সোহাগ রহমান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাতলামারী গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া ভাড়াকৃত ৪৮ শতক জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শিমের চাষ করে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।
২০ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে সরেজমিন উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের বহু জমিতে প্রান্তিক কৃষকেরা শিমের
চাষ করেছেন। কতগুলো শিমের ক্ষেত ঘুরে কথা হয় কাতলামারী গ্রামের কৃষক জামাল মিয়ার সাথে। তিনি শিম চাষের ব্যাপারে তার নানান অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, আমি প্রতিবছরই দেশীয় বংশি জাতের শিমের ক্ষেত করে আসছি। অনুকূল পরিবেশ ও ঠিকমত পরিচর্যা করার কারণে প্রতিবারই সফলতা পাচ্ছি। শিম বিক্রির শেষের দিকে ক্ষেত থেকেই এই বীজ সংগ্রহ করি। এবার ৪৮ শতক জমি ভাড়ায় নিয়ে শিমের ক্ষেত করেছি। প্রতিকাঠা জমির বার্ষিক ভাড়া গুনতে হবে চার হাজার টাকা। শ্রমিক খরচ, পানি দেওয়া, মাচা তৈরি করা, সার ও কীটনাশক দেওয়া বাবদ মোট খরচ হবে প্রায় ৬২ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মতো। তিনি ভাদ্র মাসে শিমের বীজ বপন করেন। আর ফলন দিবে অগ্রাহায়ন মাসের শেষের দিকে। বর্তমানে বাজারে শিম পাওয়া গেলেও তিনি জানান, এ জাতের শিম একটু দেরিতেই ফলন হয়। তার ক্ষেতের অবস্থা বেশ ভালো। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকে তাহলে এ ক্ষেত থেকে প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে তার। শিম চাষের ব্যাপারে ভালুকা কৃষি অফিস কিংবা এই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাকে কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কিনা
জানতে চাইলে তিনি বলেন, হেঁ একজন অফিসার এসে ক্ষেত দেখে গেছেন এবং পরামর্শও দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ক্ষেত করতে করতে নিজেই এখন বুঝে
গেছি কখন কি করতে হবে ক্ষেতে। তিনি শিম চাষ ছাড়াও কলার চাষ, বেগুনের চাষ ও বাড়িতে গরু পালন করে থাকেন। তিনি আরও জানান, তার মতো গ্রামের অনেক কৃষকই শিমের ক্ষেত করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান বলেন, আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তারা মাঠে নিয়মিত যাচ্ছেন এবং ফসলের ক্ষেত পরিদর্শন করছেন। ফলন
বাড়াতে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।






















