লালমনিরহাটের নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাশয়ে দেশীয় মাছের প্রজনন হ্রাস পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে ছোট মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, সানিয়াজানসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিলে আগে প্রচুর দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও এখন দেশীয় মাছের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
জেলার হাট-বাজারগুলোতে বড় মাছ পাওয়া গেলেও ছোট দেশীয় মাছ যেমন পুঁটি, মলা, খলিসা, টাকি, চিংড়ি ও শোল জাতের মাছ এখন বিরল। মাছ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সরবরাহ কম থাকায় দামও বেড়ে গেছে। স্থানীয় জেলেরা বলছেন, এক দশক আগেও জাল ফেললে প্রচুর মাছ ধরা পড়ত, বর্তমানে সেই অবস্থা নেই। ফলে অনেকেই জীবিকা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন।
বাজারের আড়তদাররা জানান, হাইব্রিড মাছ চাষের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি চায়না-দুয়ারী ও কারেন্ট জালের অতিরিক্ত ব্যবহার এতে বড় ভূমিকা রাখছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, দেশীয় মাছ রক্ষায় অবৈধ জাল ধ্বংস, ডিমওয়ালা মাছ অবমুক্ত ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। প্রশিক্ষণ ও বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত হলে মাছের প্রজনন সংরক্ষণ সম্ভব হবে।
লালমনিরহাট জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২০ হাজারের বেশি পুকুর, ৮টি নদী, ৫৫টি বিল এবং ৯৮টি প্লাবনভূমি রয়েছে। পরিবেশগত পরিবর্তনসহ মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ডে এসব জলাশয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে দ্রুত কার্যকর সরকারি উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন।
এমআর/স বা























