০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশ যাওয়ার প্রলোভনে বিয়ে, পরে তালাক: আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ

লালমনিরহাটে আতিকুল ইসলাম (ডাকনাম: দুবাই আতিক) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে বিয়ে গড়ে তুলে পরে তা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আতিক বিয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেন এবং বিদেশ যাওয়ার অজুহাতে সম্পর্ক থেকে সরে এসে তাদের জীবনে মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি তৈরি করেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, আতিক বিভিন্ন সময় নিজেকে প্রবাসী বা বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াধীন বলে পরিচয় দিয়ে মেয়ের পরিবারকে আশ্বস্ত করতেন। বিয়ের পর স্বাভাবিক সংসার চালানোর পরিবর্তে কৌশলে তালাকের পরিবেশ তৈরি করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আতিক বেশ কয়েকবার এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করার পর নানা অজুহাত ও চাপ সৃষ্টি করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তালাকের প্রসঙ্গে তার এলাকায় একটি দল কাজ করে, যারা টাকার বিনিময়ে এসব বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকে।

ভাদাই ইউনিয়নের সজীব বাজার এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, “প্রতি বছর একজন করে বউ ছাড়েন। আমার জানা মতে কমপক্ষে তিনটি মেয়েকে তালাক দিয়েছেন আতিক। প্রথম বিয়ে করেছিল মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে। তিন মাসের মাথায় ওই মেয়েটিকেও ছাড়তে বাধ্য করা হয়। মেয়েটির পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় কোনো আইনি সহায়তাও পাননি।”

ভাদাই পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, “আতিকের কারণে আমাদের এলাকার নাম খারাপ হয়ে গেছে। আমরা চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার হোক।”

ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রতি দ্রুত তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পুনরায় ঘটতে না পারে, এজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অভিযুক্ত আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

বিদেশ যাওয়ার প্রলোভনে বিয়ে, পরে তালাক: আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটে আতিকুল ইসলাম (ডাকনাম: দুবাই আতিক) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে বিয়ে গড়ে তুলে পরে তা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আতিক বিয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেন এবং বিদেশ যাওয়ার অজুহাতে সম্পর্ক থেকে সরে এসে তাদের জীবনে মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি তৈরি করেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, আতিক বিভিন্ন সময় নিজেকে প্রবাসী বা বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াধীন বলে পরিচয় দিয়ে মেয়ের পরিবারকে আশ্বস্ত করতেন। বিয়ের পর স্বাভাবিক সংসার চালানোর পরিবর্তে কৌশলে তালাকের পরিবেশ তৈরি করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আতিক বেশ কয়েকবার এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে কিছুদিন সংসার করার পর নানা অজুহাত ও চাপ সৃষ্টি করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তালাকের প্রসঙ্গে তার এলাকায় একটি দল কাজ করে, যারা টাকার বিনিময়ে এসব বিষয়ে সহযোগিতা করে থাকে।

ভাদাই ইউনিয়নের সজীব বাজার এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, “প্রতি বছর একজন করে বউ ছাড়েন। আমার জানা মতে কমপক্ষে তিনটি মেয়েকে তালাক দিয়েছেন আতিক। প্রথম বিয়ে করেছিল মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে। তিন মাসের মাথায় ওই মেয়েটিকেও ছাড়তে বাধ্য করা হয়। মেয়েটির পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় কোনো আইনি সহায়তাও পাননি।”

ভাদাই পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, “আতিকের কারণে আমাদের এলাকার নাম খারাপ হয়ে গেছে। আমরা চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার হোক।”

ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রতি দ্রুত তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পুনরায় ঘটতে না পারে, এজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অভিযুক্ত আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এমআর/সবা