যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে একটি মসজিদের সামনে গুলি করে এক ইমামকে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার নিউআর্ক এলাকায় একটি মসজিদের পাশে হাসান শরিফ নামের ওই ইমামকে কয়েক দফা গুলি করা হয়। নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাট প্ল্যাটকিন বলেন, মসজিদের পাশে গুলিবিদ্ধ হন হাসান শরিফ। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
প্ল্যাটকিন আরও বলেন, ‘আমরা এখনো এ হামলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানি না। তবে এখন পর্যন্ত যেসব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে এটিকে বিরোধপূর্ণ কর্মকা- বলে মনে হচ্ছে না। এটিকে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী কর্মকা- বলেও মনে হয়নি।’ প্ল্যাটকিনের তথ্যমতে, নিউ জার্সিতে তিন লাখ মুসলিম আমেরিকানের বসবাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মুসলিম ও ইহুদিবিদ্বেষী হামলার ঘটনা বাড়তে দেখা গেছে। এসেক্স কাউন্টির কৌঁসুলি টেড স্টিফেনস বলেন, ইমাম হাসান শরিফের শরীরে একাধিক গুলির দাগ রয়েছে।
এ হামলাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ উল্লেখ করে স্টিফেনস আরও বলেন, ‘আমরা ইমামের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করব।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশাসন (টিএসএ) নিশ্চিত করেছে, শরিফ ২০১৬ সাল থেকে নিউআর্ক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মী (সিকিউরিটি স্ক্রিনার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
যে মসজিদের সামনে হাসান শরিফ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেটির নাম মসজিদ মুহাম্মদ-নিউআর্ক। এটি দোতলা ভবন। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) নিউ জার্সি শাখা প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, মসজিদটির সামনে পুলিশের গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে।
সিএআইআরের দেওয়া এক বিবৃতিতে শরিফকে ‘নেতৃত্ব ও মাহাত্ম্যের বাতিঘর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


























