০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীর ১২৪ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

নীলফামারীর সদর উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকরা নিয়মিত সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় ১২৪ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের অভিযান চলাকালে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে উপজেলা শিক্ষা অফিস কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল শীঘ্রই রংপুর বিভাগের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে আসবেন। এ পরিদর্শনের প্রেক্ষিতে শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জহিজুল আলম মন্ডল ও ৭ জন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন।

উপজেলা এলাকার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করছেন। তাই প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে এক সপ্তাহের মধ্যে ১২৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি সন্তোষ কুমার রায় বলেন, “শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষকরা যদি দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন, শিক্ষার্থীরাও দেরিতে আসবে। তাই সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান, সময়মতো বিদ্যালয়ে এসে দায়িত্ব পালন করুন।”

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জহিজুল আলম মন্ডল জানান, “গ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসে। শিক্ষকরা যদি পরে আসেন, তাহলে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। তাই সকাল ৯টায় বিদ্যালয় পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, যাতে শিক্ষকরা সময়মতো উপস্থিত হন।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীর ১২৪ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

আপডেট সময় : ০৫:৩১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

নীলফামারীর সদর উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকরা নিয়মিত সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় ১২৪ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের অভিযান চলাকালে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে উপজেলা শিক্ষা অফিস কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল শীঘ্রই রংপুর বিভাগের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে আসবেন। এ পরিদর্শনের প্রেক্ষিতে শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জহিজুল আলম মন্ডল ও ৭ জন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিদর্শন করছেন।

উপজেলা এলাকার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পরিদর্শনের সময় দেখা গেছে, অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করছেন। তাই প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে এক সপ্তাহের মধ্যে ১২৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি সন্তোষ কুমার রায় বলেন, “শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষকরা যদি দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন, শিক্ষার্থীরাও দেরিতে আসবে। তাই সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান, সময়মতো বিদ্যালয়ে এসে দায়িত্ব পালন করুন।”

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জহিজুল আলম মন্ডল জানান, “গ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসে। শিক্ষকরা যদি পরে আসেন, তাহলে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে। তাই সকাল ৯টায় বিদ্যালয় পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, যাতে শিক্ষকরা সময়মতো উপস্থিত হন।”

এমআর/সবা