহাজারী বাজার, কলেজ গেট, ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনেসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বসে স্লোগান দিতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালে রাউজান উপজেলার গহিরা শান্তির দ্বীপ এলাকায় মাওলানা সোহেল চৌধুরী মোটরসাইকেলে করে হাটহাজারী যাওয়ার পথে একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক বাসের চালক জানে আলমকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী দাবি করেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, “ঘটনার পর আমরা ঘাতক চালক, গাড়ি ও মরদেহ নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমাদের বক্তব্য অনুযায়ী মামলা নিতে রাজি হয়নি। পুলিশ তাদের মতো করে এজাহার লিখতে বলে, কিন্তু আমরা পরিকল্পিত হত্যার কথা উল্লেখ করতে চাওয়ায় তারা মামলা নেয়নি। তার প্রতিবাদেই আজকের অবরোধ।”

নিহত সোহেল চৌধুরী সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম শহরের মেডিকেল গেট এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি রাউজানের কচুখাইন আহমদিয়া আল ইসলামিয়া আল হিকমা মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, “একজন হেফাজত নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ চলছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।”

রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ উল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে বাসচাপায় হেফাজত নেতা নিহত, দুই মহাসড়কে অবরোধ

আপডেট সময় : ০১:২৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের রাউজানে বাসচাপায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা সোহেল চৌধুরী (৫০) নিহত হওয়ার ঘটনায় হাটহাজারীতে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সকাল ৭টা থেকে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড, হাটহাজারী বাজার, কলেজ গেট, ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনেসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বসে স্লোগান দিতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালে রাউজান উপজেলার গহিরা শান্তির দ্বীপ এলাকায় মাওলানা সোহেল চৌধুরী মোটরসাইকেলে করে হাটহাজারী যাওয়ার পথে একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক বাসের চালক জানে আলমকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী দাবি করেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, “ঘটনার পর আমরা ঘাতক চালক, গাড়ি ও মরদেহ নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমাদের বক্তব্য অনুযায়ী মামলা নিতে রাজি হয়নি। পুলিশ তাদের মতো করে এজাহার লিখতে বলে, কিন্তু আমরা পরিকল্পিত হত্যার কথা উল্লেখ করতে চাওয়ায় তারা মামলা নেয়নি। তার প্রতিবাদেই আজকের অবরোধ।”

নিহত সোহেল চৌধুরী সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম শহরের মেডিকেল গেট এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি রাউজানের কচুখাইন আহমদিয়া আল ইসলামিয়া আল হিকমা মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, “একজন হেফাজত নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ চলছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।”

রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ উল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এমআর/সবা