০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৭ বছর পর দেশে ফেরার জন্য স্বাগত জানালেন জানালেন সারজিস

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম।

সারজিস আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন এবং রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি আসছেন। আমরা ২৪-এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই।”

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে, “পূর্ব অভিজ্ঞতা ও বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলন এবং আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব—এটাই প্রত্যাশা।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ও কন্যাকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। স্বল্প যাত্রাবিরতির পর বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট নম্বর বিজি-২০২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ঢাকা বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির শীর্ষ নেতারা। অভ্যর্থনা লাউঞ্জে প্রথমে তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশলাদি বিনিময় করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, গয়েশ্বর রায়, নজরুল ইসলাম, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে তার দেশে ফেরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টা) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে তারেক রহমান ও তার পরিবারকে বহনকারী বিমানটি যাত্রা শুরু করে।

শু/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ বছর পর দেশে ফেরার জন্য স্বাগত জানালেন জানালেন সারজিস

আপডেট সময় : ০৩:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম।

সারজিস আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন এবং রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি আসছেন। আমরা ২৪-এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই।”

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে, “পূর্ব অভিজ্ঞতা ও বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলন এবং আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব—এটাই প্রত্যাশা।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ও কন্যাকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। স্বল্প যাত্রাবিরতির পর বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট নম্বর বিজি-২০২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ঢাকা বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির শীর্ষ নেতারা। অভ্যর্থনা লাউঞ্জে প্রথমে তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশলাদি বিনিময় করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, গয়েশ্বর রায়, নজরুল ইসলাম, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে তার দেশে ফেরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টা) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে তারেক রহমান ও তার পরিবারকে বহনকারী বিমানটি যাত্রা শুরু করে।

শু/সবা