০৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫৩ দিনে বিষপান করে ৩৪ জন রোগী ভর্তি 

চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিন দিন বাড়ছে বিষপান করা রোগী সংখ্যা।এতে ভোগান্তি শিকার হচ্ছে রোগী এবং রোগী স্বজনরা।একদিনের বিষপান করা রোগীদের সেবা নিতে বিভিন্ন অসুবিধা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ইমার্জেন্সিতে সেবা নিতে অসুস্থ রোগীরা।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, বিষপান করা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ইমার্জেন্সি বাহিরে চলাচলের রাস্তার ওপর একটা কেবিনে রোগীদের ওয়াশ করানো হচ্ছে। এতে দূষিত হয়ে পরিবেশ অন্যদিকে চলাচলের রাস্তা সেবা নিতে আসা রোগী এবং স্বজনরা অসুস্থতা হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৩দিনের বিষ পান করে ৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল।জানুয়ারি  মাসে ছিল ২১ জন আর ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সূত্রে জানা যায়, আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কীটনাশক জাতীয় বিষ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়। এ বিষ শরীরে বা কাপড়চোপড়ে লাগলে সেখান থেকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই বিষপান করলে কাপড়চোপড় খুলে শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন।
বিষপান করলে অনেকেই গোবর মিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করেন। এটি ঠিক নয়। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন অবস্থায় থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; এতে ঝুঁকি আরো বাড়ে। কেরোসিন, অ্যাসিড পান করিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. মামুনুর রশীদ জানান,বিষপান করলে কিংবা বিষক্রিয়া ঘটলে প্রথমেই উচিত তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো। বিষ খাওয়া রোগী বাড়ীতে রাখা মানে মৃত্যু ঝুঁকি নেওয়া।জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৩ জন রোগী হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে  ইমেডিয়েট রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

কানাডায় মঞ্চ মাতালেন নুসরাত ফারিয়া

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫৩ দিনে বিষপান করে ৩৪ জন রোগী ভর্তি 

আপডেট সময় : ০৭:০১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিন দিন বাড়ছে বিষপান করা রোগী সংখ্যা।এতে ভোগান্তি শিকার হচ্ছে রোগী এবং রোগী স্বজনরা।একদিনের বিষপান করা রোগীদের সেবা নিতে বিভিন্ন অসুবিধা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ইমার্জেন্সিতে সেবা নিতে অসুস্থ রোগীরা।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, বিষপান করা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ইমার্জেন্সি বাহিরে চলাচলের রাস্তার ওপর একটা কেবিনে রোগীদের ওয়াশ করানো হচ্ছে। এতে দূষিত হয়ে পরিবেশ অন্যদিকে চলাচলের রাস্তা সেবা নিতে আসা রোগী এবং স্বজনরা অসুস্থতা হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৩দিনের বিষ পান করে ৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল।জানুয়ারি  মাসে ছিল ২১ জন আর ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সূত্রে জানা যায়, আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কীটনাশক জাতীয় বিষ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়। এ বিষ শরীরে বা কাপড়চোপড়ে লাগলে সেখান থেকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই বিষপান করলে কাপড়চোপড় খুলে শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন।
বিষপান করলে অনেকেই গোবর মিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করেন। এটি ঠিক নয়। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন অবস্থায় থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; এতে ঝুঁকি আরো বাড়ে। কেরোসিন, অ্যাসিড পান করিয়ে বমি করানোর চেষ্টা করবেন না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. মামুনুর রশীদ জানান,বিষপান করলে কিংবা বিষক্রিয়া ঘটলে প্রথমেই উচিত তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো। বিষ খাওয়া রোগী বাড়ীতে রাখা মানে মৃত্যু ঝুঁকি নেওয়া।জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৩ জন রোগী হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে  ইমেডিয়েট রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।