০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে পণ্য আমদানির ব্যস্ততা, টার্গেট রমজান মাস

পুরো বছরে ছোলার চাহিদা দেড় লাখ টন, শুধু রমজানে প্রায় ১ লাখ টন

পণ্যটির দাম কমেছে বিশ্ববাজারে, বুকিং হচ্ছে ৫০০ ডলারে

  • বিশ্ববাজারে দাম কমে প্রতিটন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪১৭ ডলারে
  • রমজানে দেশে খেজুরের চাহিদা ৬০ হাজার টন, কমেছে শুল্ক ও উৎসে কর
  • সক্রিয় হচ্ছে অসাধু মজুদদাররা, নজরদারির তাগিদ
  • এলসি খোলায় সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

‘রমজানকে কেন্দ্র করে এখনও পণ্য দেশের বাজারে ঢুকা শুরু করেনি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পণ্য আসতে শুরু করবে’
– মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, আমদানিকারক
‘এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটু লিবারেল রয়েছে। গতবার আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার তা বাস্তবায়ন করবো, যাতে করে রোজার সময় পণ্যের দামটা সহনীয় থাকে’
– ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থ উপদেষ্টা

প্রতিবছর রমজান মাস এলেই দেশে ডাল, গম, ছোলা, চিনি, তেল ও খেজুরসহ অন্যান্য জরুরি খাদ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর এ চাহিদাকে সামনে রেখে কয়েক মাস আগ থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে আমদানিকারকরা। একই সঙ্গে রমজান মাসকে ঘিরে অধিক মুনাফালোভী এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্য মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যমূল্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এবারও সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের বাজারে পুরো বছরজুড়ে ছোলার চাহিদা রয়েছে দেড়লাখ টন। শুধু রমজান মাসেই এর চাহিদা রয়েছে ৯৫ হাজার থেকে প্রায় এক লাখ টন। এছাড়া দেশে বছরে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা থাকলেও শুধু রমজানেই প্রায় ৬০ হাজার টন চাহিদা রয়েছে। বিশ্ববাজারে কমেছে গম, চিনিসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য। রমজান মাসে চাহিদার বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই এসব পণ্যে শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে দিয়েছে। এমন বাস্তবতায় আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে পণ্য কেনার প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা। এ অবস্থায় ব্যাংকের ঋণপত্র খোলায় সহযোগিতা চাইছেন তারা। এরইমধ্যে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় বাংলাদেশ ব্যাংক আগের চেয়ে নমনীয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। আমদানিকারকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় রোজায় ছোলা, ডাল চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমবে। অসাধু চক্রের কারসাজি ঠেকাতে এখনই নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারক মোহাম্মদ মহিউদ্দীনের মতে, রমজানকে কেন্দ্র করে এখনও পণ্য দেশের বাজারে প্রবেশ শুরু করেনি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পণ্য আসতে শুরু করবে। তবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটু লিবারেল রয়েছে। গতবার আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার তা বাস্তবায়ন করবো, যাতে করে রোজার সময় পণ্যের দামটা সহনীয় থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজানের এখনও বাকি তিন মাস। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে শুরু হতে পারে মুসলিম ধর্মের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। কিন্তু এরই মধ্যে রমজান মাস ঘিরে ব্যবসার প্রস্ততি নিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ছোলা, চিনি, খেজুর, তেলসহ যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেসব পণ্যের আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
