০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ১ হাজার বাঁশে সাজছে ৩০০ প্রতিমা

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • 78

ফিরোজ আহম্মেদ, রাজবাড়ী, প্রতিনিধি

পুকুরের ওপর ১০ হাজার বাশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ৮টি মণ্ডপ। দোতলার মণ্ডপগুলোতে থাকবে তিন শতাধিক প্রতিমা। ব্যতিক্রমী এই মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে। এসব মণ্ডপে সনাতন ধর্মের আলোকে বিভিন্ন কাহিনির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্রও তুলে ধরা হবে।

আলোকদিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি মণ্ডপে প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলোতে প্রতিমা স্থাপনের কাজ চলছে। আয়োজকেরা জানান, তিন মাস ধরে কারিগরেরা মণ্ডপগুলো নির্মাণে কাজ করছেন। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।প্রতিমাগুলোতে চলছে রঙের কাজ। এই আয়োজন দেখতে দেশ ও বিদেশ থেকে ৫-৬ লাখ মানুষ আসবেন বলে মনে করছেন আয়োজকেরা।

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা দর্শন শেষ করতে হাঁটতে হবে ১ হাজার ৪০০ ফুট। প্রবেশের সময়ই চোখে পড়বে শিবের বিশালাকৃতির প্রতিমা। এরপর কিছু দূর এগোলে দেখা যাবে বড় মন্দির। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে দক্ষযজ্ঞের কাহিনি। দক্ষযজ্ঞ থেকে শুরু করে সতীর পুনর্জন্ম এবং ৫১টি শক্তিপীঠের কাহিনি সাজানো হয়েছে প্রতিমাগুলো দিয়ে। এরপর পুকুরের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পদচারী-সেতু (ওভারব্রিজ)। সেতুর দুই পাশে ফোয়ারার মধ্য দিয়ে সামনের মণ্ডপে মেট্রোরেলের ভেতরে রাখা হয়েছে ২০ জন মনীষীর প্রতিকৃতি। সেগুলো দেখে এগোলে দেখা যাবে সনাতন ধর্মের আরেক কাহিনি। সেটি শেষ করতে পরের মণ্ডপে দেখা যাবে কুঞ্জবনে শ্রীকৃষ্ণের শৈশব। এরপর দেবীর ঘোটকে বিদায়ের আরেকটি দৃশ্য। সেটি শেষে পৌঁছে যাওয়া যাবে মূল দুর্গামণ্ডপে।

বাশ দিয়ে মন্দির নির্মাণের কারিগর জ্ঞানেন্দ্র নাথ মণ্ডল জানান, তাঁরা ২০ জন শ্রমিক তিন মাস ধরে কাজ করছেন। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। মন্দির তৈরি করতে ১০ হাজার বাঁশ ও অনেক কাঠের তক্তা ব্যবহার করা হয়েছে। এই আয়োজন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে তাঁর দাবি।

আলোকদিয়া সর্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি বিধান ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর এখানে ব্যতিক্রমী আয়োজন করি। করোনার পর তিন বছর বড় পরিসরে এই আয়োজন করতে পারিনি। এ বছর আবার শুরু করেছি। এই আয়োজন থাকবে লক্ষ্মীপূজা পর্যন্ত।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বালিয়াকান্দির প্রতিটি মণ্ডপেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। তবে আলোকদিয়া গ্রামে বড় পরিসরে আয়োজিত দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

রাজবাড়ীতে ১ হাজার বাঁশে সাজছে ৩০০ প্রতিমা

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

ফিরোজ আহম্মেদ, রাজবাড়ী, প্রতিনিধি

পুকুরের ওপর ১০ হাজার বাশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ৮টি মণ্ডপ। দোতলার মণ্ডপগুলোতে থাকবে তিন শতাধিক প্রতিমা। ব্যতিক্রমী এই মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে। এসব মণ্ডপে সনাতন ধর্মের আলোকে বিভিন্ন কাহিনির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্রও তুলে ধরা হবে।

আলোকদিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি মণ্ডপে প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলোতে প্রতিমা স্থাপনের কাজ চলছে। আয়োজকেরা জানান, তিন মাস ধরে কারিগরেরা মণ্ডপগুলো নির্মাণে কাজ করছেন। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।প্রতিমাগুলোতে চলছে রঙের কাজ। এই আয়োজন দেখতে দেশ ও বিদেশ থেকে ৫-৬ লাখ মানুষ আসবেন বলে মনে করছেন আয়োজকেরা।

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা দর্শন শেষ করতে হাঁটতে হবে ১ হাজার ৪০০ ফুট। প্রবেশের সময়ই চোখে পড়বে শিবের বিশালাকৃতির প্রতিমা। এরপর কিছু দূর এগোলে দেখা যাবে বড় মন্দির। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে দক্ষযজ্ঞের কাহিনি। দক্ষযজ্ঞ থেকে শুরু করে সতীর পুনর্জন্ম এবং ৫১টি শক্তিপীঠের কাহিনি সাজানো হয়েছে প্রতিমাগুলো দিয়ে। এরপর পুকুরের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পদচারী-সেতু (ওভারব্রিজ)। সেতুর দুই পাশে ফোয়ারার মধ্য দিয়ে সামনের মণ্ডপে মেট্রোরেলের ভেতরে রাখা হয়েছে ২০ জন মনীষীর প্রতিকৃতি। সেগুলো দেখে এগোলে দেখা যাবে সনাতন ধর্মের আরেক কাহিনি। সেটি শেষ করতে পরের মণ্ডপে দেখা যাবে কুঞ্জবনে শ্রীকৃষ্ণের শৈশব। এরপর দেবীর ঘোটকে বিদায়ের আরেকটি দৃশ্য। সেটি শেষে পৌঁছে যাওয়া যাবে মূল দুর্গামণ্ডপে।

বাশ দিয়ে মন্দির নির্মাণের কারিগর জ্ঞানেন্দ্র নাথ মণ্ডল জানান, তাঁরা ২০ জন শ্রমিক তিন মাস ধরে কাজ করছেন। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। মন্দির তৈরি করতে ১০ হাজার বাঁশ ও অনেক কাঠের তক্তা ব্যবহার করা হয়েছে। এই আয়োজন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে তাঁর দাবি।

আলোকদিয়া সর্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি বিধান ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর এখানে ব্যতিক্রমী আয়োজন করি। করোনার পর তিন বছর বড় পরিসরে এই আয়োজন করতে পারিনি। এ বছর আবার শুরু করেছি। এই আয়োজন থাকবে লক্ষ্মীপূজা পর্যন্ত।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বালিয়াকান্দির প্রতিটি মণ্ডপেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। তবে আলোকদিয়া গ্রামে বড় পরিসরে আয়োজিত দুর্গাপূজায় তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।