০১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় আঁখ চাষে লাভের সম্ভাবনা

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • 116

সোহাগ রহমান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বছর আঁখ চাষে ব্যাপক লাভের আশা করছেন চাষিরা। তাছাড়া কৃষি অফিস বলছে গেল বছরের তুলনায় আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এবার বেড়েছে কিছুটা।
৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে উপজেলার মল্লিকবাড়ী ও ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রচুর আঁখের আবাদ করতে দেখা গেছে। কথা হয়
চাঁনপুর গ্রামের এক আঁখ চাষি উসমান আলীর সাথে। তিনি এ বছর ৯৫ কাঠা জমিতে আঁখের আবাদ করেছেন। তিনি জানান, পুরো জমিতে তিনি
অমৃত জাতের আঁখ চাষ করেছেন। জমির ভাড়া, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচসহ মোট ব্যয় হয় তার ১০ লাখ টাকা। ঢাকার বেপারীর কাছে ক্ষেতেই আঁখ
বিক্রি করেছেন ১৫ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকে তাহলে এ বছর ৫ লাখ টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে তার। তবে
নতুন চারার আঁখের দাম ভালো পাওয়া যায়। এ বছর ৪০ কাঠায় নতুন এবং ৫৫ কাঠায় পুরাতন আঁখ করেছেন। নতুন চারাগুলো তিন টাকায় সংগ্রহ করেন
তিনি। অন্যদিকে একই গ্রামের চাষি আবুল হাসেম ৬০ কাঠা জমিতে এ বছর আঁখের আবাদ করার কথা জানান। তিনি চার লাখ টাকা খরচ করে ক্ষেতেই
আঁখ বিক্রি করেছেন ১০ লাখ টাকা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৩ দশমিক ৫০ হেক্টর জমিতে আঁখের আবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২শত মেট্রিক টন আঁখ। গত বছর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আঁখের আবাদ ধরা হয়েছিল ১২শত দশমিক ৮০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয় ১৩শত দশমিক ৫০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হয় ৬০ হাজার ৭শত ৫০ মেট্টিক টন আঁখ।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন, চাষিরা এক চৈত্র মাসে আঁখ রোপন করে আরেক চৈত্র মাসে কাটে। এ
বছর ফলন ভালো হয়েছে। চাষের শুরু থেকেই তাদেরকে সবরকম পরামর্শ দিয়ে এসেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন জাহান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ ও ফলন ছাড়িয়ে যাবে। আমি নিয়মিত মাঠের খোঁজ
খবর নিচ্ছি। চাষের শুরুতেই চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি চলতি বছর তারা ব্যাপক লাভবান হবেন।
এদিকে চাষিরা জানান, আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় বড় পরিসরে আঁখের আবাদ করতে পারছেন না তারা। তবে কম সুদে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান
কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ পেলে আবাদ বাড়ানোসহ চাষে লাভবান হতে পারতেন বলে তারা জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভালুকায় আঁখ চাষে লাভের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : ০৫:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

সোহাগ রহমান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বছর আঁখ চাষে ব্যাপক লাভের আশা করছেন চাষিরা। তাছাড়া কৃষি অফিস বলছে গেল বছরের তুলনায় আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এবার বেড়েছে কিছুটা।
৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে উপজেলার মল্লিকবাড়ী ও ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রচুর আঁখের আবাদ করতে দেখা গেছে। কথা হয়
চাঁনপুর গ্রামের এক আঁখ চাষি উসমান আলীর সাথে। তিনি এ বছর ৯৫ কাঠা জমিতে আঁখের আবাদ করেছেন। তিনি জানান, পুরো জমিতে তিনি
অমৃত জাতের আঁখ চাষ করেছেন। জমির ভাড়া, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচসহ মোট ব্যয় হয় তার ১০ লাখ টাকা। ঢাকার বেপারীর কাছে ক্ষেতেই আঁখ
বিক্রি করেছেন ১৫ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকে তাহলে এ বছর ৫ লাখ টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে তার। তবে
নতুন চারার আঁখের দাম ভালো পাওয়া যায়। এ বছর ৪০ কাঠায় নতুন এবং ৫৫ কাঠায় পুরাতন আঁখ করেছেন। নতুন চারাগুলো তিন টাকায় সংগ্রহ করেন
তিনি। অন্যদিকে একই গ্রামের চাষি আবুল হাসেম ৬০ কাঠা জমিতে এ বছর আঁখের আবাদ করার কথা জানান। তিনি চার লাখ টাকা খরচ করে ক্ষেতেই
আঁখ বিক্রি করেছেন ১০ লাখ টাকা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৩ দশমিক ৫০ হেক্টর জমিতে আঁখের আবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২শত মেট্রিক টন আঁখ। গত বছর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আঁখের আবাদ ধরা হয়েছিল ১২শত দশমিক ৮০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয় ১৩শত দশমিক ৫০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হয় ৬০ হাজার ৭শত ৫০ মেট্টিক টন আঁখ।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন, চাষিরা এক চৈত্র মাসে আঁখ রোপন করে আরেক চৈত্র মাসে কাটে। এ
বছর ফলন ভালো হয়েছে। চাষের শুরু থেকেই তাদেরকে সবরকম পরামর্শ দিয়ে এসেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন জাহান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ ও ফলন ছাড়িয়ে যাবে। আমি নিয়মিত মাঠের খোঁজ
খবর নিচ্ছি। চাষের শুরুতেই চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি চলতি বছর তারা ব্যাপক লাভবান হবেন।
এদিকে চাষিরা জানান, আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় বড় পরিসরে আঁখের আবাদ করতে পারছেন না তারা। তবে কম সুদে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান
কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ পেলে আবাদ বাড়ানোসহ চাষে লাভবান হতে পারতেন বলে তারা জানিয়েছেন।