রমজানে ছোলা ও ডাল জাতীয় পণ্যের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে দেশে পুরো বছর জুড়ে ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় দেড় লাখ টন। আর শুধু রমজানে পণ্যটির চাহিদা থাকে ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ টন। বর্তমানে বিশ্ববাজারে পণ্যটি কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসেবে আমদানি খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এবারের রমজানে পাইকারিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় ছোলা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, বিদেশে ছোলার দাম কমে গেছে। যে ছোলা দুই মাস আগে ৭০০ ডলার বুকিং ছিলো তা এখন বুকিং ৫০০ ডলারে হচ্ছে।
সালমা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি জুয়েল মহাজন বলেন, এবারও ছোলার বাজার ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে থাকবে বলে আশা করছি। মোটর ডাল ৪০ থেকে ৫০ টাকা আশা করছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে রমজানে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খেজুর উৎপাদন চলে। বর্তমানে ভরপুর মৌসুম হওয়ায় পণ্যটির দামও বিশ্ববাজারে কিছুটা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিসরের মতো দেশ থেকে খেজুর আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে বছরে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে শুধু রমজানেই প্রায় ৬০ হাজার টন চাহিদা থাকে। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরইমধ্যে ট্যারিফ কমিশন পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কবাধা কেটে গেলে ভোক্তা কম দামেই খেজুর পাবেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি এবার প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে। বছরের পুরো মৌসুমের মধ্যে বর্তমানে সারাবিশ্বে খুবই মন্দাভাব দেখাচ্ছে। তারা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে এখনও পণ্য দেশের বাজারে প্রবেশ শুরু করেনি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পণ্য আসতে শুরু করবে। আর পাইকারি বাজারে পণ্য বেচাকেনা শুরু হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে।
এদিকে, বিশ্ববাজারে ক্রমাগত কমছে চিনির দাম। চলতি বছর পুরোটা সময় ধরেই কিছু না কিছু করে কমেছে এই নিত্য পণ্যটির দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪১৭ ডলারে। জ্বালানী তেলের দাম কমা এবং ব্রাজিলে চিনির ভালো উৎপাদনের কারণে এ পণ্যের দাম আরও কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রোজার আগেই আমরা চাল, গম ইত্যাদি আনছি। বাকিগুলোও কমানো যাবে। আপনারা জানেন এরইমধ্যে এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটু লিবারেল রয়েছে। গতবার আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার তা বাস্তবায়ন করবো যাতে করে দামটা সহনীয় হয় রোজার সময়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বাড়ছে পণ্য আমদানির ব্যস্ততা, টার্গেট রমজান মাস

