০৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন মন্ত্রীসভায় চট্টগ্রামের আলোচিত যারা

মাত্র তিন দিন আগেই শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। টানা চতুর্থবারের মতো  সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেন উৎসবমুখর পরিবেশে। আজ বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভার শপথও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামবাসীর দৃষ্টি এখন নতুন মন্ত্রিসভার দিকে।
আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  মনোনয়নের মতো  এবারের মন্ত্রিসভায়ও থাকতে পারে চমক। আসতে পারেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্বের অনেক নেতার দপ্তর পরিবর্তন হতে পারে। এদের মধ্যে অনেকে বাদ পড়তে পারেন। প্রমোশনও হতে পারে অনেকের। মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম থেকে ক্লিন ইমেজের নির্বাচিত নেতাদের কে কে স্থান পাচ্ছেন তা নিয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই জনমনে নানা জল্পনা – কল্পনা চলে আসছিল।। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর সেই আলোচনার ঝড় আরো বেগবান হয়ে উঠেছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের মন্ত্রিসভা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা অনেকবার বলেছেন। সেখানে স্মার্ট, উচ্চ শিক্ষিত, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিরাই থাকবেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও তাদের বক্তব্যে বিষয়টি বারবার বলেছেন। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন এই প্রশ্নরে জবাব সবার কাছে অজানা।  যাদের নাম আসছে, তাদের  নতুন মন্ত্রিসভায় শপথের দাওয়াত দেবেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব।
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা গতকাল ঢাকায় চলে গেছেন। এদের অনেকে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা–তদ্বির করছেন সিনিয়র ও আশাবাদি নেতারা এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে।
একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন ড. হাছান মাহমুদ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সংসদের হুইপ করা হয়েছিল পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে। এছাড়া পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল রাউজান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খানকে করা হয়েছিল বিদ্যুৎ–জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
এবার চট্টগ্রাম থেকে আলোচনায় আছেন প্রায় ৭ জন সংসদ সদস্যরে নাম। এদের মধ্যে ৬ জন নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য,  অপরজন জাতীয় পার্টির। এছাড়া একজনের নাম শোনা যাচ্ছে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি আলোচনা আছে।
নতুন মন্ত্রিসভায় গতবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম থেকে আলোচনার শীর্ষে আছেন রাঙ্গুনিয়া থেকে পরপর চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এবারও তার তথ্য মন্ত্রণালয় অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যেষ্ঠ সন্তান সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। একবার ভূমি প্রতিমন্ত্রী, গতবার ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও তার নাম শোনা যাচ্ছে সর্বত্র।
রাউজান থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীও এবার মন্ত্রীর হওয়ার আলোচনায় রয়েছেন।
কোতোয়ালী আসন থেকে পরপর দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবার পদোন্নতি পেয়ে প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন কথা শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মিরসরাই আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত তরুণ সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেলও নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।
এদিকে টেকনোক্র্যাট কোটায় এবার মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে ওয়াসিকা আয়শা খানের। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
জানা গেছে, যদি মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির কাউকে রাখা হয় তাহলে হাটহাজারী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদেরও মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নতুন মন্ত্রীসভায় চট্টগ্রামের আলোচিত যারা

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
মাত্র তিন দিন আগেই শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। টানা চতুর্থবারের মতো  সরকার গঠনের পথে আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেন উৎসবমুখর পরিবেশে। আজ বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভার শপথও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামবাসীর দৃষ্টি এখন নতুন মন্ত্রিসভার দিকে।
আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,  মনোনয়নের মতো  এবারের মন্ত্রিসভায়ও থাকতে পারে চমক। আসতে পারেন বেশ কিছু নতুন মুখ। নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্বের অনেক নেতার দপ্তর পরিবর্তন হতে পারে। এদের মধ্যে অনেকে বাদ পড়তে পারেন। প্রমোশনও হতে পারে অনেকের। মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম থেকে ক্লিন ইমেজের নির্বাচিত নেতাদের কে কে স্থান পাচ্ছেন তা নিয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই জনমনে নানা জল্পনা – কল্পনা চলে আসছিল।। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর সেই আলোচনার ঝড় আরো বেগবান হয়ে উঠেছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের মন্ত্রিসভা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা অনেকবার বলেছেন। সেখানে স্মার্ট, উচ্চ শিক্ষিত, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিরাই থাকবেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও তাদের বক্তব্যে বিষয়টি বারবার বলেছেন। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন এই প্রশ্নরে জবাব সবার কাছে অজানা।  যাদের নাম আসছে, তাদের  নতুন মন্ত্রিসভায় শপথের দাওয়াত দেবেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব।
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা গতকাল ঢাকায় চলে গেছেন। এদের অনেকে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা–তদ্বির করছেন সিনিয়র ও আশাবাদি নেতারা এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে।
একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন ড. হাছান মাহমুদ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সংসদের হুইপ করা হয়েছিল পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে। এছাড়া পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল রাউজান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খানকে করা হয়েছিল বিদ্যুৎ–জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
এবার চট্টগ্রাম থেকে আলোচনায় আছেন প্রায় ৭ জন সংসদ সদস্যরে নাম। এদের মধ্যে ৬ জন নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য,  অপরজন জাতীয় পার্টির। এছাড়া একজনের নাম শোনা যাচ্ছে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি আলোচনা আছে।
নতুন মন্ত্রিসভায় গতবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম থেকে আলোচনার শীর্ষে আছেন রাঙ্গুনিয়া থেকে পরপর চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এবারও তার তথ্য মন্ত্রণালয় অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যেষ্ঠ সন্তান সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। একবার ভূমি প্রতিমন্ত্রী, গতবার ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও তার নাম শোনা যাচ্ছে সর্বত্র।
রাউজান থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীও এবার মন্ত্রীর হওয়ার আলোচনায় রয়েছেন।
কোতোয়ালী আসন থেকে পরপর দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবার পদোন্নতি পেয়ে প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন কথা শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মিরসরাই আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত তরুণ সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেলও নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।
এদিকে টেকনোক্র্যাট কোটায় এবার মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে ওয়াসিকা আয়শা খানের। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
জানা গেছে, যদি মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির কাউকে রাখা হয় তাহলে হাটহাজারী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদেরও মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।