রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় নবান্ন উৎসবকে ঘিরে এখন সর্বত্র সোনালি আমেজ। পাহাড়ের বুকজুড়ে দুলছে পাকা আমন ধানের ঢেউ, আর সেই ধান কেটে ঘরে তুলতে নারী-পুরুষ সকলেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীতের শুরুতে চারদিকে নতুন ধানের সুগন্ধ আর উৎসবঘন পরিবেশ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামজুড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়—প্রভাতের আলো ফুটতেই কৃষক-কৃষাণীরা দল বেঁধে মাঠে নেমে পড়ছেন। কারও হাতে কাচি, কারও হাতে দা; কেউ পাকা ধান কাটছেন, কেউ গুচ্ছ বেঁধে ঘরে তুলছেন। দিনের পর দিন চলা এই সম্মিলিত পরিশ্রম যেন পরিণত হয়েছে এক অনন্য কৃষি-উৎসবে।

ধান কাটাকে ঘিরে পুরো এলাকায় বিরাজ করছে ভিন্নধর্মী প্রাণচাঞ্চল্য। ধান শুকানো, ঝাড়াই, আর নতুন চাল দিয়ে পিঠা-পায়েস তৈরির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গ্রামবাসী। গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পাকা ধানের গন্ধ আর কৃষকদের মুখে লেগেছে তৃপ্তির হাসি।
কৃষাণী মাচিংখইং মারমা বলেন, “এ সময়টা আমাদের কাছে শুধু কৃষিকাজ নয়, বড় উৎসবও। সবাই মিলে মাঠে কাজ করি—এই আনন্দ ভাষায় বোঝানো যায় না। নতুন ধানের গন্ধেই ঘর ভরে ওঠে সুখে।”

কৃষক উচনু মারমা জানান, “এবার ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমরা সবাই খুশি। সারাদিন কষ্ট করি ঠিকই, কিন্তু ধান ঘরে তুলতে পারলেই সব পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। নবান্ন আমাদের জন্য আনন্দের সময়।”
রাজস্থলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার বিশ্বাস বলেন, “এ বছর আমন মৌসুমে রাজস্থলীতে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। কৃষকদের পরিশ্রম, সময়মতো কৃষি উপকরণ বিতরণ ও পরামর্শ সহায়তা মিলিয়ে উৎপাদন ভালো হয়েছে। সামনে বোরো মৌসুমেও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেওয়া হবে।”
এমআর/সবা























