০৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনাগাজীতে বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পুনর্মিলনী

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর পুরোনো বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ ও উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনভেস্ট ব্যাংক অব কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, এবং সঞ্চালনা করেন মাষ্টার খুরশিদ আলম ও মাজহারুল ইসলাম বাদল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. আবুল হোসেন সিরাজ, প্রাক্তন কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ইকবাল হোসেন, প্রথম আলোর সাবেক জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজমুল করিম দুলাল।

অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছিল রঙিন সাজে। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সমবেত হন। সহপাঠীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে স্কুলজীবনের স্মৃতি ভাগাভাগি করেন, যা আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।

সভাপতি ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, “একটি বিদ্যালয়ের প্রাণ হলো তার শিক্ষার্থীরা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই মিলনমেলা শুধু আনন্দের উৎসব নয়, বরং বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।” প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, “অনেক বছর পর পুনর্মিলনীতে এসে আনন্দ লাগছে। বিদ্যালয়টির মান ধরে রেখে শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজনক কমিটির সদস্য নুরুল আমিন মামুন ভুইঁয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকারিয়া মহিউদ্দিন, আবুল কাশেম, বিমলেন্দু দত্ত, আবু তাহের, জগদিশ চন্দ্র আশ্চর্য্য ও নজরুল ইসলামকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল আকর্ষণীয় রাফেল ড্র, প্রীতিভোজ এবং স্থানীয় ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের গান ও নৃত্য পরিবেশন। উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ছিল প্রথমবারের মতো সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা, যাতে নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনাগাজীতে বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পুনর্মিলনী

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর পুরোনো বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ ও উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনভেস্ট ব্যাংক অব কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, এবং সঞ্চালনা করেন মাষ্টার খুরশিদ আলম ও মাজহারুল ইসলাম বাদল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. আবুল হোসেন সিরাজ, প্রাক্তন কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ইকবাল হোসেন, প্রথম আলোর সাবেক জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজমুল করিম দুলাল।

অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছিল রঙিন সাজে। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সমবেত হন। সহপাঠীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে স্কুলজীবনের স্মৃতি ভাগাভাগি করেন, যা আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।

সভাপতি ড. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, “একটি বিদ্যালয়ের প্রাণ হলো তার শিক্ষার্থীরা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই মিলনমেলা শুধু আনন্দের উৎসব নয়, বরং বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।” প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, “অনেক বছর পর পুনর্মিলনীতে এসে আনন্দ লাগছে। বিদ্যালয়টির মান ধরে রেখে শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজনক কমিটির সদস্য নুরুল আমিন মামুন ভুইঁয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকারিয়া মহিউদ্দিন, আবুল কাশেম, বিমলেন্দু দত্ত, আবু তাহের, জগদিশ চন্দ্র আশ্চর্য্য ও নজরুল ইসলামকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল আকর্ষণীয় রাফেল ড্র, প্রীতিভোজ এবং স্থানীয় ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের গান ও নৃত্য পরিবেশন। উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ছিল প্রথমবারের মতো সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা, যাতে নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।