০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিজে সমতা ফেরানোর চ্যালেঞ্জ

বৈরী আবহাওয়া। ফলও পক্ষে নেই। এমন সমীকরণে নেলসনে পৌঁছার আগে বিমানবন্দরে তাওহিদ, শান্ত-মিরাজের খুনসুটি। অথচ সিরিজ জয়ের শপথ নিয়ে বাংলাদেশ দল যেভাবে প্রথম ওয়ানডেতে খাবি খেল তাতে এমন প্রাণোচ্ছল থাকার কথা না। অবশ্য ধারণার বিপরীতও হতে পারে। ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্যে আগামীকাল ভাবনাহীন থাকাটাও কৌশলের অংশ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।

প্রথম ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জয়ের কাছে গিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে হেরে যায় ৪৪ রানে। এতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হারের পাল্লাটা বেড়ে ১৭তে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের লড়াইয়ের মানসিকতায় বুঝিয়ে দিচ্ছেÑ অন্যবারের মতো এবার অন্তত সিরিজটি এক তরফা হবে না।
বাংলাদেশের জন্য চিন্তার জায়গা গোছালো বোলিং আর প্রাসঙ্গিক ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে শরিফুল ভালো শুরু এনে দিলেও নির্বিষ বোলিংয়ে উইল ইয়াং ও কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম চড়াও হয়েছিলেন। ব্যাটাররাও ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে খেলতে পারেননি। এ ম্যাচে শান্ত চাইছেন দলের সবাই যেন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে সেরাটা দিতে পারে। অবশ্য একই সুরের কথা প্রথম ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও জানিয়েছিলেন। এবার দেখার পালা ম্যাচে কতটুকু সফল প্রয়োগ ঘটে।

প্রথম ওয়ানডেতে অহেতুক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হওয়া মুশফিকের ব্যাটে রান প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শুরুতেই আউট হওয়া রাচিনের ঝলকানি দেখতে চাইবে কিউই শিবির। কেননা শেষ ১০ ম্যাচে ৪৫ এর বেশি গড়ে রান করেছেন তিনি। লিটন দাসও সাম্প্রতিককালে সেট হয়ে আউট হয়ে যান। তিনিও চাইবেন নিউজিল্যান্ডের মাঠে হারের বৃত্ত ভাঙতে। বোলিংয়ে শরিফুল ও মিরাজকে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি পেসার হিসেবে মুস্তাফিজ যদি নেতৃত্ব দেয়, টাইগারদের জয় পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাস খুব বেশি খারাপ নয়। এখন অবধি ৪৩ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে বাংলাদেশ জয় ১০টিতে এবং নিউজিল্যান্ডের জয় ৩২টিতে। ১টি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। দু’দলের সবশেষ ৫ দেখার ৪টিতে জয় নিয়ে নির্ভার হয়ে খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড।
তাসমান পাড়ের ক্রিকেট উইকেটগুলো ব্যাটিংবান্ধব। মাঠও খুব ছোট। এমন পরিস্থিতিতে ৪ স্পেশালিস্ট বোলারের জায়গায় ৫ জনকে খেলিয়ে সুবিধা আদায় করা চ্যালেঞ্জের। তাছাড়া কন্ডিশন বিবেচনায় বোলিং বিভাগের উপর দায় দেওয়া যায় কমই। বাংলাদেশের ব্যাটাররা যদি আদর্শ কন্ডিশন পেয়ে জ্বলে উঠতে পারে, তবে অধরা জয়টা সহজেই ধরা সম্ভব।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

সিরিজে সমতা ফেরানোর চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় : ০৯:০৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বৈরী আবহাওয়া। ফলও পক্ষে নেই। এমন সমীকরণে নেলসনে পৌঁছার আগে বিমানবন্দরে তাওহিদ, শান্ত-মিরাজের খুনসুটি। অথচ সিরিজ জয়ের শপথ নিয়ে বাংলাদেশ দল যেভাবে প্রথম ওয়ানডেতে খাবি খেল তাতে এমন প্রাণোচ্ছল থাকার কথা না। অবশ্য ধারণার বিপরীতও হতে পারে। ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্যে আগামীকাল ভাবনাহীন থাকাটাও কৌশলের অংশ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়।

প্রথম ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জয়ের কাছে গিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে হেরে যায় ৪৪ রানে। এতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হারের পাল্লাটা বেড়ে ১৭তে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের লড়াইয়ের মানসিকতায় বুঝিয়ে দিচ্ছেÑ অন্যবারের মতো এবার অন্তত সিরিজটি এক তরফা হবে না।
বাংলাদেশের জন্য চিন্তার জায়গা গোছালো বোলিং আর প্রাসঙ্গিক ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে শরিফুল ভালো শুরু এনে দিলেও নির্বিষ বোলিংয়ে উইল ইয়াং ও কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম চড়াও হয়েছিলেন। ব্যাটাররাও ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে খেলতে পারেননি। এ ম্যাচে শান্ত চাইছেন দলের সবাই যেন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে সেরাটা দিতে পারে। অবশ্য একই সুরের কথা প্রথম ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও জানিয়েছিলেন। এবার দেখার পালা ম্যাচে কতটুকু সফল প্রয়োগ ঘটে।

প্রথম ওয়ানডেতে অহেতুক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হওয়া মুশফিকের ব্যাটে রান প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শুরুতেই আউট হওয়া রাচিনের ঝলকানি দেখতে চাইবে কিউই শিবির। কেননা শেষ ১০ ম্যাচে ৪৫ এর বেশি গড়ে রান করেছেন তিনি। লিটন দাসও সাম্প্রতিককালে সেট হয়ে আউট হয়ে যান। তিনিও চাইবেন নিউজিল্যান্ডের মাঠে হারের বৃত্ত ভাঙতে। বোলিংয়ে শরিফুল ও মিরাজকে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি পেসার হিসেবে মুস্তাফিজ যদি নেতৃত্ব দেয়, টাইগারদের জয় পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাস খুব বেশি খারাপ নয়। এখন অবধি ৪৩ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে বাংলাদেশ জয় ১০টিতে এবং নিউজিল্যান্ডের জয় ৩২টিতে। ১টি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। দু’দলের সবশেষ ৫ দেখার ৪টিতে জয় নিয়ে নির্ভার হয়ে খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড।
তাসমান পাড়ের ক্রিকেট উইকেটগুলো ব্যাটিংবান্ধব। মাঠও খুব ছোট। এমন পরিস্থিতিতে ৪ স্পেশালিস্ট বোলারের জায়গায় ৫ জনকে খেলিয়ে সুবিধা আদায় করা চ্যালেঞ্জের। তাছাড়া কন্ডিশন বিবেচনায় বোলিং বিভাগের উপর দায় দেওয়া যায় কমই। বাংলাদেশের ব্যাটাররা যদি আদর্শ কন্ডিশন পেয়ে জ্বলে উঠতে পারে, তবে অধরা জয়টা সহজেই ধরা সম্ভব।