০৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

শতভাগ শেষ না হলেও উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশার লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সবকিছুই ঠিক থাকলে আগামী ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই স্বপ্নের এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি চালু হলে বিশ থেকে বাইশ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে।এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াতে আদায় করতে হবে নির্ধারিত হারে টোল। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় টানেলমুখি যানবাহনের চাপ সামলাতে এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। প্রায় সাত মাস আগে এবং ১০ শতাংশ কাজ বাকি রেখে চালু হতে যাচ্ছে প্রকল্পটি। প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান  বলেন, যানবাহনের চাপ কমাতে আপাতত বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস অংশ খুলে দেওয়া হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। তবে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখন খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সমাপ্ত করা যাবে। এদিকে আগামী ১৪ নভেম্বর এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা হলেও এখনও শেষ হয়নি ১৪টি  র‌্যাম্প কাজ। ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়ি ওঠানামার জন্য র‌্যাম্প নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রকল্পে। এর মধ্যে টাইগারপাস এলাকার র‌্যাম্প ছাড়া আর কোনোটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি। সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ হয়েছিল। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।চট্টগ্রামবাসি দীর্ঘ দিন ধরে শাহ আমানত বিমান বন্দরে যাতায়াতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে ছিলেন। চট্টগ্রামসহ আশেপাশের জেলা থেকে বিদেশগামী লোকজনকে বিগত দিনে নানা ধরনের বাঁধা ডিবপত্তি পেরিয়ে বিমানের সিডিউল মতো যাতায়াতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। বিগত দিনে অনেকে সময়মতো বিমান বন্দরে পৌঁছাতে না পেরে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মুরাদপুর ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর লালখান বাজার পর্যন্ত সহজে যাতায়াত করা গেলেও, সামনে দেওয়ানহাট মোড় থেকে ইপিজেড মোড় পার হতে যানজটের কারণে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতো বিমান বন্দর অভিমুখী গাড়ী গুলোকে। বিমান বন্দর অভিমুখী যানবাহনের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সিডিএ এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা। আগামী ১৪ নভেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে বিমান বন্দর ও বঙ্গবন্ধু টানেল অভিমুখী যানবাহন ২০ থেকে ২২ মিনিটে পৌঁছাতে পারবে চট্টগ্রাম শহর থেকে। আর গ্রাম থেকে বিমান বন্দর অভিমুখী মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর যে কোন দেশে যাতায়াতে বিমান বন্দরে পৌঁছানোর টেনশন থাকবে না যাত্রীদের।
জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
শতভাগ শেষ না হলেও উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশার লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সবকিছুই ঠিক থাকলে আগামী ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই স্বপ্নের এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি চালু হলে বিশ থেকে বাইশ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে।এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াতে আদায় করতে হবে নির্ধারিত হারে টোল। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় টানেলমুখি যানবাহনের চাপ সামলাতে এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। প্রায় সাত মাস আগে এবং ১০ শতাংশ কাজ বাকি রেখে চালু হতে যাচ্ছে প্রকল্পটি। প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান  বলেন, যানবাহনের চাপ কমাতে আপাতত বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস অংশ খুলে দেওয়া হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। তবে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখন খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সমাপ্ত করা যাবে। এদিকে আগামী ১৪ নভেম্বর এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা হলেও এখনও শেষ হয়নি ১৪টি  র‌্যাম্প কাজ। ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়ি ওঠানামার জন্য র‌্যাম্প নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রকল্পে। এর মধ্যে টাইগারপাস এলাকার র‌্যাম্প ছাড়া আর কোনোটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি। সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ হয়েছিল। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।চট্টগ্রামবাসি দীর্ঘ দিন ধরে শাহ আমানত বিমান বন্দরে যাতায়াতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে ছিলেন। চট্টগ্রামসহ আশেপাশের জেলা থেকে বিদেশগামী লোকজনকে বিগত দিনে নানা ধরনের বাঁধা ডিবপত্তি পেরিয়ে বিমানের সিডিউল মতো যাতায়াতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। বিগত দিনে অনেকে সময়মতো বিমান বন্দরে পৌঁছাতে না পেরে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মুরাদপুর ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর লালখান বাজার পর্যন্ত সহজে যাতায়াত করা গেলেও, সামনে দেওয়ানহাট মোড় থেকে ইপিজেড মোড় পার হতে যানজটের কারণে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতো বিমান বন্দর অভিমুখী গাড়ী গুলোকে। বিমান বন্দর অভিমুখী যানবাহনের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সিডিএ এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা। আগামী ১৪ নভেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে বিমান বন্দর ও বঙ্গবন্ধু টানেল অভিমুখী যানবাহন ২০ থেকে ২২ মিনিটে পৌঁছাতে পারবে চট্টগ্রাম শহর থেকে। আর গ্রাম থেকে বিমান বন্দর অভিমুখী মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর যে কোন দেশে যাতায়াতে বিমান বন্দরে পৌঁছানোর টেনশন থাকবে না যাত্রীদের।