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

পুরো বছরে ছোলার চাহিদা দেড় লাখ টন, শুধু রমজানে প্রায় ১ লাখ টন

পণ্যটির দাম কমেছে বিশ্ববাজারে, বুকিং হচ্ছে ৫০০ ডলারে

  • বিশ্ববাজারে দাম কমে প্রতিটন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪১৭ ডলারে
  • রমজানে দেশে খেজুরের চাহিদা ৬০ হাজার টন, কমেছে শুল্ক ও উৎসে কর
  • সক্রিয় হচ্ছে অসাধু মজুদদাররা, নজরদারির তাগিদ
  • এলসি খোলায় সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

‘রমজানকে কেন্দ্র করে এখনও পণ্য দেশের বাজারে ঢুকা শুরু করেনি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পণ্য আসতে শুরু করবে’
– মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, আমদানিকারক
‘এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটু লিবারেল রয়েছে। গতবার আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার তা বাস্তবায়ন করবো, যাতে করে রোজার সময় পণ্যের দামটা সহনীয় থাকে’
– ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থ উপদেষ্টা

প্রতিবছর রমজান মাস এলেই দেশে ডাল, গম, ছোলা, চিনি, তেল ও খেজুরসহ অন্যান্য জরুরি খাদ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর এ চাহিদাকে সামনে রেখে কয়েক মাস আগ থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে আমদানিকারকরা। একই সঙ্গে রমজান মাসকে ঘিরে অধিক মুনাফালোভী এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্য মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যমূল্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এবারও সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের বাজারে পুরো বছরজুড়ে ছোলার চাহিদা রয়েছে দেড়লাখ টন। শুধু রমজান মাসেই এর চাহিদা রয়েছে ৯৫ হাজার থেকে প্রায় এক লাখ টন। এছাড়া দেশে বছরে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা থাকলেও শুধু রমজানেই প্রায় ৬০ হাজার টন চাহিদা রয়েছে। বিশ্ববাজারে কমেছে গম, চিনিসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য। রমজান মাসে চাহিদার বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই এসব পণ্যে শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে দিয়েছে। এমন বাস্তবতায় আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে পণ্য কেনার প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা। এ অবস্থায় ব্যাংকের ঋণপত্র খোলায় সহযোগিতা চাইছেন তারা। এরইমধ্যে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় বাংলাদেশ ব্যাংক আগের চেয়ে নমনীয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। আমদানিকারকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় রোজায় ছোলা, ডাল চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমবে। অসাধু চক্রের কারসাজি ঠেকাতে এখনই নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারক মোহাম্মদ মহিউদ্দীনের মতে, রমজানকে কেন্দ্র করে এখনও পণ্য দেশের বাজারে প্রবেশ শুরু করেনি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পণ্য আসতে শুরু করবে। তবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটু লিবারেল রয়েছে। গতবার আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার তা বাস্তবায়ন করবো, যাতে করে রোজার সময় পণ্যের দামটা সহনীয় থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজানের এখনও বাকি তিন মাস। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে শুরু হতে পারে মুসলিম ধর্মের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। কিন্তু এরই মধ্যে রমজান মাস ঘিরে ব্যবসার প্রস্ততি নিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ছোলা, চিনি, খেজুর, তেলসহ যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেসব পণ্যের আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
রমজানে ছোলা ও ডাল জাতীয় পণ্যের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে দেশে পুরো বছর জুড়ে ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় দেড় লাখ টন। আর শুধু রমজানে পণ্যটির চাহিদা থাকে ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ টন। বর্তমানে বিশ্ববাজারে পণ্যটি কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসেবে আমদানি খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এবারের রমজানে পাইকারিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় ছোলা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, বিদেশে ছোলার দাম কমে গেছে। যে ছোলা দুই মাস আগে ৭০০ ডলার বুকিং ছিলো তা এখন বুকিং ৫০০ ডলারে হচ্ছে।
সালমা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি জুয়েল মহাজন বলেন, এবারও ছোলার বাজার ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে থাকবে বলে আশা করছি। মোটর ডাল ৪০ থেকে ৫০ টাকা আশা করছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে রমজানে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খেজুর উৎপাদন চলে। বর্তমানে ভরপুর মৌসুম হওয়ায় পণ্যটির দামও বিশ্ববাজারে কিছুটা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিসরের মতো দেশ থেকে খেজুর আমদানি হয়।
ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে বছরে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে শুধু রমজানেই প্রায় ৬০ হাজার টন চাহিদা থাকে। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরইমধ্যে ট্যারিফ কমিশন পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কবাধা কেটে গেলে ভোক্তা কম দামেই খেজুর পাবেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি এবার প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে। বছরের পুরো মৌসুমের মধ্যে বর্তমানে সারাবিশ্বে খুবই মন্দাভাব দেখাচ্ছে। তারা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে এখনও পণ্য দেশের বাজারে প্রবেশ শুরু করেনি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পণ্য আসতে শুরু করবে। আর পাইকারি বাজারে পণ্য বেচাকেনা শুরু হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে।
এদিকে, বিশ্ববাজারে ক্রমাগত কমছে চিনির দাম। চলতি বছর পুরোটা সময় ধরেই কিছু না কিছু করে কমেছে এই নিত্য পণ্যটির দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪১৭ ডলারে। জ্বালানী তেলের দাম কমা এবং ব্রাজিলে চিনির ভালো উৎপাদনের কারণে এ পণ্যের দাম আরও কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রোজার আগেই আমরা চাল, গম ইত্যাদি আনছি। বাকিগুলোও কমানো যাবে। আপনারা জানেন এরইমধ্যে এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটু লিবারেল রয়েছে। গতবার আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার তা বাস্তবায়ন করবো যাতে করে দামটা সহনীয় হয় রোজার সময়।