০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সচেতন হবার বার্তা প্রধান উপদেষ্টার

দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই; বরং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গত শুক্রবার ও শনিবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বিশেষজ্ঞদের দ্রুত লিখিত পরামর্শ দিতে আহ্বান জানান, যাতে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা হাত গুটিয়ে রাখতে চাই না, আবার অবৈজ্ঞানিক পদক্ষেপও নিতে চাই না। আপনারা দ্রুত লিখিত পরামর্শ দিন; সরকার প্রস্তুত।”

বৈঠকে ভূমিকম্প প্রস্তুতির জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং একাধিক টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা, জ্বালানি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, পরিবেশ উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন এমআইএসটির অধ্যাপক মো. জয়নুল আবেদীন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান, চুয়েটের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার, আবহাওয়াবিদ এবং ভূতত্ত্ববিদরা।

সভায় বলা হয়, ভূমিকম্পের সময় নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় বলা সম্ভব নয়; তবে অতীত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা আতঙ্ক নয়, সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার বলেন, চার স্তরে পরিকল্পনা তৈরি করে তরুণদের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে। চুয়েটের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগের স্থাপনার মূল্যায়নের গুরুত্ব উল্লেখ করেন।

এমআইএসটির অধ্যাপক মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, মানুষকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দিতে হবে, খোলা জায়গা এবং মহড়ার ব্যবস্থা জানাতে হবে। এছাড়া ভবন ও হাসপাতালের মান, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই করতে হবে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী জানান, সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফাটল ধরা ভবনের ছবি সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিশেষজ্ঞদের লিখিত সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যাতে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা একযোগে ভূমিকম্প মোকাবিলায় কার্যক্রম নিতে পারেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই : তারেক রহমান

ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সচেতন হবার বার্তা প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই; বরং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গত শুক্রবার ও শনিবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বিশেষজ্ঞদের দ্রুত লিখিত পরামর্শ দিতে আহ্বান জানান, যাতে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা হাত গুটিয়ে রাখতে চাই না, আবার অবৈজ্ঞানিক পদক্ষেপও নিতে চাই না। আপনারা দ্রুত লিখিত পরামর্শ দিন; সরকার প্রস্তুত।”

বৈঠকে ভূমিকম্প প্রস্তুতির জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং একাধিক টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা, জ্বালানি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, পরিবেশ উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন এমআইএসটির অধ্যাপক মো. জয়নুল আবেদীন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান, চুয়েটের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার, আবহাওয়াবিদ এবং ভূতত্ত্ববিদরা।

সভায় বলা হয়, ভূমিকম্পের সময় নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় বলা সম্ভব নয়; তবে অতীত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা আতঙ্ক নয়, সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার বলেন, চার স্তরে পরিকল্পনা তৈরি করে তরুণদের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে। চুয়েটের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগের স্থাপনার মূল্যায়নের গুরুত্ব উল্লেখ করেন।

এমআইএসটির অধ্যাপক মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, মানুষকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দিতে হবে, খোলা জায়গা এবং মহড়ার ব্যবস্থা জানাতে হবে। এছাড়া ভবন ও হাসপাতালের মান, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই করতে হবে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী জানান, সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফাটল ধরা ভবনের ছবি সংগ্রহ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিশেষজ্ঞদের লিখিত সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যাতে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা একযোগে ভূমিকম্প মোকাবিলায় কার্যক্রম নিতে পারেন।

এমআর/সবা