সারা দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল কর্মসূচি চলমান থাকলেও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখা মিলছে না। তবে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। হরতাল ভীতিতে রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচল কম ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায়।  সড়কে যানবাহনের চাপ না থাকলেও রাস্তায় কর্মজীবী ও অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠেছে বাড়তি ভাড়া আদায়েরও। তবে নিত্যদিনের মতোই সড়কে প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, অ্যাম্বুল্যান্স, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। তারা বলছেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন। নিউমার্কেট  থেকে ছেড়ে আসা কালুরঘাটগামী ২নং বাসের যাত্রী সুমন বলেন, আমি ২নং গেট  থেকে বাসে উঠে  মুরাদপুর নেমে যাই। এখানের স্বাভাবিক ভাড়া ৫ টাকা কিন্তু হেলপার আমার থেকে ১০ টাকা নিয়েছে। সবার কাছ থেকেই এমন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী সামিয়া শর্মী বলেন, যখন হাত উচু করে গাড়ি দাঁড়াতে সিগন্যাল দিই তখন হেলপার বলতে থাকে উঠনামা ১০ টাকা। কিন্তু আমি জিইসি থেকে ওয়াসা মোড় যাব যার ভাড়া মাত্র ৫ টাকা। কিন্তু বাধ্য হয়ে আমাকে ১০ টাকা দিতে হয়েছে। প্রশাসনের উচিত এবিষয়ে মনিটরিং করা। নতুন ব্রিজ থেকে ছেড়ে আসা আগ্রাবাদগামী বাসের হেলপারের কাছে ভাড়া ভেশি নেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, আজ সব গাড়িতে ভাড়া বেশি। আপনি সব গাড়িতে খোঁজ নিতে পারেন। তবে হরতালের সমর্থনে নগরীতে কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে হরতালকে ঘিরে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, নিউমার্কেট থেকে হাটহাজারীর গাড়িগুলো চলছে। অভ্যন্তরীণ রুটের গাড়িও চলছে, তবে কম। এছাড়া দূরপাল্লার বাস এখনো চলছে না। কারণ অনেকদিন পর প্রথম হরতালের ডাক, তাই মